ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ডলারের দাম ধস নামল, অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়ছে

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ১ জুলাই ২০২৫

ডলারের দাম ধস নামল, অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়ছে

সংগৃহীত

গত কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্য বিপর্যস্ত পতনের মুখোমুখি হয়েছে। রেকর্ড সংখ্যক পতনের মাধ্যমে ডলারের বিনিময় হার ১৯৭৩ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। এই অবস্থা শুধু আর্থিক বিশেষজ্ঞদের নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও উদ্বেগের ঢেউ তোলে।

একদিকে দাম বাড়ছে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় পণ্যের, অন্যদিকে দেশের রপ্তানি-আমদানি ব্যালেন্সের ওপর পড়ছে চরম চাপ। রমেশ, একজন মাঝারি বয়স্ক ব্যবসায়ী বলেন, “ডলারের এমন দরপতন আগে কখনো দেখিনি। আমাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে, আয় কমছে, আর খরচ বাড়ছে। এই অবস্থায় পরিবার নিয়ে কীভাবে চলবে ভাবতেই পারছি না।”

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের এমন অবমূল্যায়ন দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও পুঁজিবাজারে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এর ফলে আমদানি পণ্য ও বিদেশি ঋণের বোঝা বেড়ে যাবে, যা দেশের অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে দুর্বল করে তুলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানাচ্ছেন।

তবে সমাজের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাজারে খাদ্যপণ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় অনেক পরিবারই দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা টuition ফি দিতে পারছে না, গৃহিণীরা বাজার থেকে কম দামে জিনিস কিনতে চাইছেন, আর বড়দিনের আনন্দ এখন অনেকের কাছে দূর স্বপ্ন।

সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বললেও, বাজারের অস্থিরতা থামছে না। সাধারণ মানুষ এখন দিনকে দিন আরও অনিশ্চয়তায় বন্দি হয়ে পড়ছে।

এই সংকট থেকে উত্তরণে প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্যোগ। যদি সময় মতো সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে এই দরপতন দেশের স্বপ্নগুলোকে আরও দুর্বল করে দেবে।

হ্যাপী

×