অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কোনভাবেই দরপতন থেকে বেরোতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। ৪১ শতাংশ কোম্পানির দরপতনের কারণে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। এর ফলে টানা তিন কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকল শেয়ারবাজার। আর চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চারদিনই পতনের মধ্যে থাকল। সেইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও কমেছে। আপাত দৃষ্টে দরপতনের কোম্পানির সংখ্যা কম হলেও ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের দিনের ধারাবাহিকতায় শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতেই মূল্য সূচকের পতনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। শুরুতে বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর চমকের পাশাপাশি অনান্যেরও দর বাড়ে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে থাকে। ফলে দিনশেষে সেখানে পতনের ঘটনা ঘটে। সকালে ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পতনের ধারা বজায় থাকে। দিনশেষে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ৭৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। এর বিপরীতে কমেছে ১৪৪টি। আর ১২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বৃহস্পতিবারে ডিএসইর ওয়েবসাইটে নতুন করে ১৯২ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ করে উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। ইতিবাচক এমন খবরেও পরও কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে। গত কয়েকদিন ধরে কোম্পানিটির শেয়ারটির লেনদেনের প্রথম দিনেও থাকলেও দর ওঠানামা করছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষে থাকা বে´িমকো লিমিটেডের দর সংশোধন ঘটেছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪৭৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১০৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের পতনের পাশপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৯৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮৬৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৬৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ারের। কোম্পানিটির ২১৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির ৪৪ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১২০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১১টির এবং ৬১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
