ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নানারকম ‘এ্যাপ’ ও আমার-আপনার সতর্কতা

প্রকাশিত: ০৮:৩১, ২১ জুলাই ২০১৯

  নানারকম ‘এ্যাপ’ ও আমার-আপনার সতর্কতা

প্রতিদিন আমরা যেসব এ্যাপ ব্যবহার করে থাকি সেগুলোর বিশেষ করে মোবাইল ফোনের এ্যাপ ব্যবহারের যে যে নিয়ম আছে তা আমাদের অনেকেরই অজানা। নিয়মের চেয়ে বেশি জানা দরকার কোন্ এ্যাপ আমার জন্য কখন প্রয়োজনীয়। না বুঝে আমরা কিছু দেখলেই বা কারও কাছ থেকে শুনেই ডাউনলোড করে নেই। এতে ফোনের যে মেমোরি তার অপচয় হয়। অনেকে অবশ্য যখন বোঝেন কোন এ্যাপ তাদের দরকার নেই তখন তা মুছে ফেলেন। কিন্তু এ্যাপ ডাইউনলোড করে তা দেখতে ও বুঝতে গিয়ে আমরা মনের অজান্তে এমন কিছু ভুল করে ফেলি যা সঠিক নয় বা কোন এক সময় আমাদের ক্ষতির কারণ হতে পারে। সে ক্ষতি ব্যক্তিগত না হলেও সমাজ ও সংস্কৃতির জন্য, এমনকি কোন কোন সময় দেশের জন্যও ক্ষতির কারণ হতে পারে। কোন এ্যাপ ইনস্টল করে তা চালু করতে চাইলে দেখবেন কিছু তথ্য দিতে হয়, যেমনÑ নাম, ঠিকানা বা ই-মেইল, বয়স বা জন্ম তারিখ ও আরও কিছু ব্যক্তিগত তথ্য। যদি আপনার জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত বা কাজের উপযোগী না হয় তাহলে আপনি এসব ব্যক্তিগত তথ্য কেন দেবেন? এসব বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে ও হচ্ছে। গবেষণায় ও অনুসন্ধানে দেখা গেছে এসব তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে কোন কোন এ্যাপ ডেভেলপার বা প্রস্তুতকারী বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এসব তথ্য জোগাড় করে নেয়। এদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত আছে মোবাইল ফোনের প্রস্তুতকারী বিভিন্ন কোম্পানিও। আই ফোনের বিরুদ্ধে নানারকম এ্যাপ দিয়ে ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ অনেক পুরনো। এখন প্রশ্ন হলো, সেসব তথ্য নিয়ে সে কি করে, যা আপনার জানা জরুরী। কারণ এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে আপনাকে দাঁড়াতে হবে যাতে আপনার নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত রাখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করে থাকে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ থেকে অক্টোবরের ১ তারিখ পর্যন্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওপর একটি গবেষণা এরা পরিচালনা করে, যার ফলাফল বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ফেসবুকের ‘ডিজিটাল ট্র্যাকিং সিস্টেম’ নিয়ে মার্কিন জনগোষ্ঠীর কি মনোভাব তা জানতে এই গবেষণা পরিচালিত হয়, যা পরে মিলিয়ে দেখা যায় অন্য প্রায় সকল দেশেই একইরকম প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ফেসবুকের ‘আপনার বিজ্ঞাপনী পছন্দ’ পাতায় তথ্য নিয়ে সে কি করতে চেয়েছে ৭৪ ভাগ ব্যবহারকারী এই গবেষণায় যুক্ত হওয়ার আগে তা জানতেনই না। ফেসবুক মূলত ব্যবহারকারীর কি ধরনের বিজ্ঞাপন পছন্দ এটা