
মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতিপদক গ্রহণ করছেন পালানাট্য রচয়িতা সায়িক সিদ্দিকী
দেশের নাট্যচর্চা ও আন্দোলনের বরণীয় দুই ব্যক্তিত্ব মুনীর চৌধুরী ও মোহাম্মদ জাকারিয়া। স্বাধীনতা-পূর্ব প্রতিকূল পরিবেশে মঞ্চনাটকের আশ্রয়ে আলোকশিখা জ্বেলেছিলেন মুনীর চৌধুরী। কারাবন্দি থেকে লিখেছেন কালজয়ী নাটক ‘কবর’। অন্যদিকে একইসঙ্গে এপার বাংলা ও ওপার বাংলার নাট্যচর্চায় আলো ছড়িয়েছেন মোহাম্মদ জাকারিয়া। আপন কীর্তির গুণে হয়ে উঠেছিলেন বাংলা নাটকের পালাবদলের রূপকার। রবিবার মুনীর চৌধুরীর জন্মদিনে নাট্যভুবনের এই দুই কীর্তিমানের নামাঙ্কিত পদক প্রদান করল স্বনামধন্য নাট্যদল থিয়েটার। ‘থিয়েটার’ প্রবর্তিত ‘মুনীর চৌধুরী সম্মাননা’ পেলেন নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনয়শিল্পী লাকী ইনাম এবং মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতিপদক পেলেন পালানাট্য রচয়িতা ও নির্দেশক সায়িক সিদ্দিকী। হেমন্ত সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে এই সম্মাননা ও স্মৃতিপদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পদকপ্রাপ্তদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পদক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। সভাপতিত্ব করেন থিয়েটার সভাপতি প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী ফেরদৌসী মজুমদার। স্বাগত ভাষণ দেন থিয়েটারের সাংগঠনিক পরিচালক নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন শহীদ মুনীর চৌধুরীর পুত্র আসিফ মুনীর ও মোহাম্মদ জাকারিয়ার কন্যা অধ্যাপক সুরমা জাকারিয়া। আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের সৌজন্যে মুনীর চৌধুরী সম্মাননাপ্রাপ্ত লাকী ইনামকে ৫০ হাজার এবং মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতিপদকপ্রাপ্ত সায়িক সিদ্দিকীকে ২৫ হাজার টাকার অর্থমূল্য তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে পালানাট্য পরিবেশন করেন সায়িক সিদ্দিকী।
রাধারমণ লোকসংগীত উৎসবের সমাপ্তি ॥ রবিবার সমাপনী দিনে বর্ণিল রূপ নেয় রাধারমণ লোকসংগীত উৎসব। বৈষ্ণব সাধক ও লোকসংগীতের মরমী কবি উকিল মুন্সী, জালালউদ্দিন খাঁ, সৈয়দ শাহনুর, শাহ আরকুম আলীর গানের সুরে মুখর হয়ে ওঠে সংগীতাসর। সিলেটসহ বাংলার ভাটি অঞ্চলের শিল্পীদের পরিবেশনা ¯িœগ্ধতা ছড়িয়েছে উৎসব আঙিনা বাংলা একাডেমি চত্বরে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এম পি, বিশেষ অতিথি ছিলেন অসীম কুমার উকিল এম পি, নাট্যজন ম হামিদ ও নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী ও সুনামগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন কবি টি এম আহমেদ কায়সার ও কবি শামীম রেজা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ড. বিশ্বজিৎ রায় ও সভাপতি মাহমুদ সেলিম।
আলোচনার পর ছিল লোকসংগীতের আসর। শুরুতেই লোকাঙ্গন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা গেয়ে শোনান রশিদ উদ্দিনের গান।