ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ১০ জানুয়ারি ২০২২

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর

বাংলাদেশের রয়েছে গর্ব করার মতো স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস। সেই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক। সামরিক বাহিনী- সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী কী কাজ করে, কীভাবে চলে বা অতীতে তারা কী করেছেন, সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে মানুষের রয়েছে প্রচ- আগ্রহ। সে লক্ষ্য থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজয় সরণির বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রান্তে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মানের স্থাপত্য কীর্তি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎপর্যপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর (বিএমএম) কেবল দেশের সশস্ত্র বাহিনীর ইতিহাসকে ধারণ করবে না, তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের জন্য কাজ করতেও অনুপ্রাণিত করবে। জাদুঘর দেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য হবে একটি মাইলফলক। এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম ও শিশুরা মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সম্পর্কে জানতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের এক পর্যায়ে বলেন, এটি বিশ্বের মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিনির্ভর সামরিক জাদুঘর। এখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর জন্য পৃথক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকায় এখানে আগত তরুণ থেকে বয়োবৃদ্ধরা যেমন এ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে পারবেন, তেমনি তরুণ প্রজন্ম সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানে আরও আগ্রহী হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরও উদ্বুদ্ধ হবে। ১৯৮৭ সালে প্রথম সামরিক জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯৯ সালে এটি স্থায়ীভাবেস্থানান্তর করা হয় বিজয় সরণিতে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের ব্যাজ, পোশাক, অস্ত্র, গোলাবারুদ, ক্যানন, এ্যান্টি এয়ারক্র্যাফ্ট গান এবং যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন যানবাহন জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পর তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছ থেকে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন যানবাহন এবং অস্ত্রও রয়েছে সংরক্ষিত। পাশাপাশি সেখানে সরকারী উপহারগুলো প্রদর্শনীর জন্য একটি তোষাখানা জাদুঘরও নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে সামরিক বাহিনী। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের পশ্চিম পাশে ১০ একর জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর জন্য নির্ধারিত গ্যালারিসহ ছয়টি পৃথক অংশ রয়েছে এবং প্রতিটি গ্যালারিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার। ঐতিহ্যমন্ডিত ও নান্দনিক জাদুঘরটি সাধারণ মানুষের কৌতূহল মেটানো এবং ইতিহাস সম্বন্ধে বিশদ জানার সুযোগ করে দিয়েছে নিঃসন্দেহে।
×