জেনে সেসব আগ্রহের বিজ্ঞাপনগুলো ওই ব্যবহারকারীর কাছে প্রদর্শন করে, যা ৫৪ ভাগ ব্যবহারকারী বলেছেন এতে তারা আগ্রহী হয়েছেন। প্রশ্ন হলো, আপনার পছন্দ জেনে নিয়ে আপনাকে পছন্দের যে বিজ্ঞাপনগুলো সে দেখাবে সেগুলোর আয় ফেসবুকের জন্যই বরাদ্দ থাকছে। ব্যবহারকারী এর ফলে কোন উপকার পাবেন বা সাশ্রয়মূল্যে পণ্য পাবেন এমন কোন নিশ্চয়তা বা সুযোগ দেয়া থাকে না। শুধু তথ্য বুঝে উপযুক্ত বাজারে আপনাকে নিয়ে যাওয়ার এমন যে বৈজ্ঞানিক বুদ্ধির কৌশল সে ব্যবহার করছে তাতে পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ফেসবুক স্মার্ট পদ্ধতি খাটিয়ে বড়লোক হচ্ছে; কিন্তু আপনি খরচ করছেন মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ও অপারেটরের টাকা। প্রকৃতপক্ষে আপনার কোনই সাশ্রয় হচ্ছে না, উল্টো আপনি খরচ করে অন্যদের আয়ের পথ করে দিচ্ছেন। ফলে দাবি উঠেছে এসবের মাধ্যমে আয়ের ভাগ ভোক্তার জন্য কিভাবে বরাদ্দ হতে পারে তা নিয়ে ভাবনার। ফেসবুক চালাকি করে বাজার নিশ্চিত করতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ‘ফেসবুক ফ্রি’ বলে একটা কৌশল ছেড়ে দিয়েছে অর্থাৎ সে বলতে পারছে আমরা তোমার খরচ কমিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আপনি আসলেই কি ফেসবুক ‘ফ্রি’ ব্যবহার করেন? অনেকে বুঝতেই পারছেন না যে, ফেসবুকে পৌঁছাতে হলেও আপনাকে ইন্টারনেট কিনেই সাঁকো পার হতে হবে। সে ব্যবস্থা এরকম যে, শুধু ফেসবুক ব্যবহারের সময় আপনার ডাটা কাটবে না, আপনি একবার চোখ সরিয়ে অন্য এ্যাপ হয়ে আবার ফেসবুকে ফিরে আসতে আসতে বা ফেসবুক যদি আপনাকে অন্য অ্যাপে নির্দেশ করে নিয়ে যায় ঠিক সে মুহূর্ত থেকে আপনার ইন্টারনেট কাটা পড়তে থাকবে। এরকম নানা বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে ফেসবুকের মালিক টাকা কামাই করে বিশ্ব ধনীদের কাতারে নিজের নাম করে নিয়েছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের ওই গবেষণায় এমনও আছে যে, ফেসবুক আপনাকে জিজ্ঞেস করবে আপনার ‘রাজনৈতিক সম্বন্ধ’ নিয়ে আর আপনি যে তথ্য দেবেন তার ওপর সে রাজনৈতিক মতের কৌশলগুলো আপনার পাতায় হাজির করবে। মার্কিন নির্বাচনের আগে এসব তথ্য সে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে এমন অভিযোগ উত্থাপন হলে ফেসবুক ক্ষমাও চেয়েছে; কিন্তু তার বুদ্ধিমত্তায় সে কোন পরিবর্তন আনেনি। উল্টো সে নানারকম প্রশ্ন হাজির করে প্রতিদিন আপনার-আমার অজান্তে পছন্দ-অপছন্দের বিবেচনাগুলো নিয়ে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। এসব অভিযোগ নিয়ে দুনিয়াজোড়া মামলা-মোকদ্দমা ও হইচইও অব্যাহত আছে। ফেসবুক ও গুগোলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ হয়েছে এরকম যে, এরা আপনার সবচেয়ে স্পর্শকাতর তথ্য এমন কৌশল প্রয়োগ করে নিয়ে নিচ্ছে ও অন্যের কাছে বিশ্লেষণ করতে সেসব তথ্য বিক্রি করে দিচ্ছে যা অকল্পনীয়! যেমন গুগোল ক্যালেন্ডার ব্যবহার করেন এমন নারীরা