ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লিয়াকত হোসেন খোকন

পথে পথে হাঁকিব, বন্ধু, ঈদ-মোবারক!

প্রকাশিত: ০৪:২২, ৭ জুন ২০১৮

পথে পথে হাঁকিব, বন্ধু, ঈদ-মোবারক!

আমাদের মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ও পবিত্র উৎসব ‘ঈদ -উল-ফিতর’। ঈদের দিনে পোলাও- মাংস খাওয়া আর নতুন পোশাক কেনার সামর্থ্য সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে বড় লোকরা এ দিনে নানা রকম মুখরোচক খাবার খাবেন, নিকটজনদেরও আমন্ত্রণ জানাবেন জর্দাপোলাও, ফিরনি খাওয়ার জন্য। নিত্যনতুন পোশাক পরে ধনীর দুলালীরা নানা রকম চমকও দেখাবেন পথেঘাটে। বছরে ঈদ-উল-ফিতর একবার আসে বলেই অনেকেই নতুন শাড়ি, থ্রি-পিস, প্যান্ট, সার্ট, জুতা, অলঙ্কারও ক্রয় করেন। ঈদ মানে কিশোর-কিশোরী, ইয়ং জেনারেশনের কাছে বিশেষ আনন্দ-ফুর্তি। বড় লোকের ছেলেমেয়েরা এ দিনে গাড়ি ড্রাইভিং করে কাছেপিঠে কোথাও বেড়াবেন। সন্ধ্যার পরে আমাদের বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকানগরী আলোক সজ্জায় সজ্জিত হয়ে উঠবে। কিন্তু গরিবের ঘরে এই ঈদের দিনে জর্দা ফিরনি, পোলাও মাংস কিছুই রান্না হবে না। কেননা, বাংলার গরিবের দিন কাটে অর্থাভাবে, তাই এ দিনে প্রতিটি এলাকার ধনাঢ্য কিংবা সচ্ছল ব্যক্তিদের উচিত- আগেভাগে নিজ নিজ এলাকার গরিব জনসাধারণের একটি তালিকা তৈরি করা। অতঃপর অন্তত একবেলা পোলাও মাংস, জর্দা-ফিরনি সরবরাহের ব্যবস্থা করা। আগেভাগে নিকটস্থ গরিবদের তালিকা তৈরি করে স্ব স্ব উদ্যোগে তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে জাকাতের লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, শাড়ি, জামাকাপড় দিয়ে আসা। এতে করে জাকাত দিতে গিয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও থাকবে না। এছাড়া ৬৫ বয়সের উর্ধে বয়সীদের স্ব স্ব এলাকার সংসদ সদস্যরা মহিলাদের শাড়ি, পুরুষদের লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি পাঠালে ঈদ উৎসবে দেশের প্রতিটি মানুষ আনন্দের ছোঁয়া খুঁজে পাবেন। এভাবেই আমাদের বাংলাদেশে আনন্দ ভাগাভাগির মাধ্যমে ঈদ উৎসব সফল হয়ে দেখা দেবে সবার জীবনে। যাঁদের আছে অভাব অনটন তাঁকে বা তাঁদের পোশাক-আশাক প্রদান করে আর খাওয়া-দাওয়া বণ্টন করলেই উপরওয়ালা সন্তুষ্ট থাকবেন। ধনীরা দিল উজাড় করে গরিবদের কিছু দিলে গরিবরাও খুশি হবেন, পাবেন ঈদের ছোঁয়া। আর এভাবেই হোক আনন্দ ভাগাভাগির ঈদ। ধনী-গরিব একে অপরের বুকে বুক রেখে এ দিন সকলে বলুন- ‘পথে পথে হাঁকিব, বন্ধু, ঈদ-মোবারক! আসসালাম! ঠোঁটে ঠোঁটে আজ বিলাব শিরনি ফুল-কালাম! বিলিয়ে দেয়ার আজিকে ঈদ।’ মার্কুইজ স্ট্রিট, কলকাতা থেকে
×