ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইংরেজী জানলে কর্মসংস্থান হবে বাংলাদেশে

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ইংরেজী জানলে কর্মসংস্থান হবে বাংলাদেশে

শুধুমাত্র সঠিকভাবে ইংরেজী না জানার কারণে প্রতিদিন অসংখ্য চাকরি দেশের বাইরের মানুষদের কাছে চলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদ এটিএম মাহমুদ। জনকণ্ঠের ক্যাম্পাসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এটিএম মাহমুদ বলেন, আমার কাছে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসেন বিভিন্ন বয়সের যারা শুধুমাত্র ইংরেজী শিক্ষার অভাবে কর্মস্থলে নানাভাবে পিছিয়ে পড়ছেন। প্রচুর শিক্ষার্থী আছেন যারা আসেন তাদের সমস্যার কথা জানাতে। আমি যেটা বুঝলাম আমাদের মাতৃভাষার পাশাপাশি যদি শুধু এই আন্তর্জাতিক ভাষাটা রপ্ত করতে পারে কেউ তাহলে একেকজন তাদের জীবনে অনেক বড় উন্নতি করতে পারেন।’ এমনই একটা প্রেক্ষাপটে অনেকগুলো বছর আগে দেশের তরুণদের এই পরিস্থিতি দেখে ইংরেজী শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে হাল ধরেন এমন একজন যার কারণে আজ ইংরেজী শিক্ষা হয়েছে আরও সহজ এবং সমাদৃত। মানুষটি হলেন এটিএম মাহমুদ, যিনি এটিএম স্যার নামেই অধিক পরিচিত। ভারতের ব্যাঙ্গালুর থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফেরেন এটিএম মাহমুদ। এদেশে চাকরি পেতে হলে সুপারিশ লাগে এই গুজবটাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে চাকরি পান দেশের সেরা কিছু কোম্পানিতে। এটিএম মাহমুদের মতে ইংরেজী দক্ষতা সে সময়ে ইন্টারভিউ বোর্ডে একটা প্লাস পয়েন্ট ছিল। কিছুদিন পর এটিএম মাহমুদ ভাবলেন যে তিনি তার জ্ঞানকে কোন কোম্পানির উন্নয়নের কাজে না লাগিয়ে তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দেবেন, দেশের মানুষের মাঝে ইংরেজী ভীতি দূর করবেন। মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিজের কর্মদক্ষতায় দেশের নামকরা একটি প্রতিষ্ঠানের বড় দায়িত্ব পান তিনি। এরপর তিনি উদ্যোক্তা হয়ে আরো বেশিসংখ্যক তরুণদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এটিএম মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একের পর এক সফলতা পেতে থাকে এটিএম’স। গত কয়েক বছরে দেশের তরুণদের বেশ আস্থা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি যা একমাত্র সম্ভব হয়েছে আমার পুরো টিমের ত্যাগ ও পরিশ্রমের ফলেই। ইংরেজীর ব্যাসিক শিক্ষা থেকে শুরু করে আইএলটিএস এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কোর্সও এটিএমস করিয়ে থাকে। এছাড়াও যেসব ছাত্র ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া কানাডার মতো দেশে যেতে চায়, তাদের ক্যারিয়ার গড়তেও সাহায্য করে থাকে এটিএমস । ‘দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে দারুণ অবদান রাখসে এটিএম মাহমুদের এটিএম’স যা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশের বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার বিকাশ ঘটাতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কোন বিকল্প নেই। ক্যাম্পাস ডেস্ক
×