ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২

মৃত্যুর পরের জগতে ‘অ্যাভাটার’-এর মতো প্রাণীদের দেখা! ২ মিনিট ‘মৃত’ থাকা নারীর চাঞ্চল্যকর অভিজ্ঞতা

প্রকাশিত: ০২:০১, ২৪ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০২:০২, ২৪ জুলাই ২০২৫

মৃত্যুর পরের জগতে ‘অ্যাভাটার’-এর মতো প্রাণীদের দেখা! ২ মিনিট ‘মৃত’ থাকা নারীর চাঞ্চল্যকর অভিজ্ঞতা

ছবিঃ সংগৃহীত

একজন নারী মৃত্যুর পরের জগৎ দেখেছেন—এমনটাই দাবি করছেন গ্রিসের শিল্পী নিকোল মেউস। অস্ত্রোপচারের সময় মাত্র ২ মিনিটের জন্য তার হৃদস্পন্দন থেমে গিয়েছিল। সেসময়েই তিনি প্রবেশ করেন এক আলোয় ভরা সুড়ঙ্গপথে, যেখানে দেখা পান নীল-চর্মবিশিষ্ট প্রাণীদের, যাদের দেখতে অবিকল 'অ্যাভাটার' সিনেমার চরিত্রদের মতো!

অন্য দুনিয়ার অভিজ্ঞতা
৪৯ বছর বয়সী নিকোল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সদ্য সন্তান হারানোর পর। জরুরি অস্ত্রোপচারে তার শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে তিনি এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসকরা তাকে "মৃত" ঘোষণা করেন।

“আমি হঠাৎ অনুভব করি আমার দেহ থেকে আলাদা হয়ে একটি নীল-সাদা আলোর সুড়ঙ্গ দিয়ে যাচ্ছি। সেটা ছিল জীবন্ত এক করিডর, যেন জলরঙে গড়া সঙ্গীত,” বলেন নিকোল।

তিনি আরও বলেন, “আমি প্রবেশ করলাম এক দীপ্তিমান কক্ষে, যেখানে রূপালি, হালকা বেগুনি ও গভীর নীল রঙের ঝলকানি ছিল। ভয় নয়, বরং মনে হচ্ছিল কেউ আমাকে বাড়ি ফিরতে ডাকছে।”

নীল-চর্মবিশিষ্ট প্রাণী এবং তাদের বার্তা
নিকোল বর্ণনা করেন—এক বিশালাকৃতির ঘরে দুটি প্রাণীকে দেখতে পান, যাদের চামড়া নীল, চোখ বড় ও ইন্ডিগো রঙের, মুখে অপার মমতা ও আত্মিক চেনার অনুভূতি ছিল। তারা মার্বেলের মতো সিংহাসনে বসা ছিল এবং তাদের শরীরে মাছের মতো লেজ, আঁশ ও গিলস ছিল।

এই প্রাণীরা পুরুষ ও নারীর সমন্বয়ে গঠিত ছিল এবং কথার মাধ্যমে নয়, টেলিপ্যাথির মাধ্যমে নিকোলের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল। তাদের বার্তা ছিল—"জীবন একটি মায়া, মৃত্যু আসল জীবনের পথে ফেরার মাধ্যম।" তারা নিকোলকে জানায়, তিনি মায়ার এই জগতে সন্তান ধারণের জন্য আসেননি, বরং "অপর পারের বার্তাবাহক" হওয়ার জন্য প্রেরিত।

“আমি নিজেকে এতটা পরিচিত মনে করেছি, যা জীবনে কখনও হয়নি। মনে হচ্ছিল, এটাই আমার প্রকৃত বাসস্থান,” বলেন নিকোল।

ফিরে আসার মুহূর্ত
হঠাৎ করে শরীরে "শক" দিয়ে তাকে ফের জীবিত করা হয়। তখন তিনি অজানা এক উচ্চস্বরে স্বামীকে কিছু বলছিলেন, যা "ডলফিনের ক্লিকের মতো" শোনাচ্ছিল। কয়েক মিনিট ধরে তা চলতে থাকে এবং উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যান।

“আমি থামাতে পারছিলাম না; এটি আমার ভেতর দিয়ে আসছিল, যেন আমি মধ্যস্থতা করছি,” তিনি বলেন। “আমি মানুষের কণ্ঠে আবেগের রঙ দেখতে পাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি পুনর্জন্ম লাভ করেছি।”

অ্যাপকাল্লু প্রজাতি ও বার্তা
নিকোল জানান, এই নীলচর্ম প্রাণীরা কোনো গ্রহের এলিয়েন নয়, বরং "অ্যাপকাল্লু" নামের ইন্টারডাইমেনশনাল (মহাজাগতিক স্তরের) এক জাতি, যাদের কখনও কখনও ‘ডেমিগড’ বা আধিদেবতা বলা হয়ে থাকে এবং যাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মানবসভ্যতার বিকাশের পেছনে তাদের হাত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই প্রাণীরা তাকে একটি দায়িত্ব দিয়েছেন—"ভালোবাসা মৃত্যুর চেয়ে শক্তিশালী" এই বার্তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে।

“জীবনে প্রতিটি দিন যদি আমরা ভালোবাসা ছড়িয়ে দিই, তবে পৃথিবীতেই স্বর্গ গড়ে উঠবে। আমি এখন মৃত্যুকে ভয় পাই না, কারণ জানি—ওপারে কী অপেক্ষা করছে,” বলেন নিকোল।

সূত্রঃ টাইমস ইন্ডিয়া

ইমরান

×