ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাংবাদিকপ্রিয় শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০০:৩৪, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

সাংবাদিকপ্রিয় শেখ হাসিনা

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী সফর ছিল সিলেট অঞ্চলে। এর আগে তিনি সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন। সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছিলেন নির্বাচনী প্রচার। শেষের দিকে আবারও হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সিলেট অঞ্চল হয়ে তা রাজশাহীতে গিয়ে শেষ হয়। সাংবাদিক টিমে আমিসহ ১২/১৩ জন রিপোর্টার ও ফটোগ্রাফার ছিলাম তাঁর সঙ্গে। ঢাকা থেকে গাড়িতে রওনা হয়ে হবিগঞ্জ এলাকায় সারাদিন জনসভা-পথসভা করে সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল। রিপোর্ট তৈরি করে ঢাকায় পাঠিয়ে রাতের খাবার খেতে প্রায় ১২টা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর প্রচার বিভাগের মৃণাল কান্তি দাশ (এখন মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের এমপি) অর্থাৎ রিপোর্টারদের প্রিয় মৃণাল দা আমাদের সঙ্গে। শুতে গিয়ে দেখা গেল আমাদের জন্য কোন জায়গা নেই। ডাক বাংলোয় কয়েকটি রুম সাংবাদিকদের জন্য রাখা হলেও ছোট্ট শহরে কোন জায়গা না পেয়ে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতারা তা দখল করে নিয়েছেন। সারা দিন পরিশ্রম করে শোবার জায়গা না পেয়ে আমাদের মেজাজ বিগড়ে গেল। দুটি রুমে ১২/১৩ জন রিপোর্টার-ফটোগ্রাফার রাত কাটিয়ে সকালে মেজাজ আরও তিরিক্ষি হয়ে যায়। নাশতা না খেয়েই আমি এবং প্রণব (ভোরের কাগজের প্রণব সাহা, বর্তমানে টিভি চ্যানেল ডিবিসির এডিটর) দুজন গিয়ে দাঁড়ালাম আপার (শেখ হাসিনার) রুমের সামনে। জানতাম তাঁকে জানাতে পারলে পরবর্তী দিনগুলোর জন্য এর বিহিত হবে। দরজায় গিয়ে দাঁড়াতেই তিনি বুঝতে পারলেন কিছু একটা হয়েছে। ব্যক্তিগত সহকারীদের কাছে জেনে নিলেন কি কারণে আমরা তাঁর দরজায়। স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ অনুরোধ করলেন যাতে আপার কাছে কিছু না বলি। আমরা অনড়। আপার সঙ্গে দেখা করবই। ভেতর থেকে ডাক এলো। গিয়ে দেখি নাশতার টেবিল সাজানো। কোন কথা না শুনে তিনি আমাদের খেতে বললেন। আমরা বললাম আমাদের কথা শুনতে হবে। তিনি বললেন, ‘আমি সব জানি। না খেলে কোন কথা শুনব না।’ সবাইকে রেখে আমরা খেতে রাজি হচ্ছিলাম না। তিনিও নাছোড়বান্দা। না খেলে কথা শোনবেন না। বাধ্য হয়ে আমরা খেলাম। তিনি সামনে বসে আমাদের খাওয়ালেন। খাওয়া শেষ হলে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই তিনি বললেন, রাতে যারা ঘুমাতে পারনি আজ সারাদিন তারা আমার দুটি গাড়িতে চড়বে। আমরা হতবাক এবং বিব্রত। আমরা আপনার গাড়িতে চড়ব? আপনি যাবেন কিসে? তিনি বললেন, আমার ব্যবস্থা আমি করে নেব। পরে সত্যি দেখলাম তিনি মৌলভী বাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিনের গাড়িতে উঠে গেলেন। বাধ্য হয়ে আমরা তার গাড়িতে সারা দিন সফর করলাম। আরো একটি ঘটনা আজ খুব