ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চুনারুঘাটে ইউএনও’র ভূমিকায় লাশ দেখতে পেরেছে স্বামী-সন্তানরা

প্রকাশিত: ১১:০২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

চুনারুঘাটে ইউএনও’র ভূমিকায় লাশ দেখতে পেরেছে স্বামী-সন্তানরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥ শাহনাজ কবীর (৩৮) নামে এক গৃহবধূ বাবার বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের টেকেরঘাটে মারা গেছেন। তিনি প্রায় ১৫ বছর যাবৎ রোগাক্রান্ত হয়ে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মারা যান। এ খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার চন্ডিবের গ্রাম থেকে চুনারুঘাটের টেকেরঘাটে ছুটে আসেন শাহনাজ কবীরের স্বামী হুমায়ূন কবীর, মেয়ে শোভা আক্তার (২০), রোবা আক্তার (১৮) ছেলে সিয়াম মিয়া (১২), শ্বশুর হাজী ওমর আলী। কিন্তু তারা লাশ দেখতে পারছিলেন না। এতে বাধা প্রদান করছিলেন শাহনাজ কবীরের বাবার বাড়ির স্বজনরা। তাই মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তারা চুনারুঘাট থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করেন। একই সাথে বিষয়টি চুনারুঘাটের ইউএনওকে জানান তারা। বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন। তিনি উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে লাশ দেখার ব্যবস্থা করতে বলেন। চেয়ারম্যান আলোচনা করে লাশ দেখার ব্যবস্থা করে দেন। অবশেষে শাহনাজ কবীরের লাশ দেখতে পান তার স্বামী ও সন্তানরা। পরে সকলের সিদ্ধান্তক্রমে রাতেই এ্যাম্বুলেন্স করে টেকেরঘাট থেকে লাশ দাফনের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার চন্ডিবের গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এসব কথা জানিয়ে শাহনাজ কবীরের মেয়ে শোভা আক্তার বলেন- আমার মায়ের চিকিৎসা চলছিল। আমরা সেবাযত্ন করে আসছিলাম। কয়েকদিন হলো মাকে নানা বাড়ি নিয়ে আসা হলে তিনি মারা যান। আমরা লাশ বাড়ি নিয়ে গিয়ে লাশ দাফন করতে চাই। কিন্তু নানা বাড়ির স্বজনরা এতে বাধা প্রদান করেছিলেন। তাই থানা ও ইউএনও মহোদয়ের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন- লাশ দেখতে কেউ যেন বাধা না দিতে পারে, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বলা হয়। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা করেন। স্বামী-সন্তানরা লাশ দেখতে পেয়েছে। তারা লাশ দাফনের জন্য বাড়ি নিয়ে গেছে।
×