ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড. জাহাঙ্গীর আলম

করোনাকালের দ্বিতীয় বাজেট ও প্রসঙ্গ কথা

প্রকাশিত: ২১:০৪, ১০ জুন ২০২১

করোনাকালের দ্বিতীয় বাজেট ও প্রসঙ্গ কথা

২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সংসদে নতুন বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে এটি ১৩তম বাজেট। করোনাকালের এটি দ্বিতীয় বাজেট। এ সরকারের আমলে বাজেটের আকার দ্রæত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে মোট বাজেটের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। ১০ বছর পর ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ৪.৭৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) মূল বাজেটে ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা সংশোধন করে নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত নয়া বাজেটের (২০২১-২২) আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭.৫ শতাংশ। গত বছরের মূল বাজেট অপেক্ষা প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬.৩ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে তা ১২ শতাংশ বেশি। উন্নয়নশীল একটি দেশের জন্য বাজেটের আকার আরও সম্প্রসারিত হওয়া উচিত। বিশেষ করে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জীবন ও জীবিকা রক্ষার জন্য বাজেটের আকার বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাজেট বাস্তবায়নে ও সম্পদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে। চলতি বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৬.২ শতাংশ। ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সংগৃহীত হবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংকবহির্ভূত খাত হতে আসবে ৩৭ হাজার ১ কোটি টাকা। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান প্রাপ্তির সম্ভাবনা ও প্রাপ্ত প্রতিশ্রæতি বেশ ইতিবাচক। ব্যাংকগুলোতে এখন তারল্য সঙ্কট নেই। দেশের নাগরিকদের নিকট থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও কোন অসুবিধা হবে না। প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১১.৩ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড উৎস হতে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। এনবিআর বহিভর্‚ত সূত্র হতে আসবে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া, করবহিভর্‚ত খাত থেকে রাজস্ব আহরিত হবে আরও ৪৩ হাজার কোটি টাকা। করোনাকাল প্রলম্বিত হলে রাজস্ব আয় প্রাক্কলিত আয়ের চেয়ে কম হতে পারে। তখন বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের ওপর নির্ভরতা বাড়বে। জনগণের নিকট থেকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের তাগিদও বাড়বে। কারণ, এ দুটো উৎস থেকে ধার নেয়া মূল্যস্ফীতির সহায়ক নয়। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বেশি ধার নেয়া হলে তা মূল্যস্ফীতিকে উস্কে দিতে পারে। বাজেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খাতওয়ারি বরাদ্দ। এবার করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতের দাবি ছিল সর্বোচ্চ। এ খাতে এবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। চলতি বছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ৩১ হাজার ৪৭২ কোটি টাকার সংস্থান রয়েছে। তাতে প্রবৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ শতাংশ। অতিরিক্ত বরাদ্দের পরিমাণ ১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। এ বরাদ্দ এবারের মোট বাজেটের ৫.৪২ শতাংশ। জিডিপির ০.