ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমছে

প্রকাশিত: ১০:৩৪, ২৭ আগস্ট ২০১৯

 হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারত থেকে আমদানি বাড়ায় হিলি স্থলবন্দরে কমেছে পেঁয়াজের দাম। কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ থেকে ১২ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩২ টাকায়। দাম কমায় স্বস্তিতে আছেন পাইকাররা। আমদানিকারকরা জানান, ভারতে প্রচুর পেঁয়াজের এলসি করা আছে। সে পেঁয়াজ বন্দর দিয়ে প্রবেশ শুরু করলে দাম আরও কমে আসবে বলেও জানান তারা। হিলি কাস্টমস জানায়, গেল সপ্তাহের ৫ কর্মদিবসে ১১২টি ভারতীয় ট্রাকে ২ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ৩২ ভারতীয় ট্রাকে ৮শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত হিলি স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বেশিরভাগ পেঁয়াজ, খৈল, পাথর আমদানি হয়ে থাকে। তার মধ্যে পেঁয়াজ আমদানিকে কেন্দ্র করে বন্দর এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশকিছু পেঁয়াজের আড়ত। যেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা এসে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যায়। ঈদের ছুটির পর এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অল্প পরিসরে হওয়ায় লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। ঈদের আগের তুলনায় ঈদের পরে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। তবে বর্তমানে ব্যতিক্রম দেখা গেছে বন্দরের আড়তগুলোতে। পেঁয়াজের আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে দাম। প্রকারভেদে কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১২ টাকা। আর বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে। ঈদের পর গেল বুধবার যে পেঁয়াজ বন্দরে বিক্রি হয়েছে ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা। হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, ছুটির পর পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় আমদানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। তিনি আরও জানান, আমরা ভারতে আমদানিকারকদের চাপ দিয়েছি বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ রফতানিতে। তারা বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করে ইতোমধ্যে আমাদের রফতানি করছে। আর এই কারণে বন্দরে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ প্রবেশ করায় দাম কমেছে। আশা করছি সামনে দাম আরও কমে আসবে। পেঁয়াজ আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম জানান, আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে শুরু করেছে। আজ আমরা সবচেয়ে ভাল পেঁয়াজটা ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। যে পেঁয়াজ গেল বুধবার বিক্রি করেছি ৪৪ টাকা দরে। আর সর্বনিম্ন বিক্রি করছি ২৮ টাকা কেজি দরে। যা আগে বিক্রি করেছিলাম ৩৮ টাকা কেজি দরে। প্রকারভেদে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা কমেছে। তিনি আরও জানান, ভারতে আমাদের প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজের এলসি দেয়া আছে। সেগুলো বন্দরে প্রবেশ করলে দাম স্বাভাবিক থাকবে। পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী জানান, গত কয়েকদিনের থেকে পেঁয়াজের দাম একটু কমেছে। আমরা স্বস্তিতে কিনতে পারছি। আমরা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারলে ক্রেতারাও কম দামে কিনে খেতে পারবে। তিনি আরও জানান, দামটা আরও একটু কমলে আমাদের বেচাকেনা ভাল হবে। হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বন্দরে গেল সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসে ১১২টি ভারতীয় ট্রাকে দুই হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
×