ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইউএস বাংলা-নভোর সব ফ্লাইট উড়লেও বিমানের সব বাতিল

প্রকাশিত: ২৩:১১, ৪ জুন ২০২০

ইউএস বাংলা-নভোর সব ফ্লাইট উড়লেও বিমানের সব বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যাত্রী সঙ্কটের কারণে আবারও ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুরে চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করার কথা থাকলেও এগুলোর সবকয়টি বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারী ইউএস বাংলা ও নভো এয়ারের সবগুলো ফ্লাইট সিডিউল মেনে ওঠানামা করেছে। লকডাউন প্রত্যাহারের পর থেকে বুধবার পর্যন্ত যাত্রীর দৈন্যদশায় একের পর এক বিমানের ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারের ফ্লাইটও বাতিল করা হতে পারে বলে জানিয়েছে বিমান। এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বুধবার বিমান বাংলাদেশের সৈয়দপুর রুটে দুইটি, সিলেট রুটে একটি এবং চট্টগ্রাম রুটে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করার কথা ছিল। তবে সবগুলো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার বিমান বাংলাদেশের ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে দুইটি, সিলেটে দুইটি ও সৈয়দপুরে তিনটিসহ মোট সাতটি ফ্লাইট বাতিল হয়। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীণ তিন রুটে ১ জুন থেকে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। প্রথমদিন হাতে গোনা দু’চারজন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করলেও মঙ্গলবার ও বুধবার যাত্রী সঙ্কটের কারণে কোন ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারেনি। এদিকে ইউএস বাংলা বুধবার ১০টি ফ্লাইট অপারেট করেছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ৬টি, সৈয়দপুরে ৩টি ও সিলেটে ১টি করে ফ্লাইট চালানো হয়েছে। মুখপাত্র মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কঠোর শৃঙ্খলায় ফ্লাইট অপারেট করার পরও তৃতীয়দিন যাত্রীর সংখ্যা ছিল যথেষ্ট সন্তোষজনক। এটা দিন দিন বাড়ার ইঙ্গিত। তিনি বলেন, যাত্রীদের আগে বিমানমুখী করতে হবে। যাত্রী পেলে ব্যবসা হবেই। অপর বেসরকারী নভোএয়ারের সবগুলো ফ্লাইট ঠিকমতো অপারেট করা হয়েছে। ঢাকা চট্টগ্রাম সিলেট ও সৈয়দপুরে মোট ৬টি ফ্লাইট যথারীতি ঢাকা থেকে ছেড়ে গেছে। তাদেরও যাত্রীর পরিমাণ ছিল বেশ ভাল। বিমানের কেন এত দৈন্যদশা জানতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, বিজনেস পলিসি একান্তই প্রতিটি এয়ারলাইন্সের ব্যাপার। আমি যদি কম যাত্রী নিয়ে চালাই তাহলে প্রতিটি ফ্লাইটে কমপক্ষে ২ লাখ টাকা লোকসান হয়। এভাবে যদি চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর ও সিলেটে কমপক্ষে ২টি করে ৬টি ফ্লাইট চালাই তাহলে দৈনিক ১২ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে। এটা করা ঠিক হবে? ব্যবসা না হয় কিছুদিন হবে না। সময়ের অপেক্ষা করতে হবে। ইউএস বাংলা ও নভো এতো যাত্রী পাচ্ছে বিমানের কেন এত যাত্রী সঙ্কট জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যের ব্যবসায়িক ভালমন্দ নিয়ে আমার বলার কিছু নেই।
×