ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দাম থাকুক স্থিতিশীল

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৪ মে ২০১৮

দাম থাকুক স্থিতিশীল

ছোট ব্যবসায়ী বলেন আর বড় ব্যবসায়ী বলেন সুযোগ পেলে সবাই লাভটা একটু বেশি করতে চায়। রমজানে আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্য কিছুটা চওড়া থাকে। সুযোগ বুঝে কিছু অসাধু চক্র এ সময়টাতে দ্রব্যমূল্য লাগামহীন মাত্রায় বাড়িয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে ক্রেতা বেশি মূল্যে কিনতে হয় সেসব পণ্য। আহা যেন ব্যবসা করার সঠিক সময় রমজান আসলেই দেখে অসাধু চক্র। পবিত্র এ মাসে কিছু চক্র আছে যারা পণ্যদ্রব্য মজুদ রেখে দাম বাড়িয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করে। প্রতি বছরই আমরা এমন কিছু ঘটনা লক্ষ্য করি। রমজানের সময় বাজারগুলোতে যেন আর যাওয়ার ইচ্ছে জাগে না। মানুষ না কিনেই বা কি করবে, তাই তো বেশি মূল্যে দিয়েও অনেকে কিনতে যায় পণ্যদ্রব্য। প্রতি বছর রমজানের সময় অসাধু সিন্ডিকেট বাজারকে নিয়ন্ত্রনে বেশ লেগে থাকে। সারা বছরের ব্যবসা যেন এক মাসেই করে ফেলতে তারা উঠে পড়ে লাগে। এদিকে আমাদের দেশে বিপুল অঙ্কের মানুষ মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত। এ ছাড়া নিম্নবত্তি শ্রেণীর মানুষ তো পড়েছে বেশ বিপাকে। বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। তারা আশ^াস দিচ্ছেন এ রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য থাকবে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে। সরকারী চাকরিজীবিদের বেতন বাড়লেও বাড়েনি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। যে বেতন পান সেখানে সংসার চালাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম চাহিদার নাগালে না থাকলে বেশ বিপাকে পড়বেন এসব বেসরকারী চাকরিজীবীরা। এ ছাড়া যেসব মানুষ দিন এনে দিন খায় তাদের অবস্থা তো আরও করুণ! না পারে কাউকে কিছু বলতে না পারে সইতে। দরিদ্র্যতার আঘাতে এমনিতেই তারা জর্জরিত, তার ওপর যদি লাগামহীনভাবে দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে সমচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে খেটে খাওয়া এসব মানুষদের। রাজধানীসহ দেশের আনাচে-কানাচে রমজান এলেই পণ্যদ্রব্যের চাহিদা তিনগুণ বেড়ে যায়। শুধুমাত্র রাজধানী শহরেই বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠীর চাহিদা রয়েছে। এসব মানুষের পণ্যদ্রব্যের চাহিদা মিটিয়ে সে সব পণ্য আবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যায় রাজধানীর কাওরান বাজার থেকে। চাঁদপুর থেকে
×