ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

লিজা জাহান

সচেতনতা প্রয়োজন

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সচেতনতা প্রয়োজন

পরিবেশ দূষণ বর্তমান সময়ের অন্যতম প্রধান সমস্যা। পরিবেশ দূষণের ফলে পৃথিবী দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহর অঞ্চলে দিন দিন মারাত্মকভাবে বেড়েই চলেছে এ দূষণ। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, শহরাঞ্চলে এ ক্ষতির কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশে ক্ষতি হচ্ছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। আর এই পরিবেশ দূষণের জন্য প্রধানত; দায়ী কলকারখানার বর্জ্য, ইটভাটার কালো ধোঁয়া, পলিথিনের অপব্যবহার, গাড়ির কালো ধোঁয়া, কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যামিকেল, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন, প্লাস্টিকের ব্যবহার, এর ফলে প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। শব্দ দূষণ, পানি দূষণ, বায়ু দূষণ সব মিলিয়ে সামগ্রিক দূষণ দেশবাসীকে দিন দিন এক মহা বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে দেশবাসী মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে আর সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুরা। কলকারখানার উচ্চশব্দ, গাড়ির হর্ন, পটকাবাজির শব্দ মানুষের শ্রবণ শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। এ ছাড়াও মানসিক বিপর্যয়, উচ্চরক্তচাপ, স্নায়বিক অস্থিরতা, স্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। পরিবেশ দূষণ একেবারে প্রতিকার করা অসম্ভব হলেও এর প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর এ জন্য জনগণের মাঝে পরিবেশ দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিবেশ দূষণ রোধে পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। বিভিন্ন পোশাক শিল্পগুলো পরিবেশ দূষণের অন্যতন বাহন হিসেবে কাজ করে তাই পোশাক শিল্পের দূষণ কমাতে বায়ো এনজাইম দিয়ে কাজ করাতে হবে। তবে বর্তমানে অনেক শিল্পে বায়োস্কাওয়ারিং হচ্ছে ফলে ক্ষতিকারক কেমিক্যালের ব্যবহার অনেকাংশে কমিয়ে দিচ্ছে। তা ছাড়া পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে এবং গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। শহরাঞ্চলের রাস্তাঘাট এবং বাড়ির ছাদে বেশি বেশি গাছপালা লাগাতে হবে। কলকারখানার বর্জ্য পরিশোধনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। তদুপরি, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের কাজকে রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। সরকারের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন হতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমাদের সকলের উচিত পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ করা। তবেই এই বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব। মিঠাপুকুর, রংপুর থেকে
×