ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১

রায়ের বাজারে হচ্ছে পয়ঃশোধনাগার

প্রকাশিত: ২০:০৮, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রায়ের বাজারে হচ্ছে পয়ঃশোধনাগার

পয়ঃশোধনাগারের একটি প্রতীকী ছবি

স্টাফ রিপোর্টার রাজধানী ঢাকার রায়ের বাজার, হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বসিলা, কল্যাণপুর, শ্যামলী গাবতলী এলাকায় স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে রায়ের বাজার পয়ঃশোধনাগার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও শুরু হয়েছে। এবারে এটি স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের একটি প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (এননেকবৈঠকে। ভূমি অধিগ্রহণ হলে তার পর মাটি পরীক্ষাসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সব কাজ শেষ করে পয়ঃশোধনাগার স্থাপনের প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে প্রণয়ন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে পয়ঃশোধনাগারের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়।  পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য ঢাকা ওয়াসার অধীনে চলমান ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ডিওএইচডব্লিউএ-এসটিইউপি-ডিডিসি-আইডব্লিউএম জেভি শীর্ষক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসটিপি নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালাচ্ছে। ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হলে সয়েল টেস্টসহ অন্য কাজগুলো সম্ভাব্যতা সমীক্ষার আওতায় শেষ করা হবে। এর পর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসটিপি নির্মাণ প্রকল্পের বিস্তারিত প্রতিবেদনসহ দরপত্র ব্যয় প্রাক্কলনের কাজ শেষ করবে।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহ পয়ঃনিষ্কাশন সেবা দিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ঢাকা ওয়াসা। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ঢাকা মহানগরীর সুয়েজ ব্যবস্থা প্রায় ৯৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বিভিন্ন ব্যাসের ভূগর্ভস্থ স্যুয়ারেজ লাইন, ২৬টি স্যুয়ারেজ লিফট স্টেশন পাগলা এলাকায় একটি পয়ঃশোধনাগারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলে এই মহানগরীর মাত্র ৩০ শতাংশ এলাকাকে স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি এলাকাকেও এর আওতায় আনতে হবে।

লক্ষ্যেই বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঢাকা ওয়াসা স্যুয়ারেজ মাস্টারপ্লান প্রণয়ন করেছে। এর অধীনে ঢাকা মহানগরী আশপাশের এলাকাকে ১১টি স্যানিটেশন ক্যাচমেন্টে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রায়ের বাজার (কল্যাণপুর) ক্যাচমেন্ট এলাকার মধ্যেই মূলত পড়েছে রায়ের বাজার পয়ঃশোধনাগারটি। সেটি স্থাপনের জন্যই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা যাচাইসহ বিস্তারিত প্রকল্প প্রণয়নের কাজ করছে। একনেকে এই প্রকল্পের জন্যই ভূমি অধিগ্রহণের করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) . মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের বড় একটি একাংশে পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত হবে। পয়ঃশোধনাগারটি নির্মাণে ৫৫ দশমিক ৯৭১ একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্যই প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হচ্ছে। অধিগ্রহণ করা ভূমিতে পৃথক প্রকল্পের আওতায় পয়ঃশোধনাগারটি নির্মাণ করা হবে। ওই প্রকল্পের অর্থায়নের বিষয়েও এডিবি থেকে প্রাথমিক সম্মতি পাওয়া গেছে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে।

×