ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাতক্ষীরা উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দে নাগরিক সমাজের ২১ দফা

প্রকাশিত: ১২:০৫, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

সাতক্ষীরা উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দে নাগরিক সমাজের ২১ দফা

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরায় উৎপাদিত খাদ্যশস্যের অর্ধেক জেলায় ব্যবহৃত হয়ে বাকি অর্ধেক চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। উৎপাদিত মৎস্য সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ ব্যবহারের পর তা দেশের ঘাটতি এলাকায় চলে যায়। সাতক্ষীরার আম যাচ্ছে ইউরোপে, মাটির টালি যাচ্ছে ইতালিতে। এ ছাড়া হিমায়িত খাদ্য রফতানিতে সাতক্ষীরা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় জেলা হলেও এই জেলায় উন্নয়নের ধারা হতাশাব্যঞ্জক। এমনসব তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি এই জেলার উন্নয়নে ২১ দফা দাবি তুলে ধরে এবারের বাজেটে সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠলেও জেলা হিসেবে সাতক্ষীরা পিছিয়ে পড়েছে। বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরায় উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম। এ সময় এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, মাধব চন্দ্র দত্ত, আনোয়ার জাহিদ তপন, নিত্যানন্দ সরকার , আজাদ হোসেন বেলাল, আলি নুর খান বাবুল নেতা উপস্থিত ছিলেন। ২০১০ সালের ২৩ জুলাই সাতক্ষীরা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরায় রেল সংযোগ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও বাস্তবায়িত হয়নি উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাতক্ষীরায় পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় , সুন্দরবনে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ এবং দক্ষিণ বাংলার উন্নয়ন সিংহদ্বার ভোমরা স্থলবন্দর ও সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজকে পূর্ণাঙ্গতা প্রদান করতে হবে। নদী ভাঙ্গন, জলাবদ্ধতা এবং আইলা-সিডর উপদ্রুত উপকূলীয় এলাকাকে ‘দুর্যোগপ্রবণ এলাকা’ ঘোষণা করে অভিবাসনরোধ করা, পলি পড়ে ভরাট হওয়া নদী-খাল খনন, সুন্দরবনে সম্পদভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা, মৎস্য শিল্প উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ, সাতক্ষীরা শহরের মধ্যকার প্রাণ সায়ের খাল খনন এবং রাস্তাঘাট, সেতু নির্মাণ ও সংস্কারের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
×