ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আদমদীঘিতে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজে চলাচল

প্রকাশিত: ১৭:০০, ১১ জুলাই ২০২০

আদমদীঘিতে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজে চলাচল

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার ॥ দীর্ঘ দিন ধরে বগুড়ার আদমদীঘিতে ঝুঁকিপূর্ণ কদমা বেইলি ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে শতাধিক নানা যানবাহন। বিকল্প না থাকায় প্রতি মূহুর্তে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশংকা নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ। ২০০৬ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সান্তাহার সাইলো সড়ক থেকে আদমদীঘি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সড়ক তৈরি এবং ওই সড়কের ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলের প্রধান খালের ওপর কদমা গ্রামের পাশে বেসরকারি মৎস্য প্রকলের নিকট ৬১ মিটার দীর্ঘ স্টিল বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে। সড়ক ও ব্রিজটি নির্মাণের ফলে বিল পাড়ের কদমা, করজবাড়ি, রামপুরা ও কাশিমালাসহ কমপক্ষে ১০ গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রার চিত্র বদলে যায়। সান্তাহার শহরের সাথে যোগাযোগে কমে যায় ৭ কিলোমিটার দুরত্ব। সহজেই তাদের কৃষিপণ্য ও অসুস্থ রোগী পরিবহন করা সম্ভব হয়। সহজ হয় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা। কিন্তু ব্রিজটি নির্মানের ১৪ বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কোনো সংস্কার করেননি কর্তৃপক্ষ। ব্রিজটি নির্মাণের পর কর্তৃপক্ষ সংস্কার কাজ না করায় স্টীলের পাটাতনগুলো জং ধরে ও মরিচা পড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে ব্রিজের অধিকাংশ স্থান ফাঁকা ফাঁকা হয়ে গেছে। সময় পেরিয়ে যাবার সাথে সাথে ব্রিজটি হয়ে গেছে নড়বড়ে। আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য করজবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, হাট-বাজার, স্কুল কলেজ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও জংশন স্টেশন এবং সান্তাহার শহর উপজেলার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। ব্রিজটি নির্মাণের আগে সান্তাহার পৌঁছাতে আদমদীঘি হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হতো। কিন্তু সওজের সড়ক ও রক্তদহ বিলে বেইলি ব্রিজটি নির্মাণের ফলে কমে যায় অর্ধেক পথ। বর্তমানে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জীবন-জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার না করা হলে যে কোনো মুহূর্তে পাটাতন ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় এখানে ঢালাই ব্রিজ নির্মাণ করা সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। এ ব্যাপারে কদমা গ্রামের ওয়াহেদ আলী, দমাদমা গ্রামের সাজেদুল ইসলাম চম্পাসহ ওই পথে চলাচলকারিরা বলেন, ব্রিজের যে অবস্থা তাতে মোটরসাইকেল নিয়ে পার হতেই ভয় লাগে। তারা বলেন এই ব্রিজ শুধু সান্তাহার-আদমদীঘি ও নওগাঁর রাণীনগরের ১০/১২গ্রামের মানুষ নয়; নওগাঁর আত্রাই এবং নাটোরের কালিগঞ্জ ও সিংড়ার ব্যবসায়ীদের পণ্যবাহী ভারী যানবাহনও চলাচল করে। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন, স্টিলের বেইলি ব্রিজটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় রয়েছে। তাই এর দেখভাল বা মেরামতের ব্যবস্থা অথবা ঢালাই ব্রিজ নির্মাণ সিদ্ধান্ত তাদের।
×