ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফোন ট্যাপ হলে কী করে বুঝবেন?

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

  ফোন ট্যাপ হলে কী করে বুঝবেন?

একটি উপায় হচ্ছে এ্যান্টি-ভাইরাস বা এ্যান্টি-ম্যালওয়্যার এ্যাপ বা পমাবাইল এ্যান্ড টু এ্যান্ড সিকিউরিটির ওপর অনেক এ্যাপ পে স্টোরে রয়েছে। সে রকম এ্যাপ যদি ডাউনলোড করা হয়, তারা কিন্তু একটা সঙ্কেত দেবে যে, কিছু একটা হতে চলেছে বা কোন প্রিভিলেজ এ্যাক্সেস দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কেউ যদি এই ধরনের ট্যাপিং চালু করে মানে আমার ফোন থেকে তথ্য চুরি করতে শুরু করে, তাহলে দুটি জিনিস মারাত্মকভাবে হবে। এক. ফোনটির ব্যাটারিতে চার্জ অত্যন্ত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। কারও ব্যাটারি যদি সারাদিন চলত, সেটা ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখলে বুঝতে হবে ফোনটি ট্যাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুই. যদি দেখা যায় কোন কাজ না করলেও আমার ফোন সারাক্ষণ গরম হয়ে যাচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে মোবাইলটা ট্যাপিংয়ের শিকার হয়েছে। সেখান থেকে তথ্য বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিন. আমাকে দেখতে হবে মোবাইলের ডাটা কত ব্যবহার হয়েছে। মোবাইলে ‘ডাটা ইউসেজ’ বলে একটি অপশন থাকে। সেখানে দেখতে হবে ডাটার ব্যবহার বেশি হচ্ছে না কম হচ্ছে। যদি দেখি আমার মোবাইলে সে রকম কোন সফটওয়্যার এ্যাপ্লিকেশন নেই যেগুলো কমন ডাটা দেখাচ্ছে, এদিকে ডাটা মারাত্মকভাবে ব্যবহার হয়ে যাচ্ছে এবং সেটি আউটগোয়িং ডাটা। সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে আমার ফোনটির তথ্য-চুরির শিকার হয়েছে বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফোন ট্যাপ বা তথ্য চুরি হলে করণীয় হোয়াটসএ্যাপের এই যে সমস্যাটি নিয়ে এখন ধরা পড়ায় হৈচৈ হচ্ছে, সেই সমস্যা কিন্তু চলছে ২০১৩ সাল থেকে এবং প্রচুর লোকের ব্যক্তিগত তথ্য ‘কম্প্রোমাইজ’ হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এটা খুবই সামান্য অংশ যেটা প্রকাশ্যে এসেছে। ১০০টার মধ্যে একটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাকিদের কথা কেউ জানেই না। একটা একটা করে ধরা পড়বে। যদি মোবাইলে এই লক্ষণগুলো ধরা পড়ে সেক্ষেত্রে ফোনটি ফেলে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। বলা হতো আইফোনের সুরক্ষা ব্যবস্থা সব থেকে ভাল। কিন্তু, এখন দেখা গেল আইফোনের সবচেয়ে বড় যে সুরক্ষা ছিল ‘জেল ব্রেকিংটা’ হবে না, সেটা একটি মিসড কল দিয়ে ভেঙে দিয়েছে। সেটা যদি ভেঙে দিতে পারে তাহলে আইফোনের সুরক্ষার কিছু বাকি থাকে না। সত্যি বলতে, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত কোন সমাধান ছিল না। কিন্তু, ২০১৯-এ দাঁড়িয়ে এর থেকে বাঁচার উপায় হাতে এসেছে। এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে আপনার হোয়াটসএ্যাপ এবং মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম প্যাচ করাতে হবে। আমার মনে হয়, এই নজরদারি সফটওয়্যারের মতো আরও কয়েকশ’ টুলস রয়েছে ডার্ক ওয়েব মার্কেটে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন বিদেশী শক্তিও এই ধরনের নজরদারি চালাতে পারে, যা এখনও সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। আপনি যদি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ কোন ব্যক্তি হন, যিনি সব সময় মূল্যবান তথ্য নিয়ে কাজ করেন, তাহলে একেবারেই ফোন ব্যবহার করবেন না। একইসঙ্গে কোন ফোনের ধারে কাছেও থাকবেন না। কারণ রিমোট ভয়েজ রিকগনিশনের মাধ্যমে আপনাকে সহজেই খুঁজে নেয়া যাবে। আপনি ফোনের ১০ মিটারের মধ্যে থাকলে আপনার গতিবিধিতে নজর রাখা যাবে। এমনকী, আপনার মোবাইল হ্যান্ডসেটের ক্যামেরা ও মাইকের মাধ্যমে আপনার ওপর নজরদারি চালানো সম্ভব। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ডিজিটাল ওয়ালেট, ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকার লেনদেন ও আটকে দেয়া যেতে পারে এই নজরদারি সফটওয়্যার দিয়ে।
×