ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চা ও মাছের বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ৩০ নভেম্বর ২০১৯

 চা ও মাছের বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন

চা ও মাছের বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে প্রথমবারের মতো সফলতা পাওয়া গেছে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের (সিকৃবি) একটি গবেষণায় এ নিয়ে জ্বালানি খাতে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। বাংলাদেশে ব্যবহৃত চা ও মাছের বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে প্রথমবারের মতো সফল হয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন, শিক্ষার্থী শঙ্করূপা দে এবং জিনাত জাহান। জানা যায় ব্যবহৃত চা, মাছ ও গবাদিপশুর বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বায়োগ্যাস উৎপাদনের পাশাপাশি সার হিসেবে ব্যবহারের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। গবেষণায় দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন অনুপাতে মাছ, চা ও গরুর সমন্বিত বর্জ্য হতে ৭২ মিলি. এবং ৪৫ মিলি, গরু ও চায়ের সমন্বিত বর্জ্য থেকে ৩৫ মিলি এবং গরু ও মাছের সমন্বিত বর্জ্য হতে ৬৫ মিলি বায়োগ্যাস বা মিথেন পাওয়া গিয়েছে। বিশ্বে দিনে দিনে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা বাড়লেও পাল্লা দিয়ে কমছে তার মজুদ ও উৎস। তাই বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিতকরণে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে বায়োগ্যাস উন্নত বিশ্বে এখন বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্জ্য ভেদে বায়োগ্যাস থেকে ৬০-৬৫% মিথেন গ্যাস পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রতিদিন ব্যাপক পরিমাণ চা, মাছ ও গবাদি পশুর বর্জ্য তৈরি হয়, যা সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশের ওপর নানাবিধ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এই বর্জ্য পঁচে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস নির্গত হয় যা গ্রিনহাউজ গ্যাস হিসেবে কার্বন-ডাইঅক্সাইডের চেয়ে ২৫ গুণ বেশি ক্ষতিকর। মাছের বর্জ্য, চায়ের বর্জ্য ও গোবর মিশিয়ে ৬৫% নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সিকৃবির এই গবেষক দল। -সালাম মশরুর, সিলেট থেকে
×