৯৫ শতাংশ। এ বরাদ্দ যথেষ্ট নয়। বর্তমান করোনাকালীন দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্য খাতে যদি মোট বাজেটের ১০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হতো, তাহলে ভাল হতো। তবে এ খাতের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর গুণগত খরচ নিশ্চিত করতে হবে। বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে উন্নত চিকিৎসার সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে। বিভাগীয় শহরগুলোতে অত্যাধুনিক হাসপাতাল গড়ে তুলতে হবে। গ্রামীণ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর উন্নয়ন দরকার। সেখানে ওষুধ সরবরাহ করা ও নিয়মিত ডাক্তার বসার ব্যবস্থা করাও দরকার। বাজেট উত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, প্রয়োজন হলে স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি টাকা বরাদ্দে সরকার পিছপা হবে না। অর্থাৎ প্রয়োজনবোধে অন্যখাত থেকে টাকা নিয়ে এসে হলেও স্বাস্থ্য খাতের চাহিদা মেটানো হবে। তবে যে টাকা বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার সুষ্ঠু খরচ নিশ্চিত করতে হবে। গত বাজেটে থোক বরাদ্দের ১০ হাজার কোটি টাকার অধিকাংশই খরচ করা হয়নি। তাতে বিঘিœত হয়েছে স্বাস্থ্য খাতের অনুমিত উন্নয়ন। বর্তমান করোনাকালে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর তাগিদ দিয়েছেন। দেশের কোথাও এক ইঞ্চি জমিও যাতে খালি না থাকে তার জন্য যতœবান হতে সবাইকে আদেশ দিয়েছেন। কৃষকদের জন্য তিনি বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছেন। এবার করোনাকালে দেশে দেশে হ্রাস পাচ্ছে কৃষির উৎপাদন। খাদ্যমূল্য বেড়ে গেছে বিশ্বের বাজারে। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম। এখানে উৎপাদন বাড়ছে। খাদ্যমূল্য অনেকটাই স্থিতিশীল। প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, কৃষি খাতে বাজেটের অগ্রাধিকার থাকবে। অবশ্যই গত বাজেটের তুলনায় এ খাতে বরাদ্দ ও ভর্তুকি বেড়েছে নতুন বাজেটে। কিন্তু মোট বাজেট বৃদ্ধির তুলনায় কৃষি খাতে বাজেট বৃদ্ধির হার তেমন বেশি নয়। বাজেটে কৃষি খাতে (সংশ্লিষ্ট ৫টি মন্ত্রণালয় মিলে) বরাদ্দ করা হয়েছে ৩১ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। গত বছরের মূল বাজেটের তুলনায় মাত্র ১ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা বেশি। প্রবৃদ্ধির হার ৬.৪৪ শতাংশ। মোট বাজেটে কৃষি বাজেটের হিস্যা ৫.২৮ শতাংশ। গত বছর এই শরিকানা ছিল ৫.৪২ শতাংশ। কৃষি ভর্তুকির ক্ষেত্রে এবার ৫৯৮ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১০,০৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কৃষি ভর্তুকির ক্ষেত্রে এটা একটা বড় সমস্যা। মূল বাজেটে যত টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়, সংশোধিত বাজেটে তার চেয়ে অনেক কম বরাদ্দ দেয়া হয়। এবার কৃষি বাজেটে কৃষি মান্ত্রণালয়, বন ও পরিবেশ এবং ভ‚মি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বৃদ্ধির হার ধনাত্মক। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক। শস্য খাতের জন্য ভর্তুকির সুযোগ রাখা হলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির সংস্থান রাখা হয়নি। বর্তমান করোনাভাইরাসের অভিঘাতে অনেক দুগ্ধ খামার, মুরগি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার জন্য নগদ সহায়তা দেয়া উচিত। বাজেটে কৃষি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে অগ্রিম কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। শাকসবজি, ফলমূল, দুগ্ধজাত পণ্য, শিশু খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে নিয়োজিত কৃষিজাত শিল্পগুলো ১০ বছর পর্যন্ত কর অব্যাহতির সুযোগ পাবে। অপরদিকে গাজর, কাঁচা মরিচ, মাশরুম, টমেটো, কমলা ও কেপসিকাম আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো ভাল। বাংলাদেশে বর্তমানে দুধের আমদানি বাড়ছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দুধের আমদানি খরচ ছিল ১০৬ মিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩৬৬ মিলিয়ন ডলার। গত ১০ বছর গুঁড়া দুধ আমদানির প্রবৃদ্ধির হার ছিল গড়ে ১৩.৬ শতাংশ। দেশের দুগ্ধ শিল্পকে উৎসাহিত করার জন্য গুঁড়া দুধ আমদানির ওপর ন্যূনপক্ষে ৫০ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক আরোপ করা উচিত। সামাজিক সুরক্ষা খাতে নয়া বাজেটের সংস্থান হলো ৩৪ হাজার ৩১৯ কোটি টাকা। এটি সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু, দুর্যোগ ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মিলে মোট ৫টি মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত বরাদ্দ। চলতি বাজেটের সংশোধিত বরাদ্দ থেকে নয়া বাজেটের বরাদ্দ ৫.৬৮ শতাংশ এবং মূল বাজেট থেকে ৮.৬১ শতাংশ বেশি। এ খাতের বরাদ্দ মোট বাজেটের ৫.