ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টি২০ সিরিজ

নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন আরিফুল

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৪ মে ২০১৮

নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন আরিফুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ছোটবেলা থেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন ছিল। তা পূরণ হয়েছে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এ বছর ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে খেলতে নামেন ‘হার্ড হিটার’ আরিফুল হক। কিন্তু দুই ম্যাচ খেলে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষেও দলে আছেন আরিফুল। ৩, ৫ ও ৭ জুন যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি২০ অনুষ্ঠিত হবে। এ সিরিজে একাদশে সুযোগ পেলে নিজেকে উজাড় করে খেলবেন। তবে লেগস্পিনার রশিদ খান ও অফস্পিনার মুজিব জাদরানকে নিয়ে যেভাবে আলোচনা হচ্ছে তা পাত্তাই দিতে রাজি নন আরিফুল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন আরিফুল। বলেছেন, ‘লেগস্পিন যে আগে খেলিনি তা নয়। উইকেট মনে হয় সুন্দর হবে। মনে হয় না রশিদ-মুজিবুর খুব একটা কার্যকর হবে। আমরা অনেক ভারসাম্যপূর্ণ দল। ওদের দলটা অতটা ভারসাম্যপূর্ণ নয়। ওদের বোলিং বিভাগ যতটা শক্তিশালী, ব্যাটিং হয়তো ততটা নয়। আমরা আমাদেরই এগিয়ে রাখব।’ খেলা হবে ভারতের দেরাদুনে। নতুন স্টেডিয়াম। উইকেট, মাঠ সবই নতুন। তাতে কতটা ভাল করা যাবে? আরিফুল জানান, ‘যতটুকু শুনেছি দেরাদুনে উইকেটে ঘাস থাকতে পারে। উইকেট অনেক ভাল, ব্যাটসম্যানরা ভাল করতে পারে, এটা মনে করে যদি আমাকে একাদশে সুযোগ দেয়, চেষ্টা করব সেরাটা দেয়ার।’ ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলে খেলার। তা পূরণ হয়েছে। এখন সামনের দিকটা সুন্দর করার দিকে তাকিয়ে আরিফুল, ‘আমার ছোটবেলা থেকে লক্ষ্য ছিল জাতীয় দলে খেলব। অলরাউন্ডার বা ব্যাটসম্যান হিসেবে নয়, জাতীয় দলে খেলব, সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করছি। সময় লাগবে। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিক ম্যাচের একটা পার্থক্য আছে। যে প্ল্যান আছে সে অনুযায়ী কাজ করছি।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের মাটিতে ২টি টি২০ খেলে ৩ রান করেছেন। এটিই আরিফুলের জাতীয় দলে এখন পর্যন্ত পারফর্মেন্স। আরিফুলকে নেয়াই হয়েছিল শেষ মুহূর্তে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করে দ্রুত রান তোলার জন্য। আরিফুল এক ম্যাচে ব্যাটিং করার তেমন সুযোগই পাননি। অপরাজিত ছিলেন। আরেক ম্যাচে ২ রান করে আউট হয়েছিলেন। আরিফুলকে ভবিষ্যত ক্রিকেটার ধরা হয়েছে। বিশেষ করে টি২০তে। আর তাই আরিফুলকে রাখা হয়েছে। সর্বশেষ বিপিএলে আরিফুল যেভাবে নিজেকে উজাড় করে খেলেছেন। ব্যাট হাতে একের পর এক ম্যাচে ঝলক দেখিয়েছেন। সেই আরিফুলকে চায় বাংলাদেশ দল। আরিফুলও প্রস্তুত, ‘আমাদের পাওয়ার হিটার একটু কম। ধীরে ধীরে বের হচ্ছে। অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা দেখেন। জাতীয় দলের বাইরে এত ভাল সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় না। জাতীয় দলের বাইরে থেকেও আমি এমন সুযোগ-সুবিধা পাব না। যখন পাব না তখন আত্মবিশ্বাস কমে যাবে, পারফর্মেন্সও ভাল হবে না। প্র্যাকটিস সুবিধা বাড়ালে আমার মনে হয় ওই সামর্থ্য আছে।’ আইপিএলের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য কী? আরিফুলকে এ নিয়ে প্রশ্ন করতেই জবাব দেন, ‘আমাদের ঘাটতি বলতে আইপিএলে উইকেট অনেক ভাল। ২০০, ২১০, ২২০ রান উঠছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখেন ২০০ রান হয় না। আমরা তাড়াই করি ১৫০ এ রকম। ওরা ২০০ রান তাড়া করতে অভ্যস্ত। বিগ শটের জন্য ভাল উইকেট দরকার।’ টি২০তে যতই ভাল করার আশা করা হোক, আরিফুলের কথাতেই বোঝা যাচ্ছে; দেশে ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটেই আসল গোমর লুকিয়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেট যত বেশি রানের জন্য প্রস্তুত থাকবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও ততই ভাল খেলা যাবে। বিশেষ করে টি২০। আরিফুল সেদিকেই জোর দিলেন।
×