ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কুয়েতে প্রবাসী কোটা আইন ॥ ফিরতে হবে আড়াই লাখ বাংলাদেশীকে

প্রকাশিত: ০০:৪৭, ২২ অক্টোবর ২০২০

কুয়েতে প্রবাসী কোটা আইন ॥ ফিরতে হবে আড়াই লাখ বাংলাদেশীকে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ অভিবাসী শ্রমিকদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সরকারকে এক বছরের সময় দিয়ে প্রবাসী কোটা আইন পাস করেছে কুয়েতের পার্লামেন্ট। মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, এর ফলে কুয়েত ছাড়তে হবে লাখ লাখ প্রবাসীকে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, কুয়েতে মোট জনসংখ্যা ৪৮ লাখ। এর মধ্যে ৩৪ লাখ অভিবাসী, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের বেশি। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের। তবে নতুন আইনের ফলে এই সংখ্যা কমিয়ে আনতে বেশকিছু সংস্কার করা হবে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এমনিতেই তেলের দাম কমে গেছে, তাই খুব একটা ভাল নেই দেশটির অর্থনীতি। এমতাবস্থায় আর্থিক প্রভাবে কারণে কুয়েতে প্রবাসীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্রিয় হয়েছে দেশটির সরকার। এছাড়া কুয়েতি নাগরিকদের চাকরি দেয়াটা জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জন্য। গত জুন মাসে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশটিতে অভিবাসীর সংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। এর পরের মাসেই কুয়েতের ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলি একটি আইন পাস করে, যেখানে বলা হয়- দেশটিতে ভারতীয় প্রবাসীর সংখ্যা ১৫ শতাংশের বেশি হবে না। ওই আইনটি এ মাসেই কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। আগামী মাসে কুয়েতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে এই আইন বাস্তবায়নের একটা বিষয় আছে। এদিকে একই আইনে বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য মাত্র ৩ শতাংশ রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কোটা অনুযায়ী কুয়েত সরকার যদি মাত্র ৩ শতাংশ বাংলাদেশী অভিবাসীকে জায়গা দেয়, তাহলে আড়াই লাখেরও বেশি অভিবাসীকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে। এক হিসাব অনুযায়ী, কুয়েতে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশী প্রবাসী রয়েছেন। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া তাদের সবাই বিভিন্ন অদক্ষ বা স্বল্পদক্ষ পেশায় নিয়োজিত। বিশেষ করে, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নির্মাণ শ্রমিক, গাড়ি চালনা, হোটেল বয় ইত্যাদি পেশায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের বেশি দেখা যায়।
×