ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষতিগ্রস্ত লোকোমোটিভ মেরামতের পর রেলবহরে যুক্ত

প্রকাশিত: ১১:৪২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 ক্ষতিগ্রস্ত লোকোমোটিভ মেরামতের পর রেলবহরে যুক্ত

শ.আ.ম হায়দার, পার্বতীপুর ॥ পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ২৯৩৩ নম্বর লোকোমোটিভটি প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্বে ইঞ্জিনিয়ার কারিগরদের নিরলস প্রচেষ্টা ও দক্ষতায় পরিপূর্ণ মেরামতের পর গত মঙ্গলবার রেলবহরে যুক্ত হয়েছে। এটি এ রেল কারখানার বিশাল সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। লোকোমোাটিভ মেরামতের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১.৫ কোটি টাকা। এ ধরনের লোকোমোটিভ প্রতিটির আমদানি খরচ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। এতে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়। কেলোকার সূত্রমতে ২০১৩ সালে জাপানের অর্থ সহায়তায় এম আই ১৫ ক্লাসের ১১টি লোকোমোটিভ (২৯২৯-২৯৩৯) দক্ষিণ কোরিয়ায় হুন্দাই রোটেম কোম্পানি থেকে আমদানি করা হয়। ২৯৩৩ লোকোমোটিভটি এর মধ্যে একটি। রেলবহরে যুক্ত হবার পর ২০১৩ সাল থেকে লোকোটি সফলভাবে ট্রেন নিয়ে চলাচল করেছে। এটি ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন (৭০৯) নিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা-সিলেট সেকশনের মধুপুর নোয়াপাড়া রেল স্টেশনে প্রবেশকালে ল্যুপ লাইনে ঢোকার সময় ফেসিং পয়েন্টের সুইচ ত্রুটির কারণে ডিরেলমেন্ট হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এতে লোকোর নীচের অংশের ফুয়েল ট্যাঙ্ক রেললাইনের সঙ্গে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আগুন লেগে অধিকাংশ যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। প্রথমে লোকোমোটিভটি নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ডিজেল শপে। পরীক্ষা করে দেখা যায় লোকোমোটিভটির প্রায় সকল যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ, যা জিওএইচ সিডিউল ছাড়া মেরামত বা প্রতিস্থাপন সম্ভব নয়। ফলে এটি কেলোকায় প্রেরণের নিমিত্তে বালাসী তিস্তামুখ ঘাট দিয়ে পারাপারের অপেক্ষায় চট্টগ্রামে পড়ে ছিল। যমুনা নদীর নাব্যতা ফিরে না পাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে লোকোটি সেখানেই পড়ে থাকে। এ ছাড়াও রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় লোকোটি বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ওপর দিয়ে পূর্বাঞ্চল হতে এ কারখানায় আনা সম্ভব হয়নি। অবশেষে বিশেষ শর্তসাপেক্ষে মৃত লোকোমোটিভটি ১৫ মে ২০১৯ তারিখে সোফোকারসহ বঙ্গবন্ধু রেলসেতু অতিক্রম করে কেলোকায় প্রবেশ করে। এখানে লোকোটি ডিসম্যান্টেল করে বিস্তারিত ড্যামেজ এ্যান্ড ডিফিসিয়েন্সি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। সে অনুযায়ী বিদেশ ও স্থানীয়ভাবে যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করা হয়। কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা দৈনিক জনকণ্ঠকে জানান, এ লোকোমোটিভটি মেরামত বলা যায় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল।
×