জাহিদ মালেক
বর্তমানে দেশে ম্যালেরিয়ার ওষুধ ও টিকার কোন ঘাটতি নেই জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে সংক্রামক রোগ অনেক কমেছে। পোলিও, টিটেনাস, কালা জ্বরমুক্ত হয়েছে দেশ। এর মধ্যে ম্যালেরিয়া অন্যতম। ২০১৪ সালে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ছিল প্রায় ১৪ হাজার। সেই সংখ্যা এখন কমে নেমেছে ৬/৭ হাজারে। ২০৩০ সালের আগেই দেশ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচীর পঞ্চম যৌথ পর্যবেক্ষণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, তিনি বলেন, ৬৪ জেলার মধ্যে এখন ৫১টি জেলা ম্যালেরিয়ামুক্ত। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূলের লক্ষ্য রয়েছে। আমি আশা করি, তার আগেই দেশ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ডাঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডাঃ বারধান জাং রানা।
তিনি বলেন, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সফলতা এসেছে। ইতোমধ্যেই দেশ পোলিও, কালাজ্বর, যক্ষ্মামুক্ত হয়েছে। তবে ম্যালেরিয়া এখনও নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। এমনকি এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একক চেষ্টায় সম্ভবও নয়। ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর দেশে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু বেড়েছে। মৃত্যুর কারণ হলো আক্রান্ত রোগীরা দেরিতে চিকিৎসা নিয়েছেন। করোনায় লকডাউন ছিল, তাই আমরা আশঙ্কা করেছিলাম মানুষ হাসপাতালে আসতে পারবে না, যে কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাবে। তাই হয়ছে। আমরা চাই না ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধি পাক। তাই সবাই মিলেই কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু দেশে ব্যবস্থা নিলে হবে না, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে সেসব দেশেও যাতে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ বন্ধ হয়ে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দেশে মশা নির্মূল হলেও বর্ডার দিয়ে মশা তো আর আটকে থাকে না।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ম্যালেরিয়া মুক্ত করা। ২০১৪ সালে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ ছিল ৫৭ হাজারের বেশি। বর্তমানে ৬ থেকে ৭ হাজারের বেশি সংক্রমণ হয় না। আমার মতে সঠিকভাবে কাজ করলে ২০৩০ এর আগেই আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব। এর জন্য যেসব এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি, সেগুলোতে ফোকাস করতে হবে।
যারা টি গার্ডেনে কাজ করে, আর্মিতে যারা কাজ করেন, তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। কীভাবে তারা ম্যালেরিয়া মুক্ত থাকতে পারবেন, সেগুলো তাদের বোঝাতে হবে। তবে সচেতনতা হলো বড় বিষয়।