ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মমতাজ লতিফ

অনেক দিক থেকে আঘাত আসবে, সতর্ক হোন

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৩০ মে ২০১৮

অনেক দিক থেকে আঘাত আসবে, সতর্ক হোন

এ বছরটা যে নির্বাচনের বছর এ কথা সরকার, মুক্তিযুদ্ধপন্থী সব দল ও শ্রেণী পেশার মানুষকে প্রতিদিন কয়েকবার করে স্মরণ করতে হবে। এবার অবশ্য একটি ঘটনা ঘটবে না। তা হলো বিদেশী-কূটনতিকরা বার বার খালেদা জিয়ার সুসজ্জিত মেকাপ করা রানী বেশ দেখতে এবং ওর কাছে নালিশ শুনতে ছুটে ছুটে নানা বাহানায় আর যেতে পারবে না। তারা খালেদা জিয়ার দলের পক্ষ গ্রহণ করে খুব বেশি ওকালতি করতে পারবে না। এখন খালেদা জিয়া দ-িত। দুর্নীতির দায়ে সারা পৃথিবীতে অনেক সরকারপ্রধান, দলপ্রধান দ-িত হয়েছে, অন্তরীণ হয়েছে। সুতরাং, দুর্নীতি করলে, দ- প্রমাণিত হলে যে কোন দ-িত ব্যক্তি কারাবরণ করতে বাধ্য- এটি দেশে দেশে প্রমাণিত হচ্ছে। আমাদের দেশেও আগে এরশাদ দ-িত হয়ে জেলে গিয়েছিল। এবার খালেদা জিয়া, যার উত্থান বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের একরম ব্যর্থ রাজনীতির কারণে সম্ভব হয়েছে। যদিও নেপথ্যে পাকিস্তানী গোয়েন্দা বাহিনী আই এস আই-এর জিয়া হত্যার পর বাংলাদেশকে তাদের আস্থাবহ রাখার উদ্দেশ্য অন্য সবকিছুর চাইতে বেশি অগ্রগণ্য হওয়ায় এবং ঐ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য খালেদা জিয়ার গৃহিণী থেকে হঠাৎ দলের নেত্রী হবার সুযোগ নিয়ে আসে। বলতে কোন দ্বিধা নেই যে, খালেদা জিয়ার পাকিস্তান- আনুগত্যের পরীক্ষা ওরা ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়েছিল। এমনটা হতে পারে, জিয়া নিহত হবার পর সেনা কর্মকর্তা এরশাদকে ক্ষমতায় বসানো তাদেরই ঐ পরিকল্পনার অংশ ছিল যাতে জিয়া হত্যার সুবিধা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধপন্থী দল ও মুক্তিযোদ্ধা নেতারা উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা সেনা ও কমান্ডারদের সাহায্যে ক্ষমতায় ফিরে আসার সুযোগ না পায়। এ পথ বন্ধ করা তাদের জন্য সবচাইতে ভাল এবং গ্রহণযোগ্য পন্থা ছিল। কেননা গৃহিণী খালেদা জিয়াকে অপরাজনীতিতে গ্রুমিং করার জন্য তাকে অনেকটা সময় দেওয়া প্রয়োজন ছিল। এই হাইপোথেসিসগুলোর সবগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা খাপে খাপে মিলে যায়। কোনটা পৃথক হয়ে থাকে না। যাই হোক, এখন আইএসআই-এর চেষ্টাটা থাকবে সেনাবাহিনীর কোন ক্ষুদ্র দলকে দিয়ে ক্যু বা ‘৭৫ এর হত্যাকা-ে মতো কোন বড় হত্যাকা- সংঘটন করা অথবা ২০০৮ এর বিডিআর বিদ্রোহের মতো দেশে কোন রক্তক্ষয়ী অস্থিতিশীল অবস্থা ঘটানোর চেষ্টা করা। এমনটিও তো হতে পারে, অন্য জেলাখানায় রক্তক্ষয়ী কোন ঘটনা ঘটিয়ে সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী ও জনগণের দৃষ্টি সেদিকে রেখে জেলের গেটসহ বিভিন্ন কক্ষে হামলা চালিয়ে খালেদাকে মুক্ত করে পাকিস্তান দূতাবাসে বা কোন গোপন স্থানে রেখে সরকার পতনের চেষ্টা করা। সরকার পতন না হলে তাকে কোন দেশে, হয়তো লন্ডনে পাঠিয়ে দেওয়া। মনে রাখতে হবে, খালেদা ওদের প্রতিটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। লক্ষ্য সফল না হলেও তাকে পুত্রশোক করবার সময় না দিয়েই সরকার পতনের আন্দোলন হিসাবে পেট্রোলবোমা হামলা করিয়ে রাজপথ, যানবাহন অচল করে দেয়া, যাত্রী চালককে পুড়িয়ে মারা, একই সঙ্গে রাস্তাঘাট কেটে পুকুর, খাল বানিয়ে