ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তরুণ পেসারদের গুরু চম্পকা!

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ৪ এপ্রিল ২০১৮

তরুণ পেসারদের গুরু চম্পকা!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যুগে যুগে ভাল পেসার বের হয়ে আসে, কিন্তু আবার হারিয়ে যায়। এর কারণ বাংলাদেশের উইকেটগুলো পেসারদের জন্য মোটেও সুবিধাজনক নয় এবং ফিটনেস সমস্যা। আর এসব নিয়েই এখন ১০ দিনের ক্যাম্পে তরুণদের নিয়ে কাজ শুরু করেছেন চম্পকা রমানায়েকে। তার অধীনে এইচপি ও ‘এ’ দল থেকে আসা ১৭ বছর বয়সী তরুণরা এই ক্যাম্পে থাকবেন। চম্পকা জানিয়েছেন মূলত বেশি জোর দেয়া হবে ফিটনেস সমস্যা কাটিয়ে ওঠার অনুশীলন এবং কৌশলগত বিষয়গুলো ঠিকঠাক করা। কৌশলের মধ্যে তিনি মূলত মনোযোগ দেবেন পেসারদের সুইং ও রিভার্স সুইংয়ে দক্ষতা বাড়ানোর দিকে। চম্পকা চাইছেন এর মাধ্যমে ২০২০ সালের যুব বিশ্বকাপের জন্য ভবিষ্যত মেধাবী তারকাদের বের করে আনতে। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক পেসারই দুর্দান্ত বোলিং করেন। এমনকি ম্যাচে ৫ উইকেট করেও শিকার করেন। কিন্তু সেই পেসারদের দুই/তিন বছর পর আর সেভাবে খুঁজেই পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে চম্পকা বলেন, ‘আমার সর্বশেষ এখানে থাকার সময় অনেক মেধাবী ছেলে বেরিয়ে এসেছিল। সবচেয়ে জরুরী বিষয় হচ্ছে তাদের ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যেতে হবে। গত বিসিএলে আমি কিছু ফাস্ট বোলার দেখেছি যারা ৫ উইকেট নিয়েছে। সুতরাং এটা খুব ভাল লক্ষণ। তারা প্রচুর বোলিং করেছে সেটাও ভাল লক্ষণ। আমরা প্রচুর পরিমাণে ফিটনেস নিয়ে কাজ করব। অনেকগুলো ফিটনেস ট্রেনিং হবে। আমরা ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় দেখেছি তাদের অনেকেই মারাত্মক ফিটনেস সমস্যা রয়েছে।’ ১০ দিনের এই ক্যাম্পের মূল লক্ষ্যই পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য। এ বিষয়ে চম্পকা বলেন, ‘এই ক্যাম্পটা আসলে তরুণ তারকাদের জন্য। তারা সবাই অনুর্ধ-১৮। পরবর্তী অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপে খেলার জন্য সক্ষম সবাই। তাই আমি তাদের ১০ দিনের একটা ক্যাম্পে রাখছি। আমি আগেও এমন দুটি ক্যাম্প করেছি এবং আমার এখান থেকে জুনিয়র পর্যায়ে মেধাবীদের খুঁজে বের করাই লক্ষ্য। সুতরাং আমি অনুর্ধ-১৯কে ভবিষ্যত মেধা হিসেবে বেছে নিয়েছি। এটা আমার নিজের জন্যও ভাল এবং তরুণদের জন্য উন্নতির সুযোগ। আমি এই প্রোগ্রামের আওতায় খেলোয়াড় চিহ্নিত করব যারা ২০২০ সালের পরবর্তী অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে পারে।’ ক্যাম্পে সুযোগ পাওয়া তরুণদের অধিকাংশই ১৭ বছর বয়সী। চম্পকা মনে করছেন এটাই উপযুক্ত সময় তাদের নিয়ে কাজ করার। এ বিষয়ে চম্পকা বলেন, ‘এটাই উপযুক্ত সময় তাদের ভেতরে থাকা সমস্যাগুলো শুধরে নেয়ার। যেহেতু তারা একেবারে আনকোরা তাই অনেক বিষয় আছে এখানে-ওখানে। তারা কিছু কৌশলগত দিক নিয়ে কাজ করছে। আমাদের ভিডিও সেশন হয়েছে এবং সেটা আমরা গতকাল বিশ্লেষণ করেছি। তাদের কিছু জায়গায় পরিবর্তন আসবে, তবে খুব বড় পরিবর্তন না। যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার জন্য এটা অবশ্যই করা জরুরী।’ কিন্তু বাংলাদেশের উইকেট পরিস্থিতি ও পরিবেশ পেসারদের জন্য তেমন সহায়ক নয়। এ কারণে কৌশলে এগিয়ে যেতে হবে ভাল পেসার তৈরি করতে। এ বিষয়ে চম্পকা বলেন, ‘এদেশে প্রচুর মেধা আছে। কিন্তু এখানে যেমন পিচ সেটা অনুসারে আপনার কিছুই করার নেই। এটার সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হবে। সুইংয়ে কিছু করতে হবে এবং কিছু করতে হবে হয়তো রিভার্স সুইংয়ে। সুতরাং তাদের এটা শিখতে হবে। বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো পিচই একই ধরনের। তবে কিছু ভাল পিচ এখানে অবশ্যই আছে। কিন্তু তাদের যে কোন পিচে বোলিং করা শিখতে হবে।’
×