ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তেরো বছর পর ভিভিআইপি ধোনি!

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

তেরো বছর পর ভিভিআইপি ধোনি!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত তেরোটি বছর ট্রেনে ওঠেননি। তবে মঙ্গলবার ইচ্ছা করেই উঠলেন হাওড়া এক্সপ্রেসে। মহেন্দ্র সিং ধোনির গন্তব্য কলকাতা। বিজয় হাজারে ট্রফি খেলতে ঝাড়খ- দলের সতীর্থদের নিয়ে হাতিয়া রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন। আর তাকে স্বাগত জানাতে উৎসুক জনতা ছিল হাওড়া ও রাঁচি স্টেশনে এবং হাতিয়ায় ছিল উপচেপড়া ভিড়। যারা আগে থেকেই এ দুটি স্টেশনে ছিলেন তারা একটি অটোগ্রাফ, একটি সেলফি কিংবা একবার করমর্দন করতে আগ্রহীরা দৌড়াদৌড়ি করেছেন। কিন্তু পারেনি কেউ ধোনির কাছে ঘেঁষতে। বিশেষ নিরাপত্তা ছিল জনসাধারণকে ঠেকাতে, পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা কাউকে সুযোগ দেননি। কারণ ধোনি এখন ভিভিআইপি, সেই প্রটোকলই দেয়া হয়েছে তাকে ট্রেনে। অথচ ১৯৯৭-৯৮ সালে এই রুটে নিয়মিত জুনিয়র এক উঠতি ক্রিকেটার হিসেবে যাতায়াত করেছেন ধোনি। তখন টিকেট কালেক্টরও হয়েছিলেন খড়গপুর জংশনের। সেদিনের টিকেট কালেক্টর ধোনি এখন একই রুটে ভিভিআইপি। বিধাতার কি বিস্ময়কর খেলা। তার ইচ্ছায় ধনকুবের পরিণত হয় রাস্তার ভিখিরিতে, আবার রাস্তায় দিন কাটানো কেউ হয়ে যায় রাজপ্রাসাদের মতো অট্টালিকার মালিক। ধোনির গল্পটা এত কঠিন নয়। কিন্তু জুনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে কষ্টটা কম করেননি। ১৯ বছর আগের কথা। হাতিয়া-রাাঁচি-হাওড়া রুটে নিয়মিত ট্রেনে যাতায়াত ছিল কিশোর ধোনির। রাঁচি থেকে বোকারোয় প্রতিদিন যেতেন ট্রেনে। সে সময় তিনি হয়ে উঠেছিলেন খড়গপুর রেল জংশনের টিকেট কালেক্টরও। পরবর্তীতে সেই ধোনি হয়ে ওঠেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক। অর্থ-প্রতিপত্তিতেও অনেক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে ছাড়িয়ে গেছেন। তারকাখ্যাতির জন্য নির্বিঘেœ নিজের মতো করে চলাফেরা করাটা হয়ে গেছে কঠিন। অনেক প্রটোকল, নিরাপত্তা বেষ্টনী ইত্যাদির ভেতর থাকতে হয়েছে। তাই আর ট্রেনে ওঠা হয়নি। এভাবেই কেটে গেছে ১৩ বছর। কিন্তু শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বিজয় হাজারে ট্রফি যেন ধোনিকে সেই ১৯ বছর আগের কৈশোরকালটাকে মনে করিয়ে দিয়েছিল। মাত্র ৬০ মিনিট লাগে বিমানে উঠলে হাওড়া পৌঁছুতে। কিন্তু ধোনি উঠলেন ট্রেনে, শুধু একাই উঠলেন নাÑ সঙ্গে নিলেন নিজ দল ঝাড়খ-ের সতীর্থদের। তবে এবার তাকে ভিভিআইপি প্রটোকল দেয়া হয়েছে। এখন সেই অন্য আরও হাজার হাজার ছেলের মতো অচেনা কোন কিশোর নেই তিনি। যেখানেই যান ভক্ত-সমর্থকদের ঝক্কি লেগেই আছে। ধোনির সঙ্গে করমর্দন করা, তারসঙ্গে সেলফি তুলে অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য মৌমাছির মতো ছুটে আসেন হাজারও মানুষ। এ কারণে তিনটি স্টেশনেই ধোনি ও তার সতীর্থদের জন্য ছিল ভিভিআইপি প্রটোকল। ঝাড়খ- দলের ম্যানেজার পিএন সিং বলেন, ‘আমাদের রাজ্য এ্যাসোসিয়েশন ধোনির ট্রেন ভ্রমণ নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে ছিল। সবাই চেয়েছিল বিমানে যেতে। কিন্তু ধোনি সেটা প্রত্যাখ্যান করে ট্রেনে যেতে চায়। সে টিম বাসে করে স্টেশনে এসেছে এবং সবার সঙ্গে ট্রেনে উঠেছে। সবখানেই বিপুল দর্শক তারা অটোগ্রাফ নেয়ার চেষ্টা করেছে। ট্রেনে ওঠার পরেও সে চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এটা বিশেষ ট্রেন এবং এখানে উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন মানুষ যাতায়াত করে। আর পুলিশ খুবই তৎপর ছিল।’ তবে ট্রেনে খাবার পরিবেশনকারীরা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একের পর এক এসে ছবি তুলেছেন এবং অটোগ্রাফ নিয়েছেন ধোনির কাছ থেকে।’ পিএন সিং আরও জানান, গতবছর বিজয় হাজারে ট্রফি ব্যাঙ্গালুরুতে হয়েছিল এবং সে সময় থ্রি-স্টার হোটেলে সতীর্থদের সঙ্গে ছিলেন ধোনি। যদিও তাকে ফাইভ স্টারে থাকার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা নাকচ করে দেন তিনি। বাছাইকৃত ক্রীড়াবিদদের সনদ প্রদান স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অর্থায়নে ও বাংলাদেশ এ্যামেচার রেসলিং ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে গতবছর অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিভাবান কুস্তিগীর বাছাই করা। ২০ জেলা থেকে এমন ৪০ কুস্তিগীর নির্বাচন করা হয় (২৪ ছেলে ও ১৬ মেয়ে)। তাদের ঢাকায় এনে দীর্ঘমেয়াদে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ৪২ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে বুধবার তৃণমূল থেকে বাছাইকৃত এই কুস্তিগীরদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি ক্রীড়া সরঞ্জামাদি দেয়া হয়। সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ক্রীড়া পরিচালক দীল মোহাম্মদ ও বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের উপ-সচিব বাদল রায়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ালটন গ্রুপের অপারেটিভ ডিরেক্টর (স্পোর্টস এ্যান্ড ওয়েলফেয়ার বিভাগের প্রধান) ও বাংলাদেশ এ্যামেচার রেসলিং ফেডারেশনের সহসভাপতি এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)।
×