মনে পড়ে। সম্ভবত ৯৫ সালের শেষ দিকে। বরিশাল অঞ্চলে সফরসূচী দেয়া হল। ঢাকা থেকে লঞ্চে বরিশাল এবং ওখান থেকে গাড়িতে বিভিন্ন এলাকায় জনসভা ও পথসভা। ‘সাগর’ কোম্পানির লঞ্জে যাত্রা শুরু সন্ধ্যায়। সাংবাদিকদের গাড়ি সদরঘাট পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। লঞ্চে উঠে দেখা যায় সাংবাদিকদের জন্য কোন কেবিন খালি নেই। দলীয় নেতা-কর্মীরাই সব দখল করে নিয়েছেন। আমরা লঞ্চের ডেকে ব্যাগপত্র রেখে বসে আছি। অসন্তোষ-হৈচৈ ইত্যাদি চলছে। দলের একজন সিনিয়র নেতা বাথরুমে যাওয়ার সময় হৈচৈ শুনে দাঁড়ালেন। জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে। কেবিন না পাওয়ার কথা বললাম তাকে। সমাধান না করে তিনি উল্টো ধমকের সুরে বললেন, ‘এ জন্য এত হৈচৈ করার কি আছে।’ আমরা মন খারাপ করে বসে থাকলাম। রাতে লঞ্চের তিন তলা থেকে ডাক এলো। আপা সাংবাদিকদের ডাকছেন খাবার জন্য। কেউ যেতে রাজি হচ্ছে না। সবাই বলল, আজ আমরা খাব না। আপা খবর নিলেন কি হয়েছে। এবার তার সহকারী বাহাউদ্দিন নাসিম (বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক) এসে বললেন, আপনারা না গেলে আপা নিজে আসবেন। আমরা আর না গিয়ে পারলাম না। তিন তলায় খোলা আকাশের নিচে খাবারের আয়োজন। সম্ভবত পূর্ণিমার চাঁদ আকাশে ঝলমল করছে। নদীর শীতল বাতাসে মন জুড়িয়ে যায়। স্নেহের কণ্ঠে আপা বললেন, খাবারের সঙ্গে রাগ করতে হয় না। আগে খেয়ে নাও পরে সমস্যার সমাধান করছি। আমরা বললাম, কষ্ট করতে আমাদের সমস্যা নেই। সমস্যা সমাধান না করে ধমক দেয়া তো ঠিক নয়। তিনি মুচকি হাসলেন। মাতৃ স্নেহে নিজ হাত পরিবেশন করে আমাদের খাওয়ালেন। একটি ইলিশ মাছের মাথা আমার পাতে তুলে দিয়ে বললেন, এটি ওই নেতার মাথা যিনি তোমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। চিবিয়ে চিবিয়ে খাও। আমরা হতবাগ। মান-অভিমান ভুলে গেলাম নিমিষে। খাবার পর অনেক রাত পার্যন্ত ওখানে গল্প হলো। খোলা আকাশের নিচে পূর্ণিমা চাঁদের আলোতে মায়াবি পরিবেশে আমরা আবিষ্কার করলাম অন্য শেখ হাসিনাকে। প্রাণোচ্ছল গল্প, রসিকতা এবং রাজনৈতিক ঠাট্টা ইয়ার্কিতে ভরিয়ে রাখলেন কয়েক ঘণ্টা। রাতে শোয়ার সময় দেখলাম সবার জন্য কেবিনের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এই হচ্ছে শেখ হাসিনা। আমাদের প্রিয় স্নেহময়ী আপা। সাংবাদিকপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাংলাদেশের সকল জেলাই সফর করা হয়েছে। এমনকি দেশের অধিকাংশ উপজেলাও সফর করেছি তাঁর সঙ্গে। দীর্ঘ সময় ধরে সংবাদ সংগ্রহের কাজটি করতে গিয়ে নানা ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। অনেক সময় রাত কাটাতে হয়েছে রাস্তায় চলতে চলতে। কখনও খাবারের পরিবর্তে চা-বিস্কুটই ছিল ভরসা। শোয়ার জায়গা না পেয়ে এক রুমে ৮/৯ জনকে ঘুমাতে হয়েছে। যানবাহনেও তখন আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী সাংবাদিকদের জন্য ছিল দুটি স্থায়ী মাইক্রোবাস। একটি ১০ আসনের যা চালাতেন শাহজাহান এবং অপরটি ৭ আসনের যেটি চালাতেন আলী হোসেন। আওযামী লীগ সভানেত্রীর গাড়ি চালাতেন জালাল মিয়া। এই তিনজনই