ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সুপারশপের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে এনবিআর

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ২১ এপ্রিল ২০২০

সুপারশপের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে এনবিআর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনার কারণে যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা খাত বন্ধ আছে, সেসব খাত থেকে রাজস্ব কমতে পারে। তাই যেসব প্রতিষ্ঠান খোলা আছে, সেখান থেকে বেশি রাজস্ব আসতে পারে। এমন বিবেচনায় সুপারশপের দিকে নজর দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। করোনার সময় সুপারশপগুলো থেকে কেমন রাজস্ব আদায় হয়েছে এবং এপ্রিল মাসে কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতে পারে, তা জানতে চেয়ে বিভিন্ন কমিশনারেটে চিঠি দিয়েছে এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ। গত শনিবার ভ্যাট বিভাগ থেকে দেওয়া চিঠিতে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে এসব তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুপারশপে বেচাকেনার ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। শুধু সুপারশপ নয়, ওষুধ ও সিগারেটের মতো যেসব শিল্প খাত খোলা আছে, সেখানকার তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে। করোনার সময় সবকিছু বন্ধ থাকলেও নিত্যপণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের বিভিন্ন নামীদামি সুপারশপ খোলা রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি যথাসম্ভব মেনে এসব সুপারশপে বেচাকেনা চলছে। তাই মধ্যবিত্তরা কাঁচাবাজারে না গিয়ে সুপারশপ মুখী হয়েছে। ফলে সুপারশপে বেচাকেনাও বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় সুপারশপের বিক্রি ২০-৩০ শতাংশ বেড়েছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় রাজস্ব আদায় কমে যাবে তাই যেসব শিল্প ও সেবা খাত খোলা আছে, সেদিকে নজর দিয়েছে এনবিআর। সংকটের এই মুহূর্তে এনবিআরের এমন চিঠি সুপারশপ মালিকদের মধ্যে একধরনের চাপ তৈরি করবে জানিয়ে সুপার মার্কেট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, সুপারশপে বেচাকেনা কিছুটা বেড়েছে এটা যেমন সত্য, তেমনি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত, কর্মীদের বাড়তি সুবিধা দেওয়াসহ নানা খরচও বেড়েছে। করোনাকালের এই বিশেষ সময়ে ঝুঁকি নিয়ে হলেও নিত্যপণ্যের জোগান দিচ্ছে সুপারশপগুলো। তাই অন্তত দুই মাসের জন্য হলেও তাদের বিদ্যমান ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা উচিত। সুপারশপ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে মীনাবাজার ও আগোরার মাধ্যমে এ দেশে সুপারশপের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমান রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে কার্যক্রম পরিচালনাকারী দুইশর মতো সুপারশপ আছে। বছরে এসব প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। সুপারশপ থেকে এনবিআর বছরে গড়ে একশ কোটি টাকার মতো ভ্যাট পায়।
×