ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেপালে রাজি

প্রকাশিত: ২০:১৭, ২০ অক্টোবর ২০২০

প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেপালে রাজি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি জানিয়ে চিঠি পাঠালো নেপাল ফুটবল ফেডারেশন। আসছে ফিফা উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আসবে তারা। ফ্লাইট জটিলতা থাকায় চার্টার্ড বিমানে আসা-যাওয়া করবে নেপাল দল। জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। পাশাপাশি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর ভেন্যু এবং কোয়ারেন্টিন ইস্যুর সমাধান হবে বলেও মনে করেন তিনি। এদিকে, ম্যাচ উপলক্ষে ২৩ তারিখ স্থানীয় কোচদের কাছে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে ৩৬ ফুটবলারকে। তবে, প্রক্রিয়াটা এতোটা মসৃণ হবে না কোন দলের জন্যই। খেলার থেকে, বাইরের আয়োজনেই ঝামেলা হবে বেশি। কোভিড পরিস্থিতিতে, করারও নেই কিছু। আপাতত বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ হিমালয় কন্যাদের। তাই বলে কি বন্ধ থাকবে খেলা। না, বের হয়েছে ভিন্ন উপায়। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, 'নেপাল দল চার্টার্ড বিমানে করে আসবে। ম্যাচ শেষে যাবেও একইভাবে। তারা ইতোমধ্যে সেসব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ফেলেছে।' নেপাল অংশের কাজটা শেষ। এবার বাকিটা বাংলাদেশ পর্ব। কোয়ারেন্টিন কোথায় হবে, কিংবা ভেন্যুর সুবিধাদি কিভাবে পূরণ করা হবে এখনো ঠিক হয়নি পুরোপুরি। তবে, আশাহত হওয়ার কিছু নেই। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পরই শুরু হয়ে যাবে তোরজোড়। তিনি আরো বলেন, 'আগামী সপ্তাহে আমরা বৈঠকে বসবো। সেখানেই হোটেল, আসা যাওয়া, অনুশীলন ভেন্যু নিয়ে সব চূড়ান্ত হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোয়ারেন্টিনের বিষয়টাও চূড়ান্ত করা হবে সেদিনই। মাঠের বিষয়ে এনএসসির সঙ্গে কথা বলবো। মূল মাঠ, ড্রেসিং রুম সব ঠিক করতে হবে।' নেপালের সম্মতি পেয়ে যাওয়ায়, ২৩ শে অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ডাক পাওয়া ৩৬ জনকেই রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে স্থানীয় কোচদের কাছে। কয়েক দিন পর যোগ দেবেন বিদেশি স্টাফরা। আবু নাইম সোহাগ জানান, 'আগামী ২৩শে অক্টোবর মাসুদ পারভেজ কায়সারের কাছে ফুটবলাররা রিপোর্ট করবেন। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হয়ে যাবে। জেমি, স্টুয়ার্ট কয়েক দিন পর যোগ দেবেন। আগের ডাক পাওয়া ৩৬ জনকেই যোগ দিতে বলা হয়েছে।' প্রীতি ম্যাচ দুটি ফ্লাডলাইটের আলোয় আয়োজন করতে চায় ফেডারেশন। সেক্ষেত্রে সময় নির্ধারণ করা হতে পারে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা।
×