ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘প্রতিবছরই সেরা হওয়ার লক্ষ্য থাকে’

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৬ আগস্ট ২০১৭

‘প্রতিবছরই সেরা হওয়ার লক্ষ্য থাকে’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সময় এখন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগীজ সুপারস্টার অতিবাহিত করছেন ক্যারিয়ারের স্বর্ণালী সময়। গত মৌসুমে চোখ ধাঁধানো পারফর্মেন্সের জন্য এবার ব্যক্তিগত পুরস্কারও পেতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে যেমন পেয়ে গেছেন ২০১৬-১৭ মৌসুমের উয়েফার বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের খেতাব। মোনাকোতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপপর্বের ড্র অনুষ্ঠানে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী লিওলেন মেসি ও জিয়ানলুইজি বুফনকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ও রেকর্ড তৃতীয়বারের মতো উয়েফা সেরা হয়েছেন রোনাল্ডো। জমকালো রাতে বার্সিলোনার আর্জেন্টাইন তারকা মেসিকে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে। কেননা তিনি কোন ক্যাটাগরিতেই পুরস্কার পাননি। সেরা ফরোয়ার্ডও হয়েছেন রোনাল্ডো। আর বুফন বর্ষসেরা হতে না পারলেও জিতেছেন সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। কোচ-সাংবাদিকদের ভোটে বাকি দু’জনের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়ে সেরা হয়েছেন সি আর সেভেন। বর্ষসেরা হওয়ার পথে রোনাল্ডো পেয়েছেন ৪৮২ পয়েন্ট। অন্যদিকে মেসি পেয়েছেন ১৪১ পয়েন্ট। আর বুফন তৃতীয় স্থানে থেকে পেয়েছেন ১০৯ পয়েন্ট। ইউরোপিয়ান ফুটবলের গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা জয়ের পেছনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল রোনাল্ডোর। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে তিনিই করেছিলেন সবচেয়ে বেশি ১২টি গোল। ফাইনালে জুভেন্টাসের বিরুদ্ধেও করেছিলেন জোড়া গোল। ফলে এবারও যে পুরস্কারটা তার হাতেই উঠবে তা অনুমিতই ছিল। টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কার হাতে নিয়ে রোনাল্ডো সঙ্গত কারণেই খুশি। তিনি বলেন, আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি আবার এই পুরস্কার জিততে পেরে। ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি আমার সতীর্থদের। আমি সত্যিই খুব ভাগ্যবান। ধন্যবাদ জানাচ্ছি রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকদের যারা আমাকে এই পুরস্কার জিততে অনেক সহায়তা করেছেন। পর্তুগাল সুপারস্টার আরও বলেন, প্রতি বছরই সেরা হওয়ার লক্ষ্য থাকে। নিতে হয় একই চ্যালেঞ্জ। জাতীয় দলের হয়ে যদি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় তাহলেও লক্ষ্য থাকবে সবকটি পুরস্কার জয় করার। এই পুরস্কার কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত রাখার অনুপ্রেরণা যোগাবে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে পেরে আমি ধন্য এবং আনন্দিত। এর আগে ২০১৩-১৪ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমেও উয়েফা সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন রোনাল্ডো। অন্যদিকে বার্সিলোনার লিয়েকে মার্টেন্স উয়েফার বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। চলতি বছর হল্যান্ডের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতানোর পথে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন এই লাস্যময়ী ফুটবলার। বর্ষসেরা ডিফেন্ডার হিসেবে ফেবারিট ছিলেন সার্জিও রামোস। শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ককেই সেরা হিসেবে বেছে নেয় উয়েফা। জুভেন্টাসের (এখন এসি মিলান তারকা) লিওনার্ডো বুনোচ্চি ও রিয়াল সতীর্থ মার্সেলোকে হারিয়ে বর্ষসেরা ডিফেন্ডার নির্বাচিত হন রামোস। বর্ষসেরা মিডফিল্ডারের পুরস্কার জেতা লুকা মডরিচের লড়াই ছিল ঘরের লোকদের সঙ্গেই। রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ কাসেমিরো ও টনি ক্রুসকে হারিয়ে সেরার খেতাব অর্জন করেন এই ক্রোয়েট মিডফিল্ডার।
×