ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯

monarchmart
monarchmart

বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের প্রতিবাদ

ইবি উপাচার্যের বক্তব্য ‘হতাশাজনক’

ইবি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত: ২০:২৫, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ইবি উপাচার্যের বক্তব্য ‘হতাশাজনক’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ‘নিজস্ব নিয়মে বাড়তি বেতন-ভাতা নিচ্ছেন ইবির শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মাচরীরা’ শিরোমানে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে। ওই সংবাদ ও সেখানে দেওয়া উপাচার্য ও ইউজিসির সচিবের বক্তব্যকে ‘হতাশাজনক’ বলে দাবি করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট।

একইসঙ্গে তারা প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত ২১ জানুয়ারি প্রতাশিত প্রতিবেদনে বেতন ভাতা ও অবসর গ্রহণে ইবির শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন থেকে একধাপ উপরে বেতন নিচ্ছেন এবং সেশন বেনিফিট ভোগ করছেন বলে উল্লেখ করেছেন ওই টিভি চ্যানেল।

প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে উপাচার্য বলেন, গ্রেডের ব্যাপারটা আসলেই যে ভুল করেছে সেটা মানা যাচ্ছে না। নিয়ম পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমি একা আর অন্য সব একদিকে।

ওই প্রতিবেদনে ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্রীয় নির্ধারণ করা পে স্কেল চেঞ্জ করার সুযোগ নেই। সেটা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে। ৬৫ বছর পুর্তি হবে অবসরে যাবে কিন্তু তাকে (শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মাচারী) দেখা যাচ্ছে পরবর্তী ৩০ জুন পর্যন্ত রেখে দেওয়া হচ্ছে। এটা টোটালি আর্থিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এটাও ওখানে আছে।

এসব বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদ লিপিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, ইবি শিক্ষক সমাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি বিধানের বাইরে কোনো অনৈতিক সুবিধা ভোগ করেন না। উপচার্যের এ বক্তব্যে আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি। সাম্প্রতিককালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের স্বকীয়তাকে সংকুচিত করে একটি কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ করার প্রবণতা লক্ষ্যিত হয়েছে। যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুফল বয়ে আনবে না।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক সেশন বেনিফিট ভোগ করে না। উপাচার্য মহোদয় বলছেন ‘আমি একা আর অন্য সব একদিকে’ তাহলে কি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবিভাবক হয়েও আমাদের (শিক্ষকদের) ওন (ধারণ) করেন না?

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা সেশন বেনিফিট পানই না। তবে কর্মকর্তাদের আছে। যখন চ্যানেলটি থেকে ইউজিসির সেক্রেটারিকে জিজ্ঞেস করেছিল সেখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে জড়িয়েছে। আমার বক্তব্যে আমি শিক্ষকদের জড়াইনি। ‘আমি একা আর অন্য সব একদিকে’ বক্তব্যের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নেভার, ‘একা’ এটা আমি বলিনি। ‘চেষ্টা করছি’ আমি তাই বলেছি।

 

এমএইচ

monarchmart
monarchmart

শীর্ষ সংবাদ:

পুনরায় দূতাবাস চালু করছে সৌদি ও সিরিয়া
ইন্টারপোলের রেড নোটিসের তালিকায় আরাভ খান
বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে, নিহত ২
রাজধানীতে মাদকসহ গ্রেপ্তার ৭৪
এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা লঙ্ঘন করায় ৮৪ মামলা
লোকসভার সাংসদ পদ হারালেন রাহুল গান্ধী
বিএনপির আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ফখরুলদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই :ওবায়দুল কাদের
খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাজা তৃতীয় চার্লসের ফ্রান্স সফর স্থগিত
সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ১১
রাজধানীতে স্কুল শিক্ষিকার আত্মহত্যা
প্রথম দিনেই জমে উঠেছিলো রাজধানীর ইফতার বাজার
ক্যানসার ফাউন্ডেশন চালু করলেন সাকিব
রমজানে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