ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

২০২৫ থেকে মুরগির মাংস রফতানি

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

২০২৫ থেকে মুরগির মাংস রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালে শুরু হবে মুরগির মাংস রফতানি। শুক্রবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এক সেমিনারে এ খবর জানান পোল্ট্রি শিল্প সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, যে কোন মূল্যে খাতটি হতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে চান। এজন্য যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবেলায় উদ্যোগ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এছাড়া চাহিদার চেয়ে যোগান বেড়ে যাওয়ার রফতানির কোন বিকল্প নেই বলেও জানান বক্তারা। তবে মাংসের উৎপাদন খরচ কমানো না গেলে আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকা মুশকিল। তাই এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সরকারের হস্তক্ষেপ চান পোল্ট্রি শিল্প উদ্যোক্তারা। ‘জার্নি অব সেইফ পোল্ট্রি প্রোডাকশন ইন বাংলাদেশ এ্যান্ড রোল অব মিডিয়া’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আরও বলা হয়, বিগত কয়েক বছরে এ্যান্টিবায়োটিক মুক্ত নিরাপদ মুরগির মাংস ও ডিম উৎপাদনে অনেকখানি এগিয়েছে দেশের পোল্ট্রি শিল্প। সরকার আইন করে পোল্ট্রি ও মাছের খাবারে এ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এর দায়িত্বহীন ব্যবহারের বিরুদ্ধে আদালতের রুল জারি হয়েছে। শুধু তাই নয় বিগত কয়েক বছরে এ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। তাছাড়া পোল্ট্রি শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে নিরাপদ পোল্ট্রি পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা নিরাপদ পোল্ট্রি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হাসান জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালে প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন এজিপি অলটারনেটিভ এডিটিভস (এ.এ.এ) দেশে আমদানি হয়েছে এবং প্রায় ৩.৪ মিলিয়ন টন মুরগি ও মাছের খাবার তৈরিতে তা ব্যবহৃত হয়েছে। যা দেশে উৎপাদিত মোট ফিডের প্রায় ৮০ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘এ্যান্টিবায়োটিক মুক্ত ফিড উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। নিরাপদ ডিম ও মাংস উৎপাদনে ফিড একটি অন্যতম নিয়ামক হলেও নানাভাবেই এতে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটতে পারে। যেমন- জবাই করার সময়, প্রসেস করার সময়, স্টোরেজ করার সময়, রান্নার সময়ও। তাই একদিকে যেমন নজরদারি বাড়ানো, আইন ও নীতিমালা প্রয়োগে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরকে আরও কঠোর হতে হবে, অপরদিকে তেমনি ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে।’ বৈঠকে উপস্থিত ছিলন প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ মকবুল হোসেন, অধ্যাপক ড. শওকত আলী, অধ্যাপক ড. এস সি দাস, অধ্যাপক ড. কে এম এস ইসলাম প্রমুখ।
×