ফেলা এবং আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের মফস্বলের নেতা কর্মী হত্যা, হিন্দু নির্যাতন ইত্যাদি চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চরম দেশ ও জাতি বিরোধী কর্মকা- করতে বাধ্য করেছে। এতে মদদদাতা হিসেবে অবশ্যই লন্ডনবাসী পুত্র তারেক রহমান সম্পৃক্ত ছিল, সব অপকর্মে যেমন তার হাত থাকে। এ বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে, তা বলা বাহুল্য। এই বছরে জঙ্গী, জিহাদি গোষ্ঠীগুলোকে আবারও কোন বিশেষ বিশেষ স্থান, ব্যক্তি, রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, ব্লগার, বিজ্ঞানমনস্ক তরুণ-তরুণীর ওপর হামলা করে দেশময় সাড়া জাগানো কোন নাশকতামূলক কাজে ব্যবহার করার সম্ভাবনা খুব বেশি। এদের টার্গেটে মুক্তিযুদ্ধপন্থী মৌলানা যেমন থাকতে পারে, তেমনি বিদেশী কূটনীতিক, উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত বিদেশীরাও হলি আর্টিজানের মতো হামলার শিকার হতে পারে। এদিকে সরকারের সতর্ক দৃষ্টি আছে বলে মনে হয়। তবে, সতর্কতা সম্ভবত সার্বক্ষণিকভাবে জোরদার রাখতে হবে। ‘জিরো টলারেন্স’ বলতে বলতে এটা আবার বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো না হয়ে যায়। তাছাড়া রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি বর্তমানে তারেকের অনুসৃত গোয়েবলসীয় নীতি অনুসরণ করে। প্রথমত- যে যে নির্বাচনে ওরা হারবে, সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানারকম মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে ঐ নির্বাচনকে বিতর্কিত করবার চেষ্টা করতে পারে। নির্বাচনে ক্যামেরার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ব্যালট পেপারের বই থেকে ভয় ডরহীনভাবে পাতা ছিঁড়ে নেবার দৃশ্য, রিটার্নিং অফিসারের অলসভাবে বসে থাকার দৃশ্যও দেখাতে পারে। খুলনা নির্বাচনের উপর বড় একটি কাগজে এই ফটোকে এত বেশি বানোয়াট মনে হয় যে একটি শিশুও ছবিটি দেখে প্রশ্ন করতে পারে, যদি অনিয়ম করে, চুরি করে, তাহলে এ ব্যক্তির অমন করে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়ে বাধাহীনভাবে কাজটি করছে কিভাবে? ক্যামেরা দেখলেই তো ওর ছুটে পালানোর পিঠ টুকু শুধু ছবিতে উঠবার কথা। ছবি যে বানানো যায়, একজনের ছবির সঙ্গে আরেকজনের ছবি পেস্ট করা যায় এতো এখন শিশুরাও জানে। ছবি এখন বড় প্রমাণ হতে পারছে না এইসব অপসাংবাদিকতার কারণে। মিডিয়া এখন হয়কে নয়, নয়কে হয় করতে অনেক বেশি সক্ষম উন্নত প্রকৌশলগত কারণে। বর্তমানে সে কারণে সাংবাদিকতায় অপ-সাংবাদিকতা, ষড়যন্ত্রমূলক সাংবাদিকতার সুযোগ অনেক বেশি। নৈতিকতাবোধভিত্তিক সাংবাদিকতা নেই তা নয়, কিন্তু তা যেন ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। চরিত্রহননের খবর সংবাদপত্রে হটকেকের মতো বিক্রি হয়। সাংবাদিক উচ্চ শিক্ষিত। সে সত্য, ন্যায় এবং দেশের জন্মের যুদ্ধের পক্ষেই অবস্থান গ্রহণ করবে, এমনটাই জনগণ আশা করে। আমার ধারণা, এই জঙ্গী মৌলবাদী দলের বারংবার উত্থান হবার নেপথ্যে জঙ্গী জিয়ার একটি বড় ধরনের ভূমিকা আছে। এখানে একটা প্রশ্ন না উঠে পারে নাÑ এই জিয়া আশ্চর্যজনকভাবে কেন পুলিশ-র‌্যাবের হাতে ধরা পড়তে পড়তেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে? সে কেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছে? তাকে না ধরার অথবা তাকে ধরার অভিযানের খবর ওর কাছে আগেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অবশ্যই কোন নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে লুকিয়ে থাকা সরকারবিরোধী কোন ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বা ব্যক্তির দ্বারা। অথচ, বাংলাদেশে উগ্র জঙ্গীবাদী যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঘোরতর শত্রু এবং ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশ ধ্বংসের লক্ষ্য বাস্তবায়নের পরম মিত্র ও সহযোগী, যাদের কার্যক্রম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারীদের হত্যা, উদার, বিজ্ঞান মনস্ক তরুণ, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, উদার মানবতাবাদী লালন ভক্তদের হত্যা করে ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ধ্বংস সাধনে নিয়োজিত তাদের প্রধান সহায়ক, সামরিক প্রশিক্ষণ এই জঙ্গী জিয়া। এ কথা অমূলক নয় যে জঙ্গী জিয়া অধরা থাকা পর্যন্ত এ দেশে জঙ্গী নির্মূল কোনভাবে সম্ভব হবে না। মূল খলনায়ককে বাঁচিয়ে রেখে ছোট ছোট জঙ্গীদের গ্রেফতার, বিচার, বন্দুকযুদ্ধ ইত্যাদি দিয়ে তাদের জন্ম এবং বিস্তার বন্ধ করা যাবে না। প্রথমত : জঙ্গী জন্মের স্থানীয় বীজের মূলোৎপাটন না করা পর্যন্ত এই স্থানীয় জঙ্গীর জন্ম হতেই থাকবে। নিরাপত্তা বাহিনীকে বলা প্রয়োজন- মধ্যম সারির, নিচের সারির জঙ্গী নেতাদের নির্মূল করার ফলে আত্মসন্তুষ্ট হবার কোন সুযোগ নেই। কেননা ভ্রƒণ বা বীজ ধ্বংস না করে মশা বৃদ্ধিও যেমন নির্মূল করা যায় না, তেমনি জঙ্গী জিয়া, তার আরও সহচর থাকতে পারে, তারা সবাই ধরাছোঁয়া, গ্রেফতার, বিচার থেকে দূরে থাকলে জঙ্গী জন্ম নির্মূল করা সম্ভব হবে না। অথচ জঙ্গী নির্মূল না হলে উন্নয়ন টেকসই হবে না। বাংলাদেশের বাইরের শত্রু, মিয়ানমার সেনাবাহিনী, পাকিস্তানী গোয়েন্দা বাহিনী আইএসআই, অপরদিকে দেশের ভিতরের শত্রু জঙ্গী, মৌলবাদী, সন্ত্রাসী দল, ’৭১- এর যুদ্ধাপরাধী তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভেতরে তাদের খুনিদের বাংলাদেশবিরোধী বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ড জিইয়ে রেখে নানাভাবে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতার বিস্তার ঘটাচ্ছে। এই দু’দলকেই মোকাবেলা করে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সম্প্রসারিত করবার চ্যালেঞ্জিং কাজটি করতে হচ্ছে। আমাদের আরেক বড় শত্রু দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতি করে দেশ থেকে অর্থ সম্পদ বিদেশে স্থানান্তর করায় লিপ্ত একটি বিশাল গোষ্ঠী যাদের মধ্যে অসৎ ব্যবসায়ী, ব্যাংক কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, ঠিকাদার, প্রশাসনিক, চিকিৎসক আইনজীবীসহ নানা শ্রেণী, পেশার মানুষ যুক্ত রয়েছে। এরাও বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে প্রকারান্তরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তিকে দুর্বল করছে। যত শীঘ্র সম্ভব দুর্নীতি দমন কমিশনকে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ও ক্ষমতা দিয়ে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা নানা পন্থায় আত্মসাৎ করেছে, যারা হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে ফেরত দেয়নি, তাদের নাম নানা মিডিয়ায় প্রকাশ করে তাদের গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দ করে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের সদিচ্ছা