ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঢাকার দিনরাত

করোনার সংক্রমণ শুরু হলে ঢাকা মহানগরীর বায়ুর মানের উন্নতি হয়েছিল। অর্থাৎ বায়ু দূষণের মাত্রা কমে এসেছিল। মেট্রোরেল এবং ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। মোটরগাড়ির চলাচল খুবই সীমিত ছিল। তাই বাতাসের মান বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে আবার বাতাস বেশি করে দূষিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বায়ু মান পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান এয়ার ভিজ্যুয়ালের তথ্য সেই সঙ্কেতই দিচ্ছে। এখন প্রায়শই রাতের বেলা নির্মাণ কাজ চলছে এবং দিনভর প্রচুর যানবাহনের চলাচলের কারণে রাতের বেলায় বাতাসের মান খারাপ হচ্ছে। এমনই খারাপ যে ঢাকা শহর বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় প্রথম পাঁচটির ভেতর চলে আসছে। সামনের দিনগুলো নিয়ে তাই বেশি দুশ্চিন্তা। আমরা লিখে চলেছি কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য। যদি তারা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর হোন, এই আশায়। বৃহস্পতিবার উত্তরা থেকে মতিঝিল গিয়েছিলাম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস ‘ঢাকা চাকা’য়। ভাগ্যিস নন এসি বাসে উঠিনি, তাহলে একই স্থানে টানা ৪৫ মিনিট বসে থাকলে ভাদ্রের গরমে সিদ্ধ হয়ে যেতে হতো। রাস্তা বন্ধ করে দাবি আদায়ের কৌশল এদেশে কবে যে বন্ধ হবে! গার্মেন্টস শ্রমিকরা নিজের কার্যালয়ে আন্দোলন না করে রাস্তা বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয়ার পদক্ষেপ থেকে কবে যে সরে আসবে। যাহোক, বহুকাল পর এক সময়ের অর্থনৈতিক কর্মকা-ের প্রধানতম কেন্দ্র মতিঝিলে গিয়ে মনে হলো কোনো ভগ্নদশার নগরীতে চলে এসেছি। মেট্রোরেলের কাজের জন্য এই দশা। মানুষও এখন যতটা সম্ভব প্রধান সড়কটিকে বাইপাস করেই চলাচলের কৌশল অবলম্বন করছে। সঙ্কটে সংবাদপত্র শিল্প পাঠকদের অভিমত নিয়ে আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন সমাজ ভাবনার এবারের বিষয় ‘সংবাদপত্রে করোনার আঘাত।’ প্রতিদিনই জনকণ্ঠের শেষ পাতায় এ সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হচ্ছে তাতে বলা হয়েছে যে, ‘করোনার আঘাত কোথায় পড়েনি! সমাজের দর্পণ হিসেবে পরিচিত সংবাদপত্রেও সেই আঘাত এসে লেগেছে। ফলে কর্তৃপক্ষ পৃষ্ঠা সংখ্যা কমাতে বাধ্য হয়েছে। সংবাদপত্রের অন্যতম আয়ের উৎস বিজ্ঞাপনও হ্রাস পেয়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। সম্পাদক পরিষদ বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন-সংবাদপত্র শিল্প এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি। এমন পরিস্থিতি আগে কখনও আসেনি। পাঠক, আপনি কী ভাবছেন? উত্তরণের কী উপায়?’ দেশে করোনা রোগী শনাক্তির পর সাধারণ ছুটি ঘোষণার সময় থেকেই ঢাকার অধিকাংশ বাড়িতে সংবাদপত্র রাখা বন্ধ হয়ে যায়। যারা সকালে পত্রিকা পড়ার অভ্যেস ধরে রাখতে চেয়েছিলেন তারা অনেকেই বাসার হকারকে আর পাননি। কেননা, হকারদের বড় অংশ করোনাঝুঁকির কারণে সবার মতোই ঘরবন্দি হয়ে পড়েন। অনেকে আবার দেশের বাড়ি চলে যান। তার পরও নাছোড়বান্দা পাঠক বাইরে বেরিয়ে পত্রিকার স্টল থেকে পেপার সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছেন। সেখানেও ছিল সীমাবদ্ধতা। বেশিরভাগ পত্রিকার স্টলই তখন বন্ধ করে দেয়া হয়। তা ছাড়া পরিবারের সদস্যরাও ঘরের কাউকে প্রতিদিনই ঘরের বাইরে বেরুতে দিতে চাইতেন না সঙ্গত কারণেই। সে সময় অনেকেই ধারণা করেছেন ছাপানো কাগজ থেকে করোনা ছড়ায়। পত্রিকার মালিকদের পক্ষ থেকে বার বার ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে ছাপানো পত্রিকার মাধ্যমে করোনা ছড়ায় না। তবু পাঠক আস্থা পাননি পত্রিকা সংগ্রহের। এভাবে কয়েক মাস যাওয়ার পর পাঠকদের বড় একটা অংশই অনলাইনে পত্রিকা পড়তে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। তাই তাদের একাংশ আর ছাপানো পত্রিকার পাঠক বা ক্রেতা হননি ছুটি শেষে অফিস-আদালত খুলে যাওয়ার পরও। এটাই বাস্তবতা যে করোনাভাইরাস মহামারীতে জনজীবনে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, তার অভিঘাত প্রবলভাবে পড়েছে সংবাদপত্রশিল্পেও। সড়ক রেল ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে স্থবির বা বন্ধ থাকায় সংবাদপত্রের বিপণন ও সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। অথচ সাংবাদিকদের বড় অংশ নিয়মিত কাজ করে গেছেন, অনেকে আবার পালাবদল করে অফিস করেছেন। এক অর্থে সাংবাদিকরা করোনকালের সম্মুখযোদ্ধা। সারাদেশে অনেক সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারাও গেছেন। বহু সাংবাদিক ভুগেছেন এই ভয়াবহ ব্যাধিতে। তবু একদিনের জন্যও বড় কোনো জাতীয় সংবাদপত্র বন্ধ থাকেনি। দেশের মানুষকে তথ্যসেবা দিয়ে গেছেন। অপরদিকে সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর (ডিএফপি) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোভিড-১৯ মহামারীকালে জুন পর্যন্ত ঢাকা ও আট বিভাগীয় শহরসহ সারাদেশে মোট ২৫৪টি সংবাদপত্রের প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গেছে। সঙ্কট উত্তরণের জন্য নিউজ পেপারস ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ সংবাদপত্র শিল্প রক্ষার জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে। সাংবাদিকরা আশা নিয়েই করোনাঝুঁকির ভেতর কাজ করে চলেছেন। বিদায় রাহাত খান আশি বছর এখন আর বিদায় নেয়ার মতো কোনো বয়স নয়, তবু বিদায় নিলেন রাহাত খান। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু শারীরিক পরিস্থিতি তার উপযুক্ত ছিল না। ফলে চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতাল থেকে ঘরে ফিরে এসেছিলেন। সেই থেকে শয্যাশায়ী। অন্তিম সময়টা এমন অসহায়তার ভেতর দিয়েই গেল তাঁর। বার্ধক্য মানুষকে কোথায় না গিয়ে ঠেকায়! আমাদের আরেক কথাশিল্পী রশীদ করীম অনেকগুলো বছর দেহের একপাশ অবশ অবস্থায় বেঁচে ছিলেন। না লিখে বছরের পর বছর বেঁচে থাকা লেখকদের জন্য অসহনীয় যন্ত্রণার। সেখানে শারীরিক যন্ত্রণাও হয়ত কম। সে যাক, রাহাত খান ছিলেন শক্তিমান কথাশিল্পী। সাংবাদিক হিসেবেও একদা হয়ে উঠেছিলেন শক্তিমান। এককালে ইত্তেফাকের ধারেকাছে ছিল না দেশের কোন