ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিবিএসের সঙ্গে বিআরইবির চুক্তি

তদন্ত চলাকালে দর বাড়ল ৯.৭০ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৮ আগস্ট ২০১৭

তদন্ত চলাকালে দর বাড়ল ৯.৭০ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির ঘটনা তদন্তে কমিটির অনুসন্ধান চলাকালীনই বিবিএস কেবলের দর বাড়ল ৯.৭০ শতাংশ। বাংলাদেশ রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন বোর্ডের বিবিএসের নতুন চুক্তি খবর ও তদন্তে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না ধারণা করেই বিনিয়োগকারীরা নতুন করে শেয়ারটি কিনতে শুরু করেছে। এভাবে তদন্ত চলাকালীন কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বাড়াকে কোনভাবেই বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, নতুন কোম্পানিকে ঘিরে একটি চক্র অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু করে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা শুরু থেকেই কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় মাত্র ১০ টাকা শেয়ার বিক্রি হয়েছে ১৫৫.৭০ টাকায়। নানা আলোচনা-সমালোচনার পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ২৩ আগস্ট কমিটি গঠনের দিনই কোম্পানিটির দর কমে সর্বোচ্চ। দুদিন পরই আবারও ঘুরে দাঁড়াল কোম্পানিটি। এবার কোম্পানিটির সঙ্গে নতুন একটি চুক্তির খবরে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় উঠে এসেছে কোম্পানিটি। জানা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস (বিবিএস) দুটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন বোর্ডের (বিআরইবি) সঙ্গে। সূত্র জানায়, কোম্পানিটি কন্ডাক্টটর সরবরাহ, এসিএসআর, বার কেবলের জন্য বিআরইবির সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। এতে বিবিএসের মোট ৯৮ কোটি ৭৪ লাখ ৫ হাজার ৯৩৫ টাকা ব্যয় হবে। কোম্পানিটি জানায়, চুক্তি সই হওয়ার ৪ মাসের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস বিবিএস কেবলের ১৬.৩৩ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে। তাই চাকরি সম্পন্ন হওয়ার পর কোম্পানির লাভজনক প্রভাব বিবিএস কেবলে পড়বে। এদিকে রবিবারে ডিএসইতে লেনদেন শুরুর পর থেকেই বিনিয়োগকারীদের চাহিদার উঠে আসে বিবিএস কেবল ও বিবিএস। গত দুই সপ্তাহ ধরেই কোম্পানিটি দুটি ছিল আলোচনার শীর্ষে ছিল। বিশেষ করে বিবিএস কেবল নামের কোম্পানিটির প্রথম দিনেই লেনদেন হয় ৯০ টাকায়। এরপর থেকে টানা দর বাড়তে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা বা যাদের হারে প্লেসমেন্টের শেয়ার বেশি রয়েছে তারা বাজার থেকে শেয়ার কিনে নিয়েছে। এভাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও এতে অংশ নেয়। ফলে কোম্পানিটির দর বাড়ে ১৪০ শতাংশও ওপর। টনক নড়ে বিএসইসির। কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু তাতেও থেমে নেই কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি। এর মাঝেই রবিবারে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে গুজব রটে যায় কোম্পানিটির ওপর রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। বিশেষ একটি মহলের সঙ্গে কোম্পানির মালিক পক্ষের সম্পর্ক থাকার কারণে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেরও তার প্রভাব পড়বে। তাই তদন্ত কমিটি গঠন কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকেও কোম্পানিটির ওপর বড় ধরনের শাস্তি দেয়া হয়ত কঠিন হয়ে পড়বে। মূলত এসব গুজবের ওপরই রবিবার শেয়ারটি আবারও আলোচনায় চলে আসে। তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা কোম্পানিটির অতিমূল্যায়িত হয়ে যাওয়ার কারণে তার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ নতুন কোম্পানি হিসেবে নন-মার্জিন হওয়া কোম্পানিটির ৩০ কার্যদিবস পরও ঋণ পাবে না। কারণ এটির পিইও রেশিও ঝুঁকিপূর্ণ।
×