
ছবি: সংগৃহীত
পিউ রিসার্চ সেন্টারের ‘গ্লোবাল রিলিজিয়াস ল্যান্ডস্কেপ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বে ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ৩৪৭ মিলিয়ন বা ৩৪ কোটিরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হিসেবে, ইসলাম এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম।
৯ জুন প্রকাশিত এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা বিশ্বে মোট জনসংখ্যার ২৫.৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা আগের দশকের তুলনায় ১.৮ শতাংশ পয়েন্ট বেশি।
বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম হচ্ছে খ্রিস্টধর্ম। বর্তমানে খ্রিস্টানদের সংখ্যা ২৩০ কোটি হলেও, মোট জনসংখ্যার অনুপাতে খ্রিস্টধর্মের অনুসারীর হার কমে ২৮.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক খ্রিস্টান ধর্ম থেকে সরে এসে ধর্মহীন হয়ে পড়েছেন বা অন্য ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে এই পতন সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
ধর্মহীন বা ‘ননস’ হিসেবে পরিচিত মানুষদের সংখ্যা ২৭০ মিলিয়ন বা ২৭ কোটিরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ১৯০ কোটিতে পৌঁছেছে। এদের সংখ্যা বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ২৪.২ শতাংশ।
চতুর্থ অবস্থানে আছে হিন্দুধর্ম। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা ১২৬ মিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়ে ১২০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। যদিও মোট জনসংখ্যার অনুপাতে হিন্দুদের হার সামান্য কমে ১৪.৯ শতাংশে এসেছে (২০১০ সালে ছিল ১৫ শতাংশ)।
ইহুদি জনসংখ্যা ১ কোটি ৪০ লাখ থেকে বেড়ে ১ কোটি ৫০ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা প্রায় ৬ শতাংশ বৃদ্ধি। এদের মধ্যে ৪৫.৯ শতাংশ বাস করে ইসরায়েলে এবং ৪১.২ শতাংশ উত্তর আমেরিকায়।
এদিকে, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ২০২০ সালে আগের দশকের তুলনায় কমেছে ০.৮ শতাংশ। এটি প্রধান ধর্মগুলোর মধ্যে একমাত্র যা হ্রাস পেয়েছে।
প্রতিবেদনটি আরো জানায়, মুসলমানদের মধ্যে শিশুদের অনুপাত সবচেয়ে বেশি — বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মধ্যে ১৫ বছরের নিচে বয়সী শিশুদের সংখ্যা ৩৩ শতাংশ। এই প্রবণতার পেছনে রয়েছে সাব-সাহারান আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যার আধিক্য, যেখানকার জনগোষ্ঠী তুলনামূলকভাবে অল্পবয়সী।
অন্যদিকে, ইহুদি ও বৌদ্ধদের মধ্যে ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের হার সবচেয়ে বেশি — প্রায় ৩৬ শতাংশ।
খ্রিস্টানদের বয়সগত বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্য; আফ্রিকায় সবচেয়ে কম বয়সী খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী এবং ইউরোপে সবচেয়ে বেশি বয়সীদের সংখ্যা বেশি। হিন্দুদের মধ্যে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের হার সবচেয়ে বেশি — প্রায় ৫৫ শতাংশ, আর ৩৩ শতাংশ শিশু।
সূত্র: এনডিটিভি
এম.কে.