ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমফানে কৃষির খুব বেশি ক্ষতি হয়নি ॥ কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ২২ মে ২০২০

আমফানে কৃষির খুব বেশি ক্ষতি হয়নি ॥ কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগাম প্রস্তুতির কারণে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে দেশের কৃষিতে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির হিসেবে ঘূর্ণিঝড়ে মোট এক লাখ ৭৬ হাজার ৭ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তবে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব এখনও টাকার অঙ্কে করা হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী। যে সব কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে সময়ে বুধবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী। তবে বোরো ধানের মতো প্রধান ফসলের খুব বেশি ক্ষতি হয়নি জানিয়ে রাজ্জাক বলেন, ৭/৮ দিন আগে এই ঝড় হলে কৃষিতে আরও বেশি ক্ষতি হতো। যতটুকু ক্ষতি হবে বলে আমরা ধারণা করেছিলাম তার থেকেও কম ক্ষতি হয়েছে। মন্ত্রী জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ব্লকে ব্লকে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করবেন। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। টাকার অংকে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে কৃষকদের ক্ষতি পোষানোর ব্যবস্থা করা হবে, তাদের প্রণোদনা দেয়া হবে। দেশের ৪৬টি জেলার ওপর দিয়ে এই ঝড় বয়ে গেলেও গত ১৫ মে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করায় কৃষিতে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী। ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব নিরূপণের কাজ চলছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মোট জমির পরিমাণ ১,৭৬,০০৭ হেক্টর। ইতোমধ্যে হাওড়ে শতভাগ, উপকূলীয় অঞ্চলে ১৭ জেলায় শতকরা ৯৬ ভাগসহ সারাদেশে গড়ে ইতোমধ্যে ৭২ শতাংশ বোরো ধান কর্তন করা হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ সামান্য যা আমাদের খাদ্য উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়বে না। কৃষিমন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায় ঝড়েপড়া আমগুলো ত্রাণ হিসেবে দুস্থ জনগণের মাঝে বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এতে একদিকে যেমন আমচাষীরা কিছুটা আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে অন্যদিকে তেমনি দুস্থ এবং অসহায় জনগণের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাদের সার বীজ অন্যান্য সহায়তা দেয়া হবে যাতে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সকলের সহযোগিতায় বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের পক্ষে আমরা মহামারী করোনা এবং সুপার সাইক্লোন আমফানের মতো দুর্যোগ মোকাবেলা করে দেশের খাদ্য উৎপাদনের বর্তমান ধারা শুধু অব্যাহত রাখা নয়, তা আরও বৃদ্ধি করে ২০৩০ সালের ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ (এসডিজি) অর্জন করতে সক্ষম হব বলেন মন্ত্রী।
×