৬৮ শতাংশ। এই করোনাকালে কত লাখ লাখ মানুষ অসহায় দিন যাপন করছেন। কত মানুষ দুই বেলা খাবার যোগাতে পারছেন না। দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে প্রায় ৬ কোটি মানুষ। তাদের সাহায্যার্থে এ বছর সামাজিক সুরক্ষা খাতের বরাদ্দ কমপক্ষে দ্বিগুণ করা উচিত ছিল। সেটি হতো দুর্যোগ কাটানোর কৌশলগত পদক্ষেপের উত্তম প্রতিফলন। শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে এবারের বরাদ্দ ৯৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। গত বাজেটের সংশোধিত বরাদ্দ থেকে তা ২০.৫৮ শতাংশ এবং মূল বরাদ্দ থেকে ১০.৬৩ শতাংশ বেশি। এ খাতের বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৫.৭২ শতাংশ এবং জিডিপির ২.৭৫ শতাংশ। এ বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিত। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ করারোপ অযৌক্তিক। একই দেশে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভর্তুকি নেবে, আর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারকে ১৫ শতাংশ কর দেবে, তা বৈষম্যমূলক। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এর আয় থেকেই যাবতীয় খরচ ও উন্নয়ন কাজ অর্থায়ন করা হয়। এর ওপর থেকে কর আদায়ের প্রস্তাব প্রত্যাহার করা উচিত। সম্ভব হলে এই করোনাকালে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বরং সরকারী সহায়তা দেয়া উচিত। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারের আকার ছোট করা, ব্যয় সংকোচন করা। আমরা তার উল্টো পথে চলছি। বর্তমান সরকার সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার পরিমাণ যে দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে, তা খুব বেশিদিনের কথা নয়। এখন এত বেশি বরাদ্দের হেতু কী। আমাদের বরং নতুন কর্মসৃজনের প্রয়োজন বেশি। কর্মচ্যুত শ্রমিক ও বিদেশ ফেরত নাগরিকদের আর্থিক সহায়তা দেয়া প্রয়োজন। বেসরকারী খাতে যারা কর্মরত আছেন তাদেরকে কাজে ধরে রাখা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে যারা জনপ্রশাসনে কর্মরত আছেন তাদের আর কত বেশি সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে চায় সরকার? আমরা জনগণের ক্ষমতায়ন চাই। সামাজিক ও আর্থিকভাবে বঞ্চিত নাগরিকদের সুরক্ষা চাই, জনপ্রশাসনের নয়। সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়টিকে এখন জনসেবা মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসক পদটিকে জেলা সেবক নামে অভিহিত করা উচিত। সরকারী কর্মচারীদের বাইরে প্রায় ৫ কোটি লোক আছে ব্যক্তি খাতে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে কর্মরত। রাষ্ট্রকে তাদের কথাও ভাবতে হবে। সংখ্যায় তারা মোট কর্মচারীর ৯০ শতাংশেরও বেশি। এই করোনাকালেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা কাজ করছেন। লকডাউনকে তাদের উপেক্ষা করতে হয়েছে। তবু মাস শেষে তাদের অনেকেরই বেতন মেলেনি। বাজেটে কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে প্রশিক্ষণ দেয়া, ঋণ দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া এবং প্রবাসে কর্মসংস্থান বাড়াতে নতুন গন্তব্য খোঁজা। তাছাড়া কর্পোরেট কর হ্রাসের মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানকে উৎসাহিত করা হয়েছে। শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আনার কথা গত বাজেটেও বলা হয়েছে। এবারও তা অব্যাহত রাখা হবে। তবে দেশে অনেক ক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে যা করোনার অভিঘাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এদেরকে তালিকাভুক্ত করে নগদ সহায়তা দিতে হবে। দেশের বেকার যুবকদের তালিকা করে বেকার ভাতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সামাজিক সুরক্ষা খাতে জনপ্রতি প্রদত্ত ভাতার পরিমাণ বাড়াতে হবে। বর্তমান ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্য হ্রাসের জন্য ‘ইনকাম ট্রান্সফার’ কর্মসূচী জোরদার করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে আমরা একটি জনবান্ধব ও কল্যাণকামী অর্থনীতি প্রত্যাশা করি। লেখক : কৃষি অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও শিক্ষাবিদ [email protected]
×