ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পীরগঞ্জে হামলায় বহিরাগতরা ছিল ॥ স্পীকার

মাঝিপাড়ায় এখন সুনসান নীরবতা, আতঙ্ক কাটেনি

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ২০ অক্টোবর ২০২১

মাঝিপাড়ায় এখন সুনসান নীরবতা, আতঙ্ক কাটেনি

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়ায় এখন সুনসান নীরবতা। প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতা এবং স্পীকারের আগমনে আতঙ্ক কিছুটা কাটলেও পুরোপুরি দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারছেন না ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। তাদের অনেকের সোনা-দানা, টাকা-পয়সা, গবাদি পশু লুট হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়েছে থাকার ঘর, আসবাবপত্র, কাপড়- চোপড়। এতবড় ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা তাদের জন্য কষ্টকর। পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি মেরামত করার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। তবে, নতুন করে যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে ওই এলাকাসহ পাশর্^বর্তী এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব এবং বিজিবি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সেখানে তিন স্তরের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে বলে জানান, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং স্পীকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, যাদের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে তাদের ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে এবং তাদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে, পীরগঞ্জে ইসলাম ধর্ম অবমাননা করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে পরিতোষ সরকার নামে এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর জেলা পুলিশের একটি দল জয়পুরহাট জেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। অপরদিকে রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুপাড়ায় বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটের ঘটনায় এক মামলায় ৩৮ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। পীরগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে এ আদেশ দেন। আদালত পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বলেন, পীরগঞ্জে হিন্দুপাড়ায় সহিংসতার এক মামলায় ৪১ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক। বাকি ৩৮ জনকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিষয়ে এখনও শুনানি হয়নি। গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলার একমাত্র আসামি যে কিশোর পরিতোষ সরকার তার বিষয়েও আদালত কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি। তাকেও আদালতে তোলা হয়েছিল। পীরগঞ্জে হিন্দুপাড়ায় রবিবার রাতের সহিংসতার ঘটনায় দুটি মামলা করেন পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন। মামলা দুটি মঙ্গলবার সকালে রেকর্ড করা হয়। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুরেশ চন্দ্র জানান, বাড়িঘরে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটের ঘটনায় করা মামলা তদন্ত করছেন পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব রহমান এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলা তদন্ত করছেন এসআই সাদ্দাম হোসেন। সহিংসতার ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত ৪২ জনকে আটক করা হয়। তাদের সবাইকে পরের দিন গ্রেফতার দেখানো হয়। এর মধ্যে একটি মামলার আসামি ৪১ জন, অপর মামলার আসামি একজন। রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (পীরগঞ্জ-মিঠাপুকুর সার্কেল) মোঃ কামরুজ্জামান জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল পরিতোষ সরকার। সোমবার রাতে জয়পুরহাট জেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরেকটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়ার পরিতোষ সরকার নামে এক কিশোর ইসলাম ধর্ম অবমাননা করে ফেসবুকে ছবি পোস্ট বা কমেন্ট করেছে এমন অভিযোগে রবিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ওই যুবকের বাড়ি ঘিরে ফেলে উত্তেজিত জনতা। একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এরপর ভয়ে ওই যুবক সপরিবারে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে ওই যুবকের বাড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করে। কিন্তু রাত ১০টার পর ওই যুবকের বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বেশ কিছু হিন্দুর বাড়িঘর ও দোকানপাটে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লবব কুমার সরকার বলেন, হামলাকারীদের কোন ছাড় নেই। ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে অনেকের নাম পরিচয় পেয়েছি। আমরা সব কিছু খতিয়ে দেখছি। যারা এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। সা¤প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হিন্দুপাড়া পরিদর্শন করেছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সনজিৎ কুমার ভাট্টি। তিনি মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করেন। হামলায় বহিরাগতরাও অংশ নিয়েছিল- স্পীকার ॥ রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু স¤প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় বহিরাগতরাও অংশ নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন এই আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। মঙ্গলবার দুপুরে পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় করিমপুর কসবা গ্রামের উত্তরপাড়া পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন স্পীকার। স্পীকার বলেন, আমরা স্থানীয় এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, হামলার সময় অনেক বহিরাগত লোক ছিল। যাদের চেহারা এলাকার লোকজন চিনতে পারেননি। বহিরাগতদের অনেকের কাছে পেট্রোল ছিল। অবশ্যই এটা পরিকল্পিত ঘটনা। তা না হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটার কথা নয়। পীরগঞ্জে এ ধরনের অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি। তিনি বলেন, এবার পূজাতেও পীরগঞ্জের ৯৮টি মণ্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপিত হয়েছে। সেখানে সরকারী সহায়তার পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত, উপেজলা প্রশাসন ও দলের সহায়তা ছিল। ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় পূজার সময়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু পূজা শেষে হঠাৎ এ ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা কীভাবে ঘটল, এটার গোড়ায় আমাদের যেতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে প্রকৃত অপরাধীদের গোড়া বের করা সম্ভব হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রামনাথপুরের মাঝিপাড়ায় উত্তেজনা ছড়ানোর খবর আমরা পাওয়ার আগে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন পেয়েছিল। পীরগঞ্জ থানার ওসি তার ফোর্স নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। মাঝিপাড়াকে তারা সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করেছেন। তারা ফোর্স দিয়ে মাঝিপাড়াকে ঘিরে রেখেছিলেন, যাতে সেখানে কোন ধরনের আক্রমণ না হতে পারে। এর মধ্যে রংপুর জেলা পুলিশ সুপারও ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে মাঝিপাড়ায় আক্রমণ না করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতরা বড় করিমপুরে কিছু কিছু বাড়িতে বিচ্ছিন্নভাবে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন সেখানে পুলিশের ফোর্স টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। শিরীন শারমিন বলেন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভায়। তারপরও ২৮টি বাড়ি পুড়ে গেছে। কিছু গবাদিপশু পুড়ে গেছে এবং অনেকের বাড়িঘর ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। এ ধরনের ন্যক্কারজনক, নাশকতামূলক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং প্রশাসন একটা সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করবে বলে আশা করছি। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সজ্জিত হতে হবে- ইনু ॥ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, সারাদেশের ৩২ হাজার মণ্ডপে নিরাপত্তা দিয়ে আক্রমণ আটকাতে পারল সরকারের প্রশাসন। সেই একই প্রশাসন মাত্র ৫০টা জায়গায় হামলা আটকাতে পারল না। তাহলে এখানে নিশ্চয়ই প্রশাসনের অদক্ষতা কিংবা গাফিলতি রয়েছে। অথবা প্রশাসনের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা সাম্প্রদায়িক কর্মচারীর ইচ্ছেকৃত নিষ্ক্রিয়তাই দায়ী। প্রশাসনের ভিতরে খন্দকার মোশতাক চক্র এখনও ক্রিয়াশীল। এখনও প্রশাসন পরিষ্কার নয়। এখনও উপরে অসাম্প্রদায়িক সরকার, আর প্রশাসনের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা সাম্প্রদায়িক চক্র চক্রান্ত করে চলেছে। এসব অবশ্যই তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূল্যবোধে সজ্জিত হবে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রংপুরের পীরগঞ্জে হামলার শিকার করিমপুর কসবার জেলে পল্লী পরিদর্শন শেষে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, খালেদা জিয়ার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলেও রাজনীতির মাঠে সক্রিয়। যখন আমরা সামরিক শাসনের ধারা থেকে বেরিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক ধারায় বাংলাদেশকে পরিচালিত করছি। তখন সরাসরি রাজাকারের সমর্থনে বিএনপির নেতৃত্বে উপর্যুপরি সাড়ে ১২ বছর ধরে কখনও জঙ্গী তাণ্ডব, কখনও হেফাজতের উত্থান, কখনও আগুন সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে। ওদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তাই তারা মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে। সেজন্য আক্রমণের সংখ্যাটা বেড়ে যাচ্ছে। জঙ্গী জামায়াত ধর্মান্ধ সন্ত্রাসীদের মাথায় একটা রাজনৈতিক ছাতা ধরে রেখেছে বিএনপি। যতক্ষণ এই ছাতা ধরে রাখবে ততক্ষণ বাংলাদেশে জঙ্গী উৎপাদন-পুনরুৎপাদন হবে এবং জঙ্গী আক্রমণের আশঙ্কাও থেকে যাবে। সারাদেশে পূজামণ্ডপে হামলার দুটো কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি আরও বলেন, একটি হচ্ছে আফগানিস্তানে তালেবানদের ক্ষমতা দখলের ফলে সারা পৃথিবীতে বিশেষ করে উপমহাদেশে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। জঙ্গীদের মাঝে তথাকথিত জোশ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের জঙ্গীদের মাঝেও একটা উৎসাহ উৎসাহ ভাব দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয়ত বিএনপি একটা রাজনৈতিক প্রস্তাব মাঠে ছেড়েছে। সেই প্রস্তাবটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। শেখ হাসিনার সাংবিধানিক সরকারকে হটিয়ে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচন বর্জনের প্রস্তাব। রাজনৈতিক অস্বাভাবিক সরকার গঠনের প্রস্তাবের ছাতার তলে সাম্প্রদায়িক হামলা একই সূত্রে গাঁথা। অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠার কর্মসূচীকে জোরদার করার জন্য হিন্দু কার্ড খেলা হচ্ছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য সংখালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, আগুন দেয়া, পূজামণ্ডপে হামলা চালানো হচ্ছে। একটা দাঙ্গা দাঙ্গা ভাব তৈরিরও চেষ্টা চলছে। ইসকন একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য সেখানেও হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলা ঠিক হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপরে নয়, এ হামলা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হামলা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা।
×