ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

৩৭ বছরেও কাটেনি ৮৮ সালের বন্যার দুর্ভোগ

সংবাদদাতা, সরিষাবাড়ী, জামালপুর

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ১৪ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০০:০৫, ১৫ জুলাই ২০২৫

৩৭ বছরেও  কাটেনি ৮৮ সালের বন্যার দুর্ভোগ

চলাচলের অযোগ্য এ রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বন্যায় চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের  চলাচলের প্রধান রাস্তা ভেঙে গেলেও ৩৭ বছরে আর লাগেনি জোড়া, হয়নি কোনো ব্রিজ। তাই চলাচলের অযোগ্য এ রাস্তায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা।


জানা যায়, চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ বহু বছরের পুরানো ঝালুপাড়া ব্রিজ হতে কাঠের ব্রিজ হয়ে গিয়াসের মোড়, ব্রাহ্মণজানি রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন সরিষাবাড়ী ও কাজীপুর উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে থাকে। গত ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় এ রাস্তাটি ভেঙে গিয়ে তৈরি হয় বিশাল আকৃতির দুটি জলাশয় (প্রাকৃতিক সৃষ্টি পুকুর)। তখন থেকেই মানুষ সেই জলাশয়ের পাড় দিয়ে যাতায়াত করলেও দীর্ঘ  ৩৭ বছরেও সেখানে কোনো ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। সংস্কার বা নির্মাণ করা হয়নি কোনো পাকা রাস্তা।


অথচ মাজনাবাড়ী, সালালচর, কুমারিয়াবাড়ী, শালগ্রাম, ছিন্না, ভোলারদিয়ার, শালদহ, চরসরিষাবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের  জনগণের সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরে যোগাযোগের সবচেয়ে পুরাতন ও প্রধান রাস্তা এটি। সম্প্রতি কাঠের ব্রিজে হয়েছে বড় একটি সেতু, হয়েছে ঝালুপাড়া হতে এ ব্রিজ পর্যন্ত পাকা রাস্তা। কিন্তু অবহেলিতই রয়ে গেছে কাঠের ব্রিজ হতে গিয়াসের মোড় পর্যন্ত এ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি।


এ বিষয়ে পথচারী চরসরিষাবাড়ী গ্রামের সোবাহান মেকার বলেন, এটি আমাদের চরের মানুষের সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরে যোগাযোগের প্রধান রাস্তা। গত ১৯৮৮ সালের বন্যায় এ রাস্তাটির দুই জায়গায় ভেঙে বড় দুটি জলাশয় সৃষ্টি হয়েছে। তখন থেকেই আমরা জলাশয়ের পাড় দিয়ে চলাচল করি। আমাদের রাস্তাটির খুব খারাপ অবস্থা, যাওন যায় না। আমি সাইকেল থেকে নেমে হেঁটে ব্রিজ পর্যন্ত যেতে হবে। সরিষাবাড়ী থেকে ব্রাহ্মণজানি বাজারসহ এর মাঝে যেগুলো গ্রাম আছে সেই গ্রামগুলোতে যাতায়াত করতে হলে অনেক দূর হয়ে ঘুরে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় নষ্ট হয়। এ রাস্তাটি পাকা হলে আমাদের আর কষ্ট হবে না।

 

স্থানীয় সচেতন এক ব্যক্তি জানান, সম্প্রতি একজন গর্ভবতী মা যিনি পেশায় একজন শিক্ষিকা কোনো গাড়ি চলাচল না করায় অনেক কষ্ট করে পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কয়েকবার পা পিছলে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এটি দেখে আমি বাবাকে বলে আমার বাড়ির সামনের রাস্তাটুকু মাটি কেটে দেই। এই রাস্তাটি পাকা হওয়া খুবই প্রয়োজন। আমরা কর্তৃপক্ষকে দ্র‍ুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাই। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে পাওয়া যায়নি।

প্যানেল

×