ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ট্রেনে ঘরমুখো যাত্রীর ভিড়

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ২৩ জুন ২০১৭

চট্টগ্রামে ট্রেনে ঘরমুখো যাত্রীর ভিড়

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ঈদ আনন্দে চট্টগ্রাম ছাড়ছে মানুষ। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে যেন মানুষের ভিড় ট্রেনে, লঞ্চে ও বাসে। ঈদের আর মাত্র দুদিন বাকি। শেষ মুহূর্তের যাত্রায় ট্রেন হচ্ছে সর্বোচ্চ পরিবহন ক্ষমতার অধিকারী। ফলে গন্তব্যে পৌঁছাতে ট্রেনকে বেছে নেয় যাত্রীরা। তবে যেসব অঞ্চলে ট্রেন চলাচলের সুযোগ নেই, সেখানে বাস কিংবা নৌপথে ঘরে ফিরছে যাত্রীরা। গমনেচ্ছুদের মধ্যে যাত্রা পথের হয়রানিটুকু এখন আর হিসাবের মধ্যে নেই। টার্গেট একটাই মা-বাবাসহ পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ। তবে এ ঝক্কিঝামেলা সবচেয়ে বেশি থাকে ঈদ-উল-ফিতর বা রমজানের ঈদকে ঘিরে। সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী ও সরকারী বন্ধের দিনসহ আজ শুক্রবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু। তবে ত্রিশ রমজান হলে তা গড়াবে আগামী বুধবার পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার বিকেলে দেখা গেছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে উঠার সেই দৃশ্য। কেউ হাতে হাত রেখে আবার কেউ জানালায় পা দিয়ে এমনকি মইও ব্যবহার করা হয়েছে ট্রেনের ছাদে উঠতে। চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের এ দৃশ্য চট্টগাম থেকে এবারের ঈদযাত্রার সবচেয়ে যাত্রীবহুল ট্রেন। আজ শুক্রবার আরও বেশি ভিড় থাকবে ট্রেনে। চট্টগ্রাম রেল স্টেশন চত্বর ঘুরে দেখা গেছে, ঘরমুখো মানুষের অপেক্ষার পালা ট্রেনে উঠার। নির্দিষ্ট সময়ের দুই ঘণ্টা আগেই যাত্রীরা স্টেশনে পৌঁছালেও ট্রেন মার্শালিং ইয়ার্ড থেকে লাইনে আসছে ছেড়ে যাওয়ার মাত্র ত্রিশ মিনিট আগে। ফলে আগেভাগে চলে আসাদের মধ্যে অনেকটা হয়রানি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ক্ষিপ্ততা থাকলেও বহিঃপ্রকাশ ঘটছে না ঈদযাত্রাকে ঘিরে। এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় না থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সুনির্দিষ্টতা রয়েছে। যাত্রীরা আগেভাগে স্টেশনে পৌঁছালেও অনেক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে স্টেশনে কর্মরত কর্মচারীদের। কখন ট্রেন ছাড়বে, ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারব তো। আসনের টিকেট নিয়ে আসনবিহীন অবস্থায় যেতে হয় কি না, এমন শঙ্কাও রয়েছে অনেকের মাঝে। ট্রেনের মতো লঞ্চ-বাসেও যাত্রীদের ভিড় থাকবে গন্তব্যে পৌঁছার আশায়। নৌপথে কোন ধরনের সমস্যা না থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে ডুবে যাওয়ার আতঙ্ক যেমন কাজ করে তেমনি সড়কপথে বাস বা ট্রাকে চড়ে যারা যাতায়াত করছেন তাদের মধ্যেও কাজ করে সড়কের দুরবস্থায় দুর্ঘটনার আতঙ্ক। তবে এ ধরনের কষ্ট যাত্রীদের কাছে ততটা কঠোর নয়। কারণ ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা।
×