ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইতিহাসে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের তেলের দাম শূন্যের নিচে

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ২১ এপ্রিল ২০২০

ইতিহাসে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের তেলের দাম শূন্যের নিচে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে চাহিদা তলানিতে নেমে আসায় ইতিহাসে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম নেমে এসেছে শূন্যেরও নিচে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সোমবার নজিরবিহীন এই পরিস্থিতির মধ্যে যখন বাজার শেষ হল, তখন ফিউচার মার্কেটে মে মাসে সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল মাইনাস ৩৭.৬৩ ডলার। এর মানে হল, তখন ক্রেতাকে প্রতি ব্যারেল তেলের সঙ্গে এই পরিমাণ অর্থও দিতে রাজি ছিলেন উৎপাদকরা। চাহিদা না থাকা ও উৎপাদন অব্যাহত থাকায় মে মাসেই তেল মজুদের আর জায়গা থাকবে না বলে আশঙ্কার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের ব্র্যান্ড ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমেডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম মঙ্গলবার ঘুরে দাঁড়িয়ে ইতিবাচক পর্যায়ে উঠে। বিশ্ব মান সময় ৩টা ৫৬ মিনিটে ৩৯ ডলার পুনরুদ্ধার হয়ে এই তেল ১ দশমিক ৩৭ ডলারে বিক্রি হয়। মে মাসে সরবরাহের জন্য তেল কেনাবেচার চুক্তি করার সময় মঙ্গলবারই শেষ হবে। এর মধ্যেই জুনে সরবরাহের জন্য এই তেলের দাম ৯৬ সেন্ট বা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ২১.৩৯ ডলারে উঠে। এদিকে জুনে সরবরাহের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ব্রেন্টের দাম ২০ সেন্ট বা দশমিক ৮ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ২৫.৩৭ ডলারে নেমে আসে। বাজার বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মোয়া বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট তেলের চাহিদা বিপর্যয়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি চালুর গতি কাঙ্খিত মাত্রার চেয়ে ধীর হবে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে লকডাউনের মধ্যে বিশ্বের বহু দেশের মানুষ এখন ঘরবন্দি থাকায় রাস্তাঘাট সব ফাঁকা, উড়োজাহাজগুলো বসে আছে, কারখানাগুলোও অন্ধকার। একারণে গত তিন মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা ৩০ শতাংশ কমেছে। এর ফলে প্রতিদিনই কোটি কোটি ব্যারেল তেল গুদামে জমছে, অদূর ভবিষ্যতে তেল রাখার কোনো জায়গা থাকবে না। মে মাসের আগেই গুদাম, শোধনাগার, টার্মিনাল, জাহাজ, পাইপলাইন- সবগুলোর ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কার কথা বিবিসির প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
×