ছিলেন গাড়ি বহরের স্থায়ী চালক এবং তিনটিই ছিল স্থায়ী গাড়ি। এর বাইরে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের একটি গাড়ি, স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কয়েকটি গাড়ি থাকত বহরে। জালাল এবং শাহজাহাজন চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে পরপারে। এখনও আছেন আলী হোসেন। মাঝে মধ্যে কোথাও দেখা হলে জড়িয়ে ধরেন। মাইক্রো বাস দুটি চলতে চলতে এদের আয়ু প্রায় শেষের দিকে ছিল। কখনও সিট ভেঙ্গে পড়ত। কখনও বা বিগ্রে যেত ইঞ্জিন। এগুলোকে মেরামত করেই চলত সাংবাদিক বহনের কাজ। আমারা কয়েকজন সাংবাদিকের সেই পুরনো মাক্রোবাসেই কেটেছে জীবনের অনেকটা সময়। এত সমস্যাও আমাদের মনে কোন খেদ বা দুঃখবোধ ছিল না। কখনও খুব বেশি কষ্টও অনুভব করিনি। সবাই সব সময় ভেবেছি এটি আমাদের দায়িত্ব। আনন্দের সঙ্গেই এই দায়িত্ব পালন করেছি। একটাই কারন, শেখ হাসিনার স্নেহাশীষ। তাঁর অপার স্নেহের ছোয়ায় সব কষ্ট ভুলে যেতাম। কখনো মনেই হতো না আমরা কষ্ট করছি। একবার এই স্নেহের ছোঁয়া যিনি পেয়েছেন তিনি কোন দিনই ভুলতে পারবেনা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে। তিনি সাংবাদিক, আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী কিংবা রাজনৈকি নেতা-কর্মী যেই হোন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর জীবনের ওপর ঝুঁকি নেমে আসে। ইচ্ছে থাকলেও তিনি আগের মতো সবার সঙ্গে মিশতে পারেন না। তবুও কোন অনুষ্ঠানে পুরনো দিনের কারও দেখা পেলে পরম আন্তরিকতায় কাছে ডাকেন। খোঁজ খবর নেন। কাছে ডাকতে না পারলেও চোখের ইশারায় কুশল বিনিময় করেন। আমাদের সময় আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিট পদ্ধতি চালু হয়। আগে রাজনৈতিক বিটের রিপোর্টাররা ঘুরে ফিরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সংবাদ সংগ্রহ করতেন। শেখ হাসিনা সব সময় সফরসঙ্গী সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজখবর রাখতেন। খেতে বসার আগে জিজ্ঞেস করতেন সাংবাদিকরা খেয়েছে কিনা, শুতে যাবার আগে জিজ্ঞেস করতেন সাংবাদিকরা শোবার জায়গা পেয়েছে কিনা। এই খোঁজখবরের কারণেই আয়োজকরা সফরসঙ্গী সাংবাদিকদের ব্যপারে সতর্ক থাকতেন। দলের নেতাদের আগে সাংবাদিকদের দেখভাল করতেন। সেই সময় শেখ হাসিনার বক্তিগত সহকারী বাহাউদ্দিন নাসিম, নজিব আহমেদ, মৃণাল কান্তি দাস, বজলুর রহমান, মানু মজুমদার, আনাম সেন্টু সবারই ছিল সাংবাদিকদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সে সময় বেসরকারী টিভি চ্যানেল ছিল না। একমাত্র সরকারী চ্যানেল বিটিভিতে বিরোধী দলের নেত্রীর সংবাদ সম্প্রচার করা হতো না। হাতে গোনা কয়েকটি পত্রিকা এবং একটি বেসরকারী নিউজ এজেন্সি বিরোধী দলের নেত্রীর সংবাদ প্রচার করত। আওয়ামী লীগ বিটের রিপোর্টার-ফটোগ্রাফার ছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন। তারাই শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হতেন। ব্যক্তিগতভাবে শেখ হাসিনা প্রত্যেক রিপোর্টারকে চিনতেন এবং নাম ধরে ডাকতেন। সফরের সময় কিংবা তার কোন অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের তিনি ভরিয়ে রাখতেন বড় বোন কিংবা মায়ের স্নেহ-মমতায়। অনেকের ব্যক্তিগত খোঁজখবরও রাখতেন তিনি। কোন এলাকায় সফর করতে গেলে প্রতিদিন না হোক সফরের শেষ দিন কিংবা সুবিধাজনক কোন একটি সময় আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করতেন, সময় নিয়ে কথা বলতেন। কখনও নিউজ হতো আবার কখনও হতো পুরোটাই ‘অফ দ্য রেকর্ড’। রিপোর্টাররা নিজ দায়িত্বেই এই সিদ্ধান্ত নিতেন। অনেক সময় ৫/৬ দিনের দীর্ঘ সফরে বক্তব্য একই ধরনের হয়ে যেত। পত্রিকার একই ধরনের বক্তব্য ছাপা কঠিন ছিল। এ জন্য আমরা নতুন কোন বক্তব্য বা তথ্য পেতে চাইতাম। তাঁর কাছে আবদার করতাম নতুন কিছু বলার জন্য। তিনি আমাদের আবদার রাখতেন। বিশ্বের ইতিহাসে কোন নেতার কাছে সাংবাদিকরা এমন আবদার করতে পেরেছেন কিনা, আবদার করতে পারলেও তা রক্ষা করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের টুঙ্গিপাড়া যাওয়া হতো প্রতি বছরই। তখন টুঙ্গিপাড়ায় থাকার ব্যবস্থা ছিল না। গোপালগঞ্জে নেতাদের বাড়িতে ভাগ করে থাকতে হতো। খাবার ব্যবস্থা হতো বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে সরাসরি শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে। অনেক সময় তিনি নিজে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের খাবার পরিবেশন করতেন। কোন এলাকা থেকে সফর করে গভীর রাতে ঢাকায় ফিরলে বঙ্গবন্ধু ভবন, মিন্টো রোডের সরকারী বাসা কিংবা সুধা সদনে গাড়ি থেকে নেমে তিনি অপেক্ষা করতেন সাংবাদিকদের জন্য। কখনও কখনও নিজে পরিবেশন করে খাওয়াতেন সাংবাদিকদের। রাত বেশি হয়ে গেলে প্রত্যেক সাংবাদিকদের যারা যার বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করে তবেই তিনি ওপরে যেতেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখিনি। তার সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়নি। অগ্রজদের কাছে শুনেছি বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের খুবই সম্মান করতেন, স্নেহের চোখে দেখতেন। তখন সাংবাদিক কম ছিল। তিনি প্রায় সবাইকেই চিনতেন এবং ব্যক্তিগতভাবে সবার সুখ-দুঃখের খবর রাখতেন। প্রয়োজনে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। অগ্রজ অনেক সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে গিয়ে এখনও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। দীর্ঘ সময় শেখ হাসিনকে কাছে থেকে দেখে মনে হয়েছে, তিনি তার পিতার ধারাবাহিকতাই রক্ষা করে চলেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জন্য সব সময় তাঁর সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। ব্যক্তি পর্যায়ে কর্মসংস্থান, চিকিৎসাসহ নানা ধরনের মানবিক সহায়তার পাশাপাশি কল্যান ট্রাষ্টের মত প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তাও করে যাচ্ছেন সব সমসয়। জাতির জনকের মতো তার সুযোগ্য কন্যারও গভীর দেশপ্রেম, বিশাল হৃদয়, স্নেহ-ভালবাসায় পূর্ণ একটি উদার মন যা সহজেই মানুষকে স্পর্শ করে। এই স্নেহ-ভালবাসার স্পর্শের কোন তুলনা হয় না।
×