ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের কাছে লজ্জার হারে বাংলাদেশের বিদায়

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ৩০ আগস্ট ২০১৯

ভারতের কাছে লজ্জার হারে বাংলাদেশের বিদায়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। প্রতিপক্ষের সঙ্গে আগের হেড টু হেড পরিসংখ্যানেও এগিয়ে তারা। কোথায় জিতে সাফ অনুর্ধ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নাম লেখানোর কথা অথচ সেই প্রতিপক্ষের কাছে ‘হালিখানেক’ গোল হজমের লজ্জায় ডুবে রবিন লীগ লেগেই বিদায় নিতে হলো তাদের! বলছি বাংলাদেশের কিশোর ফুটবলারদের কথা। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার কল্যাণী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ০-৪ গোলে হেরে গেছে স্বাগতিক ভারতের কাছে। বিজয়ী দল প্রথমার্ধে এগিয়েছিল ১-০ গোলে। বিজয়ী দলের ফরোয়ার্ড হিমাংশু জাঙ্গরা হ্যাটট্রিক করেন (২৯, ৭৪ ও ৭৯ মিনিটে)। এ আসরে এটা তার দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। মোট ৬ গোল করে টপকে গেলেন বাংলাদেশের আল-আমিন রহমানকে, যার গোল ৫টি)। অপর গোলটি করেন শুভ পল (৮৯ মিনিটে)। এ নিয়ে মোট ৫ বার মুখোমুখি হলো বাংলাদেশ-ভারত। বাংলাদেশ জিতেছে ৩ ম্যাচে, ভারতের জয় ২টিতে। এই জয়ে ২০১৮ আসরে সেমিফাইনালে ১-১ গোলের ড্র’র পর পেনাল্টি শূটআউটে বাংলাদেশের কাছে ৪-২ গোলে হারার প্রতিশোধটা নিয়ে নিল ভারত। বৃহস্পতিবার এই দুই দলের ম্যাচে আগে অনুষ্ঠিত হয় নেপাল-ভুটান ম্যাচটি। ওই ম্যাচে ভুটানকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে নাম লেখায় হিমালয়ের দেশ নেপাল। ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠেয় ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। ভারত অবশ্য এই আসরের ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেছিল এক ম্যাচ আগেই। ৪ ম্যাচের প্রতিটিতেই জিতে তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৩ জয় ও ১ হারে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেপাল। ২ জয় ও ২ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ তিনে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কা চারে ও শূন্য পয়েন্ট পাওয়া ভুটান আছে তলানিতে। ৫ দেশ নিয়ে (পাকিস্তান ও মালদ্বীপ এবার অংশ নেয়নি) টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে রবিন লীগ পদ্ধতিতে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনালে। বৃহস্পতিবারের ম্যাচে এক কঠিন সমীকরণ মাথায় নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। আগের ম্যাচেই ভুটানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে দেয় নেপাল। ফলে তাদের পয়েন্ট বাংলাদেশের চেয়ে ৩ বেশি হয়ে যায়। সেই সঙ্গে গোলগড়েও (+৬) তারা ধরে ফেলে বাংলাদেশকে। ফলে ফাইনালে উঠতে হলে ভারতকে হারানোর কোন বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। এটাই মূলত কঠিন চাপে ফেলে দেয় তাদের। অথচ নেপাল যদি ভুটানের কাছে হারতো তাহলে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ড্র করলেই হতো। কিন্তু সেটি হয়নি। খেলা হয় বৃষ্টিভেজা মাঠে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ মোটামুটি ভালই খেলে। এই অর্ধে ১টি গোল হজম করে। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৩ মিনিট পর্যন্ত ভারতকে আটকে রেখেছিল বাকি ১৭ মিনিটের মধ্যেই ৩টি গোল খেয়ে বসে। ফলে বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় তাদের। এই ম্যাচে ইনজুরির জন্য খেলতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক রাকিবুল ইসলাম। তারা হেরেছে মূলত তাদের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের ভুলের কারণে। চারটি গোলই শ্রাবণ হজম করেছেন তার পজিশনাল সেন্সের অভাব এবং বলের ফ্লাইট জাজমেন্টের কারণে। প্রতিটি গোলই ভারত করেছে ‘ডেড বল সিচুয়েশন’ থেকে। এর তিনটিই ছিল ফ্রি কিক এবং একটি গোল ছিল কর্নার থেকে। প্রতিবারই শ্রাবণ বল ধরতে এগিয়ে হয় আগেভাগেই, নয়তো অনেক দেরিতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, যার মাসুল দিতে হয় পুরো দলকেই।
×