ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নারী উদ্যোক্তাদের এসএমই ঋণ পেতে হয়রানি

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নারী উদ্যোক্তাদের এসএমই ঋণ পেতে হয়রানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃ অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও বেশিরভাগ ব্যাংকই তা মানছে না। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, অঘোষিত বিভিন্ন ব্যয়ের অজুহাতে অতিরিক্ত সুদ নিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এমনকি ঋণ মঞ্জুরের জন্য অনেক ক্ষেত্রে কিছু ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তারা ঘুষও দাবি করেন। ঋণ পেতে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারী উদ্যোক্তারা। চাকরি ছেড়ে, উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছোট একটি পার্লার খুলেছিলেন লোপা। গ্রাহকের সাড়া পেয়ে পার্লারটি আরও বড় করার পাশাপাশি বুটিকস এর ব্যবসার জন্য ছুটে যান ব্যাংকে এসএমই ঋণের প্রত্যাশায়। অথচ আড়াই বছর ধরে বিভিন্ন ব্যাংকে ধর্ণা দিলেও মেলেনি ঋণ। উদ্যোক্তারা জানান, এসএমই ঋণ না দিয়ে ব্যাংকগুলো বেশি সুদের ব্যক্তি পর্যায়ের ঋণ নিতে উৎসাহিত করে। এসএমই ঋণের জন্য অধিকাংশ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার অভিজ্ঞতাই সুখকর নয়। হয়রানি তো রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে ঋণ পেতে বিভিন্ন ব্যাংকের মাঠ পর্যায়ের অসাধু কর্মকর্তারা ঘুষ চান বলে জানান ভুক্তভোগীরা। নারী উদ্যোক্তাদের ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত ছাড়া ঋণ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা থাকলেও ১০ লাখ টাকার জন্যও জামানত দাবি করা হয়। তবে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দাবি, ঋণ প্রদানে যে কোন অনিয়ম রোধে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে তদারকি করা হয়। সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম আহবুবা আহসান জানান, কোন ধরনের অনিয়ম আমরা পাইনি। আমাদের হেড অফিস থেকে কিভাবে কি করতে হবে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমরা শাখাগুলোকে সেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছি। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, ঋণ গ্রহীতাদের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইপিসিতে অথবা হোল্ডিং নম্বর আছে, অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য অফিসেও যে কেউ অভিযোগ করতে পারে। আমরা সেটা খতিয়ে দেখব। ২০১৬ সালে এসএমই খাতে মোট ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকার ঋণ দেয়া হয়। এর মধ্যে মাত্র ৫ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন নারী উদ্যোক্তারা। যা মোট ঋণের মাত্র চার শতাংশ।
×