
একদিকে আশঙ্কা, অন্যদিকে সম্ভাবনা—এই দ্বৈত বাস্তবতা নিয়েই সামনে এলো মাইক্রোসফট রিসার্চের একটি নতুন প্রতিবেদন। প্রায় ২ লক্ষ Copilot কথোপকথন বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, কর্মক্ষেত্রে কোন কোন পেশায় জেনারেটিভ এআই (Generative AI) সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে এবং কোন কোন পেশা এখনো তুলনামূলকভাবে AI-এর প্রভাব থেকে মুক্ত রয়েছে।
যেসব পেশা সবচেয়ে বেশি AI-এর উপর নির্ভরশীল:
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, তথ্য সংগ্রহ, লেখালেখি, শিক্ষা ও পরামর্শ—এই চারটি কাজেই Copilot-এর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে। আর এই কাজগুলোর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিলে যায় এমন পেশার তালিকায় উঠে এসেছে:
-
অনুবাদক ও দোভাষী (৯৮% কাজ AI-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ)
-
ইতিহাসবিদ
-
লেখক ও সাংবাদিক
-
প্রুফরিডার ও সম্পাদক
-
পিআর বিশেষজ্ঞ
যেসব পেশা এখনো AI-প্রতিরোধী:
শারীরিক শ্রম ও সরাসরি মানুষের সঙ্গে যুক্ত পেশাগুলো এখনো AI-এর প্রবল হস্তক্ষেপ থেকে রেহাই পাচ্ছে। যেমন:
-
নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট
-
ম্যাসাজ থেরাপিস্ট
-
যন্ত্রচালক (ট্রাক ও ট্রাক্টর)
-
ছাদ মেরামতকারী
-
বাসন ধোয়ার কর্মী
-
হাউজকিপিং পরিচারিকা
AI মানেই চাকরি হারানো নয়:
গবেষকেরা অবশ্য একে শুধুমাত্র চাকরি প্রতিস্থাপন না ভেবে চাকরি-সহযোগী প্রযুক্তি হিসেবেও দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রেই AI-এর ব্যবহার কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে এবং কাজের গতি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করছে।
যারা AI-এর প্রভাবিত পেশায় রয়েছেন, তাদের জন্য এই গবেষণা একদিকে যেমন সতর্কবার্তা, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগও। কারণ, এই খাতে মানিয়ে নেওয়া ও দক্ষতা বাড়ানোর মধ্যেই রয়েছে টিকে থাকার চাবিকাঠি।
Jahan