বিএনপির সরকার পতনের ঘোষণার একযুগ পার হয়ে গেছে ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির এক নেতা দেশে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর যে ইঙ্গিতপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে দলটির (বিএনপি) ফ্যাসিবাদী মানসিকতা, ষড়যন্ত্র ও খুনের রাজনীতির চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শুক্রবার রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার সরকারী বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির এক নেতা দেশে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর যে ইঙ্গিতপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে দেশবাসী বিক্ষুব্ধ। বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা (এমপি) এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও বিএনপির পক্ষ থেকে এর কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য দেয়া হয়নি। তাহলে কি ধরে নেব, এটি বিএনপির দলীয় বক্তব্য? তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। আশা করছি কেন্দ্রীয় বিএনপি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবে। তিনি বলেন, জনগণও আশা করে, বিএনপি এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করবে। ১৫ ও ২১ আগস্ট একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। বিএনপি নেতার এ বক্তব্যে তাদের খুনের রাজনীতির স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, বিএনপি এখনও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে। এ ষড়যন্ত্রের জাল দেশ-বিদেশে বিস্তৃত। তাদের বক্তব্য লন্ডনের ছক অনুযায়ী গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। বর্তমান সরকার ‘নির্বাচিত নয়’, আন্দোলনে সরকারের পতন হবে- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির এমন হুমকিধমকি আমরা বছরের পর বছর শুনেছি, তাদের আন্দোলন এবং সরকার পতনের ঘোষণার ইতোমধ্যেই একযুগ পূর্তি হয়ে গেছে। জনগণ এখনও কোন আন্দোলন তাদের দেখতে পায়নি রাজপথে। তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সরকার পরিচালনায় একাধিক বিকল্প ক্ষমতাকেন্দ্র তৈরি করেছিল। এখনও তাদের আন্দোলনের ডাক আসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে। বিএনপি নেতারা ‘অন্ধভাবে’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধিতা করছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনটির যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোন ব্যত্যয় ঘটছে কিনা সে বিষয়টির প্রতি সরকার কড়া নজর রাখছে। প্রযুক্তির এ যুগে জনস্বার্থেই এ আইন করা হয়েছে, আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সে বিষয়ে দেয়া হয়েছে নির্দেশনা। তিনি বলেন, বিএনপি এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মানবাধিকারের কথা বলছে। অথচ ’৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকান্ডের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।