ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের হুঁশিয়ারি

বাণিজ্য যুদ্ধ কি আসন্ন!

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৬ মার্চ ২০১৭

বাণিজ্য যুদ্ধ কি আসন্ন!

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্য যুদ্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে চীন। দেশটি বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতি উপেক্ষা করলে এবং একতরফাভাবে পণ্যে শুল্ক বসালে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না। ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক ট্রেড বডিকে উপেক্ষা করছে এমন পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সান জেভি বলেন, কেউ যদি নিজের স্বার্থে ডব্লিউটিওর নীতি লঙ্ঘন করে; বাণিজ্য বিতর্কে সংস্থাটির নীতি প্রত্যাহার করে, তবে বহুপাক্ষিক যে বাণিজ্য মেকানিজম আছে তা অর্থহীন হয়ে পড়বে। এবং ১৯৩০ সালের মতো বাণিজ্য যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি হবে। ক’দিন আগে নতুন মার্কিন প্রশাসন তাদের বার্ষিক ট্রেড পলিসি এজেন্ডায় জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তোয়াক্কা করে না; সংস্থাটির নীতি মানতেও বাধ্য নয়। এ সময় গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পলিসি তাদের বাণিজ্য আইনকে আরও কঠোর করবে। যেখানে আরও বলা হয়, যদি ক্রমবর্ধমান আমদানি দেশীয় শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তবে ওয়াশিংটন চুপ করে বসে থাকবে না। প্রশাসন একতরফাভাবে হলেও আমদানির ওপর শুল্ক বসাবে। স্যান জেভি কংগ্রেসের এমন বাণিজ্য নীতির বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে নির্বাচনী ইশতেহার ও একাধিক বিবৃতিতে চীনের সঙ্গে কঠোর বাণিজ্য নীতির ঘোষণা দেন। রফতানি থেকে বেজিং অযৌক্তিকভাবে সুযোগ আদায় করছে বলে অভিযোগ করে তিনি চীনের পণ্যে ৪৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ঝং স্যান গত সপ্তাহে বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। এবং তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শুধু দুই দেশের ওপরই প্রভাব বিস্তার করে না। তা পুরো বিশ্বকে প্রভাবিত করে। তিনি বলেন, অনেক আমেরিকান ও তাদের পশ্চিমা বন্ধুরা মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চীন নির্ভরশীল। আমি মনে করি, তাদের কথা আংশিক ঠিক। তবে তারাও চীনের ওপর নির্ভরশীল। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৬ সালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ছিল ৫১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলার। যেটা ৭০ দশকের পর দুই শ’ গুণ। এই সময়েই দুই মধ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হয়। ট্রাম্প প্রশাসন চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে যে ইশতেহার ঘোষণা করেছে তা কার্যকর হলে দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্য সম্পর্ক অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।
×