প্রমাণ করতে হবে। আসলে বাংলাদেশের একটি বিশেষ বিষয় আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধপন্থী রাজনীতিকদের মাথায় রাখতে হবে। সেটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধপন্থীরা খুন, হত্যা, ধ্বংসাত্মক পন্থা ব্যবহার করে নাÑ এটিই তাদেরকে দৃশ্যমান রাখতে হবে। অর্থাৎ জনগণ, সুশীল সমাজ এমনটাই বিশ্বাস করে- বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি অমানবিক এবং তারাই বর্বর সব অপঘটনা সংঘটন করবে। সেজন্য তাদের দ্বারা যখন আহসান উল্লাহ মাস্টার, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, শাহ কিবরিয়াসহ হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থক হত্যার শিকার হয়, সেসব অপঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে দায়ী করে কোন সুশীল সমাজ সংস্থা বক্তব্য দেয়নি, সেমিনার করেনি। কিন্তু মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করে চলছে, মাদকসেবী ব্যবসায়ীরা পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হলে সেটিতে সুশীল সমাজ মহাউদ্বেগ প্রকাশ করে, বিশাল মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সরকারকে দায়ী করছে। মাদক সেবীদের দ্বারা বধূ, ভাই, মা, বাবা, হত্যা সংসার ধ্বংস হচ্ছে যা সবাই জানে। পুরান ঢাকার মাদক সম্রাজ্ঞীর তথ্য দেবার জন্য খুন হতে হয়েছে তথ্য দাতাকে। আমরা ’৭১ থেকেই দেখে আসছি জিয়াউর রহমানের মিডিয়ার টুঁটি টিপে ধরা, মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা হত্যা, গণতন্ত্রকে নিয়ে বুটের লাথিতে খেলা করা। এসব কোন কিছুকেই তখন তো নয়ই, জিয়ার মৃত্যুর পরও, এখনো মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে গণ্য করে কোন বক্তব্য কোন সুশীল প্রদান করে না। একই কথা খালেদা-নিজামী-তারেক দ্বারা ২০০১ এর নির্বাচনী ফল দখলকে কখনো গণতন্ত্র হত্যা করা হিসেবে এরা গণ্য করেনি। এটাই জাতির মধ্যে বর্তমান বিরাজমান মাইন্ডসেট। আমার মনে আছে, ৯৬ সালে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিছু উপজেলায় কাজ করে শহরে ফিরে বিশ্রাম নিচ্ছি। এ সময় এলাকার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ করা কিছু তরুণ কথা বলতে আসলে আমি আসন্ন নির্বাচনে তাদের দল যদি জয়ী হবার মতো করে চলতে হবে বলে উপদেশ দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, বিএনপি-জামায়াতের হাজার অন্যায় জনগণ দেখবে না, কিন্তু আওয়ামী লীগের সূঁচ পরিমাণ অন্যায় সহ্য করবে না, তীক্ষè নজরের মধ্যে তোমাদের থাকতে হবে, সে কথা মনে রেখে চলবে। তরুণরা প্রথমে এ বক্তব্য মানতে চাচ্ছিল না। আমি শান্তভাবে বুঝিয়ে বললাম। পরে মেনে নিয়ে কথা দিল। আর ওদের সঙ্গে দেখা হয়নি। ২০০১ এর পর তারা বেঁচে আছে কিনা, তাও জানি না। কিন্তু যত তর্কই করি না কেন, যত যুক্তিই তুলে ধরি না কেন, এটাই সার্বিকভাবে জনগণের সাধারণ মাইন্ডসেট যা সুশীল ও মিডিয়ার তৈরি। তার মধ্যেও অন্যে খারাপ হলেও আমি ভাল থাকব না কেন? এটাই আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের সব দলের মতো হতে হবে। জনগণ বিএনপির বারো আনা অন্যায় মেনে নেবে, কিন্তু আওয়ামী লীগের চার আনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তুলবে। এটাই ভবিতব্য। ভাল থাকার মধ্যেই আওয়ামী লীগ তথা মুক্তিযুদ্ধপন্থীদের জয় আসে, আসবে। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
×