ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কালিমন্দিরের জায়গা দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০০:৫৭, ২৯ আগস্ট ২০১৭

কালিমন্দিরের জায়গা দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা ॥ চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর শতাব্দী প্রাচীন সার্বজনীন কালিমন্দিরের জায়গা দখল করেছে এলাকার প্রভাবশালী নবীর উদ্দিন। মন্দিরের জায়গা দখলের প্রতিবাদে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শারদীয় দূর্গা পূজা বর্জনের হুমকি দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এলাকাবাসী জানিয়েছে, ১শ’ বছরের প্রাচীন এ মন্দিরের পূজা-অর্চনা চলে আসছে। কিন্তু কথিত আমলনামার বলে জনৈক নবীর উদ্দিন গং ৪ শতাংশ জায়গা দখল করে নেয়। এরপর পর্যায়ক্রমে মন্দিরের জায়গা দখল করা হচ্ছে। দখলদারদের উৎপাতে এখানে পূজা করাই দুরুহ হয়ে পড়েছে। তারা এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করলে আদালত মন্দিরের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেছে। যা বিচারাধীন। এ অবস্থায় মন্দিরের জায়গা দখল অব্যাহত রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা সমস্যার সমাধান না হলে দূর্গাপূজাসহ অন্য পূজা না করার ঘোষনা দেন। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সোমবার বোঁথর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিক্ষোভ করেছে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কিংকর সাহা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব কুমার বিশ্বাস ও গ্রাম্য হিন্দু প্রধান বিরেন দাসের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেহেলী লায়লা বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে জানান, জমি পরিমাপ করে যার যতটুকু, তাকে ততটুকু বুঝিয়ে দেওয়া হবে। মন্দিরের জায়গা কেউ দখল করতে পারবে না। আর কেউ যদি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে কালি মন্দির কমিটির এক সভা রবিবার রাতে বোঁথর চড়ক বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। বিরেন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কিংকর সাহা, রাজিব বিশ্বাস, স্বপন বিশ্বাস, পুর্ণচন্দ্র বর্মন, শ্যামসুন্দর ঘোষ, নীলমনি ঘোষ, অজিত ঘোষসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মন্দিরের জায়গা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা না হলে তারা আগামী দূর্গাপূজাসহ কোন পূর্জা-অর্চনা করবে না। এ ব্যাপারে নবীর উদ্দিন গং মন্দিরের জায়গা দখল করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানে মন্দিরের কোন জায়গাই নেই। তারপরও মন্দির থাকায় সুষ্ঠুভাবে পূজা-অর্চনা হচ্ছে। কেউ কখনও বাধা দেয়নি। এই জমির ৩২ শতাংশ স্কুলের নামে এবং ৪ শতাংশ জায়গা ব্যক্তি নামে রেকর্ড রয়েছে।
×