ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

অন্তিমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পথ দেখান

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

অন্তিমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পথ দেখান

গোটা জাতি যখন হতাশ হয় তখন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উঠে দাঁড়ান। হাত তুলে উচ্চারণ করেন হতাশার কিছু নেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। স্বাধীন জাতির শক্তি অপ্রতিরোধ্য, কেউ আমাদের ‘দাবায়ে রাখতে পারবা না’ যত সঙ্কটই আসুক, বাংলাদেশের মতো উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে ওঠার টার্গেট নিয়ে নিম্ন আয়ের অর্থনীতি থেকে অতি অল্প দিনে মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে উন্নীত হওয়ার পথে সঙ্কট আসাটা অস্বাভাবিক নয়। প্রশ্ন হচ্ছে সঙ্কট মোকাবেলা করা। এই প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের রোল মডেল। বিশ্বব্যাংক চোখ রাঙ্গিয়েছিল মিথ্যে ভিত্তিহীন দুর্নীতির অভিযোগ এনে, পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। শেখ হাসিনা ডোন্ট কেয়ার উচ্চারণ করলেনÑ নিজস্ব অর্থেই আমরা পদ্মা সেতু বানাব। আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান এক গর্বিত বাস্তবতা। ক’দিন আগে বেসরকারী স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এমপিওভুক্তি (MPO – monthly pay order) নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় হয়ে গেল। অল্পদিনের ব্যবধানে আজ আবার প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা নিয়ে যা যা ঘটে গেল তা নিয়ে কে কাকে দোষ দেবেন? সবই নিজেদের মধ্যকার ব্যাপার? অপরাধ করলাম আমরা আর দুঃখ প্রকাশ করতে হলো শেখ হাসিনাকে, বঙ্গবন্ধু কন্যাকে, এখানেই শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতোই বাঙালী জাতি ও বাংলাদেশকে ধারণ করেন। রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম খুবই অপমানের। কিন্তু কেন হলো, কিভাবে হলো এটি? বস্তুত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মিলিটারি জিয়া ক্ষমতা দখল করে রাজনীতি করার খায়েশ পূরণ করতে গিয়ে গোলাম আযমদের ডেকে এনে নাগরিকত্ব দিয়ে জামায়াত-শিবিরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এবং রাজাকার শাহ আজিজুর রহমান, আবদুল আলিম, মাওলানা আবদুল মান্নানদের প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীর আসনে বসান। কারাগার থেকে ছেড়ে দেন ১১ হাজার সাজাপ্রাপ্ত ও সার্জশিটভুক্ত রাজাকারকে। তারপর বিচারপতি আবদুল সাত্তার মিলিটারি এরশাদ এবং মিলিটারি-বৌ বেগম খালেদা জিয়া একই ধারা লালন করেন। খালেদা জিয়া তো বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী আলবদর মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদের গাড়ি-বাড়িতে শহীদদের রক্তে রঞ্জিত জাতীয় পতাকা তুলে দেন। তারা নিজেদের মতো করে তখন প্রশাসনও সাজান এবং ওই সময়টাতে গোলাম আজম, নিজামী, মুজাহিদ, সাকাদের নাম রাজাকারের তালিকা থেকে সরিয়ে তদস্থলে এ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু, এ্যাডভোকেট তপন চক্রবর্তীর মতো মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠকদের নাম তালিকায় প্রতিস্থাপন করে দেয়। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর আজকের প্রশাসন তা যাচাই-বাছাই না করেই তালিকা প্রকাশ করলেন। এ ক্ষেত্রে আরেকটি ব্যাপারও কাজ করেছে বলে আমি মনে করি- প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি তথা ‘ঘুষ বা তথাকথিত স্পিড মানির’ দৌরাত্ম্যও কম নয়। বেশ আগে আমি একটি মন্তব্য করেছিলাম যে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরাট অংশ অল্প দামে বিক্রি হয়ে যান আর এই সুযোগ নেয় জামায়াত-শিবির। তাদের হাতে অঢেল টাকা এবং এই টাকা দিয়ে তারা এমনিভাবে রাজাকারের তালিকা পাল্টায়। জব ক্রয় করে, এমপিওভুক্তি ক্রয় করে। আর আমরা কিছু টাকা পেলেই হলো এখানে আদর্শ, রাজনীতি, ন্যায়নীতি কাজ করে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু-অধ্যাপক, লেখক, গবেষক, ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুন গত ১৮ ডিসেম্বর দৈনিক প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘যে মন্ত্রণালয়ের এক সাবেক সচিব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারী, যে মন্ত্রণালয়ের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননার সোনা চুরি হয়, সেই মন্ত্রণালয়ে আমলাতন্ত্রের ওপর নির্ভর করলে এমনই হয়।’ প্রফেসর মামুন সেই সচিবের কথা বুঝিয়েছেন যাকে কয়েক বছর আগে সরকার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান। এটা স্বীকার করতেই হবে আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভুলের খেসারত দিতে হয় দলীয় সরকারকে, দলকে এবং সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে। এবারের এমপিওভুক্তির তালিকা এবং রাজাকারের তালিকা দুটি সরকার ও দলকে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এতে করে দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজেদের ভুল স্বীকার করেন কিনা জানি না। তবে প্রধানমন্ত্রী সব সময় সব ক্ষেত্রে যেমন সবার ভুলের দায় নিজের কাঁধে নেন এবারও তাই করলেন। পত্রিকায় দেখেছি তিনি দুঃখ প্রকাশ করে রাজাকারের তালিকা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশের প্রেক্ষিতে আপাতত তালিকাটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এখানে দু’একটি উদাহরণ তুলে ধরতে চাই। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনাল তথা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর বা প্রধান আইনজীবী গোলাম আরিফ টিপুর নাম রাজাকারের তালিকায় এসেছে। এটি একটি ঠাট্টা-মশকরার পর্যায়ে পড়ে। যিনি কোর্টে দাঁড়িয়ে আইন তথ্য ও যুক্তি দিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম, সাকা, নিজামী, মুজাহিদের মতো ক্রিমিনালদের ফাঁসির কাষ্ঠ পর্যন্ত যেতে ভূমিকা রেখেছেন তার নাম রাজাকারের তালিকায় এটা ফাজলামো মশকরা নয় কি? তিনি বলেছেন, প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় আমার নাম যুক্ত থাকায় আমি হতবাক বিস্মিত মর্মাহত ও অসম্মানিত (প্রথম আলো ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯)। এমনিভাবে সিরাজগঞ্জের মরহুম আবদুল লতিফ মির্জা, বরিশালের এ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তীর মতো মানুষদের নাম রাজাকারের তালিকায় এসেছে। এটি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যারা এই অপকর্ম করেছে তাদের শাস্তি হবে। যার পরিবারে কেউ শহীদ হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাদের নাম রাজাকারের তালিকায় দেখলে কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক। এর চেয়ে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না। আপনারা শান্ত থাকুন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। মন খারাপ করার কিছু নেই। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এবং যারা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার তারা সব সময় আমাদের কাছে শ্রদ্ধেয়, জাতির কাছে শ্রদ্ধেয় থাকবে। (প্রথম আলো ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯)। বিস্ময়কর এবং সবচেয়ে দুঃখজনক হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভগ্নিপতি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও নাতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির ছেলে শহীদ শিশু সুকান্ত বাবুর নামে, যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সঙ্গে অন্য বাড়িতে শহীদ হন, প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি। যথারীতি আবেদন ফরমফিলাপ করে দেয়ার পরও। তদুপরি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাই আবদুল হাই সেরনিয়াবাতের নামও রাজাকারের তালিকায় এসেছে। অথচ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে এই পরিবারের অপূরণীয় সেক্রিফাইস রয়েছে। দৈনিক জনকণ্ঠে এসেছে এমনিভাবে তোফায়েল আহমেদ এমপি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ অর্ধশতাধিক সংসদ সদস্য তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্বিবেচনায় নিয়ে এমপিওভুক্ত করার জন্য লিখেছেন। তবে দুঃখজনক ভাবে দুইজন খুবই বিশ্বাসভাজন সজ্জন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক অযথা প্রশ্নবিদ্ধ হলেন। এই দুইজনের বিরুদ্ধে তালিকা প্রকাশের আগ পর্যন্ত কারও কোন অভিযোগ ছিল না। এবার তাও হলো। আমি আগেই বলেছি মিলিটারি জিয়া থেকে শুরু করে বেগম খালেদা জিয়া পর্যন্ত সরকারে প্রশাসনে রাজাকারদের অবাধ বিচরণ ছিল। বিশেষ করে জামায়াত-শিবির কি নির্বাহী পদে কি নীতিনির্ধারণে। তারই সুযোগে রাজাকারের তালিকা থেকে তাদের নাম গোপন করে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা বা আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বাণিজ্যও কাজ করেছে। এমপিওভুক্তির তালিকা প্রণয়নেও একই ঘটনা ঘটেছে। যেমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট জজ নাম প্রকাশ না করার শর্তে (জনকণ্ঠকে) বলেছেন তার এলাকায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান একটিতে ২৩ লাখ টাকা এবং আরেকটিতে ৩০ লাখ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে যেমন ময়মনসিংহ ত্রিশালের জাতীয় সংসদ সদস্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানীর অভিযোগ ত্রিশাল পৌর এলাকায় কয়েকটি রুম ভাড়া নিয়ে একটি কোচিং সেন্টার চালাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। এটি কলেজ হিসাবে এবার এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। উক্ত ভুয়া কলেজের তথাকথিত অধ্যক্ষ ত্রিশাল কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজের একজন কম্পিউটার বিভাগের ডেমোনেস্ট্রেটর। সেই ব্যক্তি ওই ভুয়া কলেজে তার তিন ভাই, ভাইয়ের বউ ও ভগ্নিপতিকে ঢুকিয়েছেন। এতে যে বাণিজ্য হয়েছে তাতে কি কোন সন্দেহ আছে? এই জামায়াত-শিবির আলবদর আলশামসরা যে কত তৎপর তার একটি উদাহরণ হলো সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের কবি শামসুর রাহমান লাইব্রেরিতে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার খোলা হয়েছে। এ উপলক্ষে ক্লাবের সবুজ চত্বরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এখানে সিনিয়র সাংবাদিকদের শহীদ সাংবাদিকদের নামাঙ্কিত উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়। এতে গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার বিবৃতিতে স্বাক্ষর দানকারী এবং বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বিতর্কিত সিনিয়র সদস্য অপর বিতর্কিত আলমগীর মহিউদ্দিনকে ডেকে এনে ওই উত্তরীয় পরিয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই আলমগীর মহিউদ্দিনের একাত্তরে আলবদরদের সঙ্গে সখ্য ছিল বলে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রচলিত ধারণা। অথচ ওই উত্তরীয় শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সারসহ ১৩ জন শহীদ সাংবাদিকদের নাম লেখা রয়েছে (যে তালিকা ক্লাবের লবিতে রয়েছে) যাদের ১৩-১৪ ডিসেম্বর আলবদর আলশামস বাহিনী বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে রায়েরবাজার মিরপুর বধ্যভূমিতে নিয়ে গুলি করে ব্যয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছিল। আমি ওই অনুষ্ঠানের পর ক্লাবে গেলে লাইব্রেরি উপ-কমিটির কনভেনার শাহনাজ আমাকে একটি উত্তরীয় পরিয়ে দেন। পরে জানতে পারলাম আলমগীর মহিউদ্দিনদের গলায়ও এই উত্তরীয় পরানো হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে দেয়া উত্তরীয়টি প্রতিবাদের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করলাম। কিন্তু তাতে আলমগীর মহিউদ্দিন বা বিতর্কিত সিনিয়র সদস্যদের কিছু আসে যায় না। তাদের নাম তো ক্লাব লাইব্রেরির মুক্তিযুদ্ধ কর্নার প্রতিষ্ঠায় রেকর্ড হয়ে গেল। ভবিষ্যতে আবার যখন রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করা হবে যদি হয় তখন তো তাদের নাম থাকবে না? অবাক হব যদি দেখা যায় তাদের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় উঠে আসে। যেমন করে এমপিওভুক্তির তালিকায় ঢুকে পড়েছে রাজাকারদের পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমনকি মিলিটারি জিয়াকে আমরা ‘শহীদ’ স্বীকার করে নিলাম তার নামে প্রতিষ্ঠিত স্কুল, গার্লস হাই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করে। শিক্ষামন্ত্রী আমার একটি লেখার প্রেক্ষিতে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাতে বলেছেন, সবকিছু হয়েছে নিয়মতান্ত্রিকভাবে। প্রশ্ন এসেছে, বর্তমান সরকারদলীয় সরকার এবং দলের আদর্শ, নীতি, রক্ষিত হয়েছে কি-না তাও দেখার বিষয়। সরকারী দল মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, তার আগে ২৩ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং এই দলটির নীতি-আদর্শও এভাবে মাটি থেকে উঠে এসেছে এবং গণমুখী। ডাটাবেজ আকাশ থেকে পড়ে না, মানুষই তৈরি করে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ও বিভাগের যেসব কর্মকর্তা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দেশের গোটা শিক্ষাব্যবস্থা একদিন রাজাকারের হাতে চলে গেলে অবাক হব না। কারও প্রতি ঈর্ষা, হিংসা, প্রতিহিংসা নয়, দায়িত্ববোধ থেকে কথাগুলো বললাম। কাউকে হার্ট করাও আমার উদ্দেশ্য নয়। ঢাকা-২০ ডিসেম্বর ২০১৯ লেখক : সংসদ সদস্য, সদস্য-মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটি, সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×