ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাজাভোগের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কাউন্সিলর

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ১২ জানুয়ারি ২০২২

সাজাভোগের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কাউন্সিলর

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দুই পাওনাদারের দায়েরকৃত চেক ডিজঅনারের পৃথক দুটি মামলায় আদালতের বিচারক ২০ মাসের সাজা ও ৩১ লাখ টাকা অর্থদন্ড করেছেন। এ রায় ঘোষণার পর থেকেই নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জেলার উজিরপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দুইবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর খাইরুল আলম। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকায় ওই ওয়ার্ডেও বাসিন্দাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পরার পাশাপাশি চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, সাজাভোগের ভয়ে পালিয়ে থাকা কাউন্সিলর খাইরুল গোপনে বিভিন্ন সময় পৌর কার্যালয়ে এসে নিজের বেতন-ভাতা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে থানা পুলিশের দাবি, আদালতের সাজাপ্রাপ্ত আসামি খাইরুল আলমকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে ব্যবসার কথা বলে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর জব্বার রাঢ়ীর কাছ থেকে ১৭ লাখ এবং একই এলাকার সরোয়ার হোসেন খলিফার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা ধার নিয়েছেন কাউন্সিলর খাইরুল আলম। ধারের টাকা ফেরত দিতে না পেরে কাউন্সিলর খাইরুল পাওনাদারদের ব্যাংকের দুইটি চেক প্রদান করেন। পরবর্তীতে চেক দুটি ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক কর্মকর্তা তা ডিজঅনার করেন। এরপর ওই দুই পাওনাদার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। গত বছরের ২৫ জানুয়ারি ওই দুই মামলায় কাউন্সিলর খাইরুলকে আদালত ১০ মাস করে ২০ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৩১ লাখ টাকা অর্থদন্ড করেন। কাউন্সিলর খাইরুল আলমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পাওনাদারদের টাকা ফেরত দিয়ে আদালতের ঝামেলা মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
×