তাদের মাসিকের তথ্য যখন টুকে রাখেন গুগোল তা নিজের মতো করে সরিয়ে নেয়। যেসব এ্যাপ এসব তথ্য ব্যবহারের জন্য উপকারী বলে মনে হয়েছে, যেমনÑ ‘পিরিয়ড ট্রেকার’ বা ‘ওভ্যুলেশন ট্রেকার’- এগুলোতে যেসব তথ্য পায় সবই চলে যায় বিশ্লেষক দলের হাতে। তারা এসব বিশ্লেষণ করে দেখে ঠিক কি কি কারণে জন্মনিরোধক পদ্ধতি কাজ করছে বা কাজ করছে না বা ওই নারীর শারীরিক প্রক্রিয়ায় কোন ব্যতিক্রম ঘটেছে, যার জন্য কোন সমাধান ওষুধ কোম্পানি খুঁজে পেতে পারে। বলাবাহুল্য, এসবই মুনাফা অর্জনের বুদ্ধি। ফেসবুক বা গুগোলই এসব কাজে বেশি মনোযোগী ও তৎপর বলে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে বেশি যে, প্রকারান্তরে এরা টাকার বিনিময়ে এসব তথ্য জন্মের উৎসাহ দেয় আর তাতে প্রশ্নবিদ্ধ হন এ্যাপ ডেভেলপাররা, সাধারণ ব্যবহারকারী যার কিছুই টের পান না। তৃতীয় পক্ষের ছাড়াও এমন অনেক এ্যাপ এখন আছে যা সরাসরি গুগলের এন্ড্রয়েড বা আই ফোনের ওআইএস নিজেই যুক্ত করে রেখেছে, যেখানে ফোন নিবন্ধনের সময় সে সুকৌশলে বয়স, উচ্চতা ও স্বাস্থ্যগত কিছু তথ্য নেয়। আই ফোনের হেলথ ফিচারের অ্যাপে বি এম আই বা ‘শারীরিক ভর সূচক’ যা মূলত চিকিৎসাসেবায় প্রয়োজন হয় সে তথ্য দেয়ার সুযোগ দিয়ে রেখেছে। এ্যাপ নিজে থেকে হার্ট রেট, রক্তচাপ, ঘুম, দৈনিক হাঁটাচলা সব বিবরণ টুকে নেয়। আপনি যদি তার ফাঁদে পড়ে দৈনিক কি কি খাবার গ্রহণ করছেন তার পরিমাণ উল্লেখ করে দেন এ্যাপ নিজে থেকে বিশ্লেষণ করে দেবে আপনার পুষ্টিমান বা ক্যালোরি গ্রহণ ও খরচের হিসাব। কিন্তু সে এমন সব তথ্য এরই মধ্যে নিয়ে নেবে যার কোন ফলাফল আপনি পাবেন না। কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে সে প্রিমিয়ার সুবিধা দেবে অর্থাৎ আপনি যদি আর একটু তথ্য চান তা কিনে নিতে হবে। টাকা দিলে সে আপনার দেয়া তথ্য থেকে একটা ফলাফল আপনার কাছেই বিক্রি করবে। কিন্তু বেশিরভাগ তথ্যই সে বিক্রি করে দেবে তথ্য বিশ্লেষণের বাজারে, যার ফলাফল আপনি ব্যক্তিগতভাবে কখনও পাবেন না। যেসব এ্যাপ লোকেশন ব্যবহার করে তাতে নিরাপত্তার ঝুঁকিই বেশি। আপনি ম্যাপ ব্যবহার করে উপকার পাচ্ছেন ঠিকই; কিন্তু আপনার গতিবিধি, কখন কোথায় যাচ্ছেন, কোন্ পথে যাচ্ছেন গুগোল ম্যাপের টাইমলাইনে গেলে তার সব বিবরণ পাবেন, আপনি হেঁটে গেলেন না গাড়িতে গেলেন তাও। এসবের কোন তথ্যই আপনি দেননি; কিন্তু সে নিজে থেকেই নিয়ে নিয়েছে। এমনকি কোথায় কোন্ বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেছেন, কোথায় কি খেয়েছেন বা কোন্ ব্যাংকের কার্ড দিয়ে কত খরচ করেছেন সব তথ্য কোথাও থেকে যাচ্ছে। যদি আপনি গুলশানের কোন কফিশপে গতকাল কিছু খেয়ে থাকেন আজ থেকে আপনি প্রতিনিয়ত ম্যাপের নিচে হরেক কফিশপের নাম, ঠিকানা, দূরত্বসহ তা নির্দেশক আকারে পাবেন। এগুলো যে বিজ্ঞাপন আপনি টেরই পাবেন ন। কিছুদিন হলো ‘ফেসএ্যাপ’ বলে একটি এ্যাপ বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এই নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও চলছে। এই এ্যাপ ব্যবহার করে আপনি আপনার একটি ছবি তুলে তা শৈশব, বুড়ো সব বয়সের বানিয়ে নিতে পারবেন। নিউরাল নেটওয়ার্ক টেকনোলজি ব্যবহার করে এই এ্যাপ আপনাকে চমকে দিতে পারে যদি দেখতে পান ২০ বছর আগে আপনি কেমন ছিলেন বা ২০ বছর পরে আপনি দেখতে কেমন হবেন। দাড়ি রাখলে আপনাকে কেমন দেখাবে বা সাজলে কোন্ ফ্যাশন উপযুক্ত হবে সেসব নির্দেশ করে দেবে সে। আপনি বিনে পয়সায় এসব প্রাথমিক সুবিধা নিলেও দেখবেন কিছু লোভনীয় আগ্রহ সে তৈরি করবে ও সেগুলো পেতে হলে আপনাকে টাকা দিতে হবে। কিন্তু সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো এই এ্যাপ দুনিয়াজুড়ে ইতোমধ্যে প্রায় পনেরো কোটি মানুষের মুখাবয়ব সংগ্রহ করে ফেলেছে। কারণ ব্যবহারকারী যে ছবিই ব্যবহার করুক তা সঙ্গে সঙ্গে তাদের ক্লাউড সার্ভারে জমা হয়ে থাকছে। প্রশ্ন হলো, আপনি তো জানেন না ভবিষ্যতে আপনার এই ছবি সে কি কাজে ব্যবহার করবে আর তা আপনার নিরাপত্তার বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সুরক্ষা রাখবে কি-না। মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ভাইরাল হওয়া ফেসএ্যাপ মানুষকে তাদের মুখভঙ্গি পরিবর্তন এবং বয়স বাড়িয়ে নেয়ার ক্ষমতা দিয়েছে। বিনিময়ে মানুষ ফেসএ্যাপকে দিয়েছে তাদের নাম এবং ছবি ব্যবহারের ক্ষমতা। অর্থাৎ ফেসএ্যাপ এখন চাইলেই যে কোন কাজে এসব নাম এবং ছবি ব্যবহার করতে পারে। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার জীবন যতই স্মার্ট করুক আমাদের বুঝেশুনে তার সুবিধা নিতে হবে। প্রায় সব অ্যাপেই কিছু শর্ত দেয়া থাকে, আমরা সেগুলো না পড়েই ‘আই এগ্রি’ ঘরে টিক দিয়ে দেই। এটা কোনভাবেই ঠিক না। তাছাড়া চমকে আকৃষ্ট না হয়ে আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী এ্যাপ ব্যবহার করা উচিত সে সচেতনতা আমাদের থাকতে হবে ও যারা বোঝেন তাদের এই নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে আর্থিক লেনদেন করতে আমরা যদি কোন এ্যাপ ব্যবহার করি তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা আছে কি-না তা ভালভাবে না বুঝে কিছুতেই ব্যবহার করা উচিত হবে না। বাংলাদেশে ‘মাই ওয়ালেট’ এ্যাপে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের বিবরণ রাখা এখনও নিরাপদ নয়। কারও ফোন হারিয়ে গেলে তা দূর নিয়ন্ত্রণে বন্ধ করার যেসব সুযোগ আছে বাংলাদেশে সেসবের সুবিধা এখনও যথেষ্ট চালু নয়। ফলে আর্থিক লেনদেনের তথ্য, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার তথ্য, পারিবারিক হিসাবের তথ্য মোবাইল ফোনে রাখার সচেতনতা না বাড়িয়ে আমাদের সেসব এ্যাপ ব্যবহার করা ঠিক হবে না। এই বিষয়গুলো নিয়ে সরকারেরও ভাবা দরকার আছে যাতে উপযুক্ত নীতিমালা ও গাইডলাইন তৈরি করে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। লেখক : পরিচালক, আমাদের গ্রাম উন্নয়নের জন্য তথ্য-প্রযুক্তি প্রকল্প [email protected]
×