সংবাদপত্র। প্রায় পুরোটা পেশাগত জীবনই কেটেছে তাঁর সেখানে। শেষ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকও হয়েছিলেন। যারা সেই কালে প্রেসক্লাবে তাঁর আড্ডাবহরে যোগ দিয়েছেন তারা বিলক্ষণ জানেন কতটা দরাজদিল আর ডাকসাইটে সাংবাদিক ছিলেন তিনি। ছিলেন পরোপকারীও। অনেক শিল্পী-লেখকের চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কর্মসূত্রে দেশের নানা স্থানে গেছেন। সে অভিজ্ঞতা সাহিত্যে কতটুকু এসেছে তা বলা সম্ভব নয়, তবে ‘চতুরঙ্গ’ নামে যে কলাম লিখতেন ইত্তেফাকে তাতে সচল সজীব বাংলাদেশের চিত্র ফুটে উঠত দারুণভাবে। কথাসাহিত্যিকদের অনেকের ভেতরেই কবিতা বিষয়ে এক ধরনের উপেক্ষা-উদাসীনতা কাজ করে। কিন্তু রাহাত খান খুব কবিতা পড়তেন। কবিদের সঙ্গে মিশতেন। তাঁর বেশ কিছু উপন্যাসের নাম কবিতারই মতো। যেমন, হে শূন্যতা, হে অনন্তের পাখি, অমল ধবল চাকরি। তিনি ছোটদের জন্যও লিখেছেন। দিলুর গল্প বইটার কথা অনেকেই উল্লেখ করেন। জাত কথাশিল্পীদের শক্তি সম্বন্ধে আঁচ করা যায় তাঁদের গল্পের বুনন ও ব্যাপ্তি থেকে। রাহাত খান আশ্চর্য সব ছোটগল্পও লিখেছেন। স্মার্টনেস ও আধুনিকতা এবং শিল্পগুণ- এই তিনের মিশেল প্রত্যক্ষ করা যায় তাঁর বহু গল্প-উপন্যাসে। তরুণ বয়সে তাঁর কিছু লেখা পড়ে আমার এমন একটা ধারণা হয়েছিল যে একদিন এই লেখক নিশ্চয়ই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হয়ে উঠবেন। গ্রাম ও নগর- উভয় প্রেক্ষাপটে লেখায় সাবলীল ছিলেন তিনি। তবে আধুনিক নগরমানস এবং মধ্যবিত্ত জীবনবোধ, এ দুটো বিষয় তার লেখায় তাৎপর্যপূর্ণভাবেই উপস্থিত। সত্যি বলতে কি একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর যোগ্য মর্যাদা তিনি পাননি। এ দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কী! খুব সুন্দর করে তিনি কথা বলতেন। কথার শিল্পীই বটে। বলবার ভঙ্গিটিও ছিল দারুণ। রাজসিক একটা ব্যাপার ছিল তাঁর চালচলনে। কেতাদুরস্ত পোশাক পরতেন সবসময়। অনুজতুল্য সন্তানপ্রতিম লেখক-সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেন আন্তরিকতার সঙ্গে, করতেন অনুপ্রাণিত। আমি নিজে কখনই ভাবিনি যে সাহিত্যধর্মী রচনার বাইরে সংবাদপত্রের জন্যে সামাজিক বিষয় নিয়ে কলাম লিখব। রাহাত খানই আমাকে দিয়ে প্রথম এ ধরনের কলাম লিখিয়ে নিয়েছেন। পর পর চার সপ্তাহে চারটি লেখা ছেপেছিলেন ইত্তেফাকে। তাঁর তৎকালীন সহকারী কবি সৌরভ জাহাঙ্গীর জানেন এসব কথা। যাহোক, তাঁর সেগুনবাগিচা ও সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় গেছি। জনকণ্ঠ ভবনের খুব কাছেই ইস্কাটন গার্ডেনেই পরে তিনি বসবাস করতেন, সেটি আমার জানা ছিল না। এখন আক্ষেপ হচ্ছে কেন তাঁর অসুস্থাবস্থায় দেখতে যাইনি। তাঁর সঙ্গে আমার শেষ সাক্ষাত বছর দুয়েক আগে চ্যানেল আইয়ের স্টুডিওতে। আমার উপস্থাপনায় আমারই আমন্ত্রণে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি এসেছিলেন। শ্মশ্রুম-িত রাহাত খানকে দেখব, এমনটা কখনই ভাবিনি। এখন মনে হচ্ছে ডায়াবেটিস থাকার কারণে কাটাছেঁড়ার ব্যাপারে সাবধানতার জন্য তিনি দাড়ি রেখেছিলেন। করোনাকালে তাঁর বিদায় হলো। বিদায়বেলায় শোক ও সম্মান প্রকাশ হতে পারত আরও বড় আকারে। করোনা আমাদের সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। ভাল লেগেছে জনকণ্ঠ প্রথম পাতায় তাঁর বিদায়ের সংবাদটি দিয়েছে। কিন্তু সারাজীবন যে কাগজে তিনি সেবা দিয়ে গেলেন সেই ইত্তেফাকে প্রথম পাতায় খবরটি না পেয়ে আমরা অনেকেই বিস্মিত হয়েছি। আমাদের সমাজে বিবেচনাবোধের অভাব ঘটে চলেছে অনেককাল। দুঃখজনক। পশুপ্রেমীদের উদ্বেগ জীবে দয়া করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর। এ শুধু কবির কথা নয়, সংবেদনশীল পশুপ্রেমী মানুষের কথা। রাজধানীর সারমেয় বা কুকুর নিয়ে এই কলামে কয়েকবার লিখেছি। সাম্প্রতিক প্রাসঙ্গিক ইস্যু নিয়ে লিখতে গিয়ে দেখি এক সময়ের সাংবাদিক বর্তমানে ব্যাংক কর্মকর্তা ইয়াহিয়া মির্জা ফেসবুকে এ নিয়ে লিখেছেন। তার লেখাটিই শেয়ার করছি : ‘সম্প্রতি একটা খবর চোখে পড়ল। ঢাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হবে ৩০ হাজার বেওয়ারিশ কুকুর। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এই ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা শহরের বেওয়ারিশ কুকুরের সমস্যা অনেক দিনের পুরনো। আশির দশকেও দেখেছি রাস্তার কুকুর নিধনে মিউনিসিপ্যালিটির গাড়ি আসত। তখন কিন্তু একটি ব্যাপার ছিল, রাস্তার কুকুরকে আশপাশের দোকানদার বা বাড়ির কেউ খাবার দিত। নামও রাখা হতো লালু, কালু প্রভৃতি। তারাও অনুগত হয়ে রাতে পাহারার কাজ করত। ঢাকা শহরের পাড়া সংস্কৃতি সেভাবে নেই। রাস্তার কুকুর দেখাশোনা করার বিষয়টিও হারিয়ে গেছে। তারা এখন প্রকৃতপক্ষেই বেওয়ারিশ। করোনার সময় কুকুরগুলো অনেক বিপদে পড়েছিল। রাস্তাঘাটের সবকিছু বন্ধ। ঢাকা থেকে অনেক লোকই চলে যায়। তাই কুড়িয়ে খাবার মতো কিছ্ওু তখন পায়নি পথের কুকুর। এবার কুকুর নিধন প্রসঙ্গে ফিরে আসি। এগুলো নিধন করা হতো জলাতঙ্ক প্রতিরোধের জন্য। তবে গত দুই দশক ধরে প্রাণীপ্রেমীদের দাবির মুখে নিধন বন্ধ করা হয়। প্রায় এক দশক ধরে বেওয়ারিশ কুকুর কমাতে ভিন্ন ব্যবস্থা নেয় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। সেটা হচ্ছে কুকুর বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচী। এর মাধ্যমে বেওয়ারিশ কুকুর বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছিল। কিন্তু এই উদ্যোগ কাজে আসেনি। ঢাকা শহর থেকে বেওয়ারিশ কুকুর কমেনি। যেখানে যাই সেখানেই রাস্তায় কুকুর দেখা যায়। হঠাৎ পথচারীকে আক্রমণ করেছে এমন খবরও পাওয়া যায়। আর পাগলা কুকুর কামড়ালে প্রাণঘাতী জলাতঙ্ক হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এ অবস্থায় বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিধন করা যাবে না। আবার বন্ধ্যাকরণের ক্ষেত্রেও ব্যর্থতা আছে। এ অবস্থায় কুকুর শহরের বাইরে দিয়ে আসার সিদ্ধান্ত খারাপ না। কিন্তু এদের যেখানে রাখা হবে, সেই এলাকার মানুষ যাতে আবার বিপদে না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বেওয়ারিশ কুকুর ঢাকা শহর থেকে বাইরে নেয়ার উদ্যোগ সফল হবে কিনা, তা দেখতে আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’ ৩১ আগস্ট ২০২০ [email protected]
×