ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় নীলফামারীতে কোরবানীর পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি ও সচেতনতায় সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ১৭:৫৯, ৭ জুলাই ২০২০

করোনায় নীলফামারীতে কোরবানীর পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি ও সচেতনতায় সেনাবাহিনী

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে এবার নীলফামারীতে আসন্ন কোরবানী ঈদ উপলক্ষ্যে পশুর হাট বসছে এক ভিন্ন পরিস্থিতিতে। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে বাড়তি সতর্কতা ও সামাজিক দুরত্ব মেনে বেচাকেনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আজ মঙ্গলবার জেলার সদরের ঢেলাপীর কোরবানীর হাটে রংপুর বিভাগের ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের অন্তর্গত আর্টিলারি ব্রিগেডের আওতাধীন ১৯ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারির তত্ত্বাবধায়নে এই কোরবানির পশুর হাটে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কোরবানির পশুর হাট পরিচালনা করতে সেনাবাহিনীর পক্ষে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে উদ্ভুত করা হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লে. কর্ণেল আরিফ হোসেন, মেজর এরফান করিম, লেফটেন্যাট তানজিম আহমেদ সাকিল প্রমুখ। সেনাবাহিনীর সূত্র মতে, ঢেলাপীর পশুর হাটের চারদিকে স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই হাটটি ওয়ানওয়ে বাজার হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে। ফলে প্রতিটি ক্রেতা ও বিক্রেতাকে একটি পথ দিয়ে প্রবেশ করবে ও অন্য পথ দিয়ে বের হয়ে যাবে। কোন ক্রেতা যদি আবার প্রবেশ করতে চায় তাহলে তাকে পূর্ণরায় প্রবেশ পথ দিয়ে হাটে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া কোন ব্যক্তি বা ক্রেতা যদি হাটে আসতে না চায় তাহলে তারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোরবানির পশু ক্রয় করতে পারবে। ওয়েবসাইটের ঠিকানাটি হচ্ছে (https://ebazar.evaly.com.bd/)। যেহেতু এই ঢেলাপীর হাটটি বড় এবং প্রতি বছর এই হাটে লোক সমাগম বেশি হয় তাই সেনাবাহিনীর পক্ষে এই প্রথম অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানির পশুর ক্রয়/বিক্রয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ছিল জেলার সর্ববৃহৎ ঢেলাপীরে কোরবানীর পশুহাট। সকাল হতেই সেনাবাহিনীর পক্ষে মুখে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ,ভিড় কীভাবে সামলানো হবে, ক্রেতা বিক্রেতা, ইজারাদারদের কর্মী মিলে কতজনকে একসাথে হাটে ঢুকতে দেয়া হবে, ঢোকা ও বের হওয়ার আলাদা পথ , তাপমাত্রা পরিমাপ করা নিয়ে বাড়তি সর্তকতা নিয়ে কাজ করতে দেখা যায়। তবে কোরবানীর ঈদের সময় দেরী থাকায় ক্রেতা সাধারণ কম ছিল হাটে। ঢেলাপীরের ইজারাদার মোতালেব হোসেন বলেন , "আমরা কোনদিন চিন্তাও করি নাই যে মুখে সারাক্ষণ মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এবারের কোরবানীর পশুর হাটে সেনাবাহিনী এসে বড়ই উপকার করছেন। তারা আমাদের (ইজারাদার) হাটের কর্মচারী ও বিক্রেতা, ক্রেতাকে চমৎকারভাবে মেইনটেইন করার কৌশল শিখিয়ে দিয়েছেন। তাদের গাইডলাইন সকলে পছন্দ করেছেন। সব কিছুই পরিকল্পনা মাফিক তৈরী করে দিয়েছেন তারা।তিনি আরও জানান "ক্রেতা, বিক্রেতা, ও আমরা ইজারাদার সবাই মাথায় রেখেছি যে কোরবানির হাট একটা চরম মহামারির মধ্যে দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। যাতে কোন সমস্যা সৃস্টি না হয়। বিগত সময় কোরবানীর হাট রাস্তা পর্যন্ত চলে যেতো। এখন সেটি নিয়ন্ত্রনের মধ্যে করে দিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আমরা এতে মহাখুশী।
×