ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হেরে যাওয়ার শঙ্কা থেকে বিএনপি নির্বাচনে না আসার পথ খুঁজছে ॥ নৌমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮

হেরে যাওয়ার শঙ্কা থেকে বিএনপি নির্বাচনে না আসার পথ খুঁজছে ॥ নৌমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘ বিএনপি এখন নিজের সঙ্গে আত্মপ্রতারণা করছে। দেশ এবং সরকার বিরোধী কিছুই করার সক্ষমতা তাঁদের নেই। তাদের মুখে এক কথা, অন্তরে আরেক কথা। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণার খবরকে কেন্দ্র্র করে নৌমন্ত্রী আরও বলেন, পৃথিবীর বহুদেশে রাষ্ট্রপ্রধানসহ অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় সাজা হয়েছে। তিনি এসময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফসহ একাধিক বিদেশী সাজাপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের নাম উল্লেখ করেন। সেখানে এনিয়ে কোন কথা ওঠেনা। আগামি নির্বাচনী হেরে যাওয়ার শঙ্কা থেকে বিএনপি এখন এই মামলার রায়কে ইস্যু করে নির্বাচনে না আসার পথ খুঁজছে।’ স্থানীয় এমপি সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মাহবুবুর রহমান এসময় বলেন, ‘ বিএনপি কিভাবে নিশ্চিত হলো সাজা হবে। ওনি (বিএনপি নেত্রী) চুরি করেছেন বলে মনে করছেন সাজা হবে। মামলার রায় ঘোষণার আগে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির কোন পরিকল্পনা সফল হবেনা বলে হুশিয়ারি করেন।’ নৌমন্ত্রী শাজাহান খান কলাপাড়ার টিয়াখালীতে রবিবার বেলা ১১টায় দেশের তৃতীয় পায়রা বন্দরের নবনির্মিত ওয্যার হাউস ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন সার্ভিজ জেটির নির্মাণ কাজের। পরিদর্শন করেন নির্মানাধীন প্রশাসনিক ভবন, রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড। দুপুরে তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। মন্ত্রী শাজাহান খান আরও বলেন, ‘ খালেদা জিয়ার এই মামলা আওয়ামী লীগ সরকার করেনি। করেছে কেয়ার টেকার সরকার। মামলার মোটিভ দেখে তারা নিজেরাই বুঝতে পারছে পরিণতি সম্পর্কে। এসময় স্থানীয় এমপি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলম বিএন, কলাপাড়ার উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, ইউএনও মোঃ তানভীর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী শাজাহান খান আরও বলেন, ‘ খালেদা জিয়ার এই মামলা আওয়ামী লীগ সরকার করেনি। করেছে কেয়ার টেকার সরকার। মামলার মোটিভ দেখে তারা নিজেরাই বুঝতে পারছে পরিণতি সম্পর্কে। উল্লেখ্য কুড়ি কোটি ৯৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭১৩ টাকা ৯০ পয়সা চুক্তিমূল্যে পায়রা বন্দরে ওয়ার হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এ কাজটি করে। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল শুরু হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি কাজটি শেষ করা হয়। জানা গেছে নির্মিত ওয়ার হাউসের দৈর্ঘ ৪০০ ফুট, প্রস্থ ২৫০ ফুট, উচ্চতা ২০ ফুট। এক লাখ বর্গফুট আয়তন নিয়ে ওয়ার হাউসটি নির্মিত হলেও এর ডেলিভারি এলাকার আয়তন ৩২ হাজার ৮০০ বর্গফুট। ওয়ার হাউস থেকে মালামাল পরিবহনের জন্য ১১৫০ বর্গফুট দীর্ঘ এবং ২২ ফুট প্রশস্থ আরসিসি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া সার্ভিস জেটি নির্মাণে চুক্তিমুল্য রয়েছে ২১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৮ টাকা ৯১ পয়সা। এ বছরের ২৭ জুন এ জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ কাজটি করছে। ৮০ মিটার দীর্ঘ ২৪ মিটার প্রস্থ এ জেটি দিয়ে মালামাল লোডিং আনলোডিং এর কাজ করা হবে। এ জেটিতে পাঁচ মিটার ড্রাফট জাহাজ সরাসরি পণ্য নিয়ে ভিড়তে পারবে। বর্তমানে একটি পন্টুন জেটি থাকলে পন্যখালাশের সুবিধার্থে এই সার্